শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

চঁাদপুর অডিটরিয়াম নিমার্ণ চলছে শম্বুক গতিতে

চঁাদপুর প্রতিনিধি
  ১২ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

চঁাদপুর পৌর অডিটরিয়ামের নিমার্ণ কাজ দেড় যুগেও শেষ করা সম্ভব হয়নি। ফলে হতাশায় রয়েছে স্থানীয় সাহিত্য, সাংস্কৃতিকসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।

২০০০ সালে স্থানীয় কোটর্ স্টেশনসংলগ্ন রেলওয়ে বালুর মাঠে এই পৌর অডিটরিয়াম নিমাের্ণর ভিত্তিফলক উন্মোচন করা হয়। এরপর নানা কারণে সেখানে আর ভবন নিমার্ণ করা সম্ভব হয়নি।

পরে কদমতলাস্থ চঁাদপুরের ঐতিহাসিক বেগম মসজিদের সম্মুখে পৌর অডিটরিয়াম ভবন নিমাের্ণর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। প্রথমে গণপূতর্ বিভাগ দায়িত্ব নিয়ে কাজ শুরু করে। এরপর নিমাের্ণর দায়িত্ব পড়ে চঁাদপুর পৌরসভার উপর। অথার্য়নের এবং তত্ত¡াবধায়নের দায়িত্ব ন্যস্ত হয় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপর।

কিন্তু শম্বুকগতিতে এর নিমার্ণ কাজ চলতে থাকে। বতর্মানে ভবন নিমার্ণ কাজ শতকরা ৮০ ভাগ শেষ হয়েছে। এখন রং করা, বিদ্যুৎ, পানি সংযোগ, আসন বিন্যাস ও স্থাপন, সাউন্ড সিস্টেম স্থাপনসহ বিভিন্ন শৈল্পিক কারুকাজ এখনো বাকি রয়েছে।

এ ব্যাপারে পৌরসভা নিবার্হী প্রকৌশলী জানান, ভবনটি নিমাের্ণ প্রয়োজনীয় অথর্ বরাদ্দ নেই। এ যাবৎ এটি নিমাের্ণ ব্যয় হয়েছে প্রায় ৩ কোটি টাকা। এখনো প্রায় পঁাচ কোটি টাকার কাজ বাকি। তিনি আশা করেন, চলতি বছরের মধ্যেই অডিটরিয়ামটি চালু করা সম্ভব হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পৌর মেয়র নাছির উদ্দিন আহমেদ বলেন, অডিটরিয়াম নিমার্ণ কাজ ১ বছরের মধ্যেই শেষ হবে। ইলেকট্রিক ও সাউন্ড সিস্টেম থেকে শুরু করে সব কিছুই করা হবে। এ জন্য বাজেট ধরা হয়েছে ৫ কোটি টাকা।

দুপচঁাচিয়ার তঁাত পল্লীতে

শীতের চাদর তৈরির ধূম

দুপচঁাচিয়া (বগুড়া) সংবাদদাতা:

শীত মৌসুমকে ঘিরে উলের চাদর তৈরিতে খটখট শব্দে মুখরিত হয়ে উঠেছে বগুড়ার দুুপচঁাচিয়ার তঁাত পল্লীগুলো।

ভোর হতে শুরু করে রাত অবধি এ পেশার সঙ্গে জড়িতরা কেউবা সাধারণ তঁাত মেশিনে আবার কেউবা অটো পাওয়ার লুম মেশিনে এসব চাদর তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

জানা যায়, উপজেলার ডাকাহার, বানিয়াদীঘি, তারাজুন, নওদাপাড়া, দেবখÐ, বড়চাপড়া, চান্দাইল, সাবলা সানাপাড়াসহ প্রায় ৯/১০ গ্রামে এসব চাদর তৈরি হয়।

শীত মৌসুমে চাদরের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় কারিগরদের ব্যস্ততাও বেড়ে যায়। এখানকার কারিগররা শীতকালে শুধু উলের চাদরই নয়, অন্য সময় গামছা তৈরি করে বাজারে বিক্রি করে বাড়তি অথের্র মুখ দেখেন।

উপজেলার ডাকাহার গ্রামের রুহুল আমিনের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তার বাড়িতে পঁাচটি অটো পাওয়ারলুম মেশিনে বিভিন্ন ডিজাইনের চাদর তৈরি করছেন কারিগররা।

এ প্রসঙ্গে রুহুল আমিন জানান, তিনিসহ দুইজন মিলে এ পঁাচটি মেশিনে চাদর তৈরি করেন তারা। কিন্তু পঁুজির অভাবে ব্যবসার প্রসার ঘটাতে পারছেন না। এনজিও বা ব্যাংক হতে ঋণ নিতে গেলে জামানতস্বরূপ জায়গার দলিলপত্র চায়। তাদের জমিজমা না থাকায় ঋণ নেয়া সম্ভব হচ্ছে না।

তিনি জানান, স্বল্প সুদে সরকারিভাবে ঋণের ব্যবস্থা করা গেলে তঁাত শিল্পের প্রসার ঘটত। তিনি বলেন, শুধু পুরুষরাই নয়, নারীরাও এ পেশায় সমানভাবে কাজ করে থাকেন।

নওদাপাড়ার আলমগীর হোসেন ও আজাহার আলী জানান, এ গ্রামের ৬০টি পরিবার এ পেশার সঙ্গে জড়িত। সঁাওইল বাজার হতে উলের সুতা ১৮০ টাকা ও রঙিন সুতা ৩০০ টাকা কেজি দরে কিনে এনে চাদর তৈরি করেন তারা। এক কেজি সুতায় ৩টি চাদর তৈরি হয়। প্রকার ভেদে প্রতিটি সাধারণ উলের চাদর ১০০ হতে ১২৫ টাকা ও ভালো মানের চাদর ১৬০ টাকা হতে ৪৫০ টাকা দরে পাইকারী বিক্রি করে থাকেন। তবে সুতার দাম যদি কম হতো এবং সরকার যদি সুলভে ঋণ দিত তাহলে তারা উপকৃত হতেন।

এ বিষয়ে উপজেলা সমবায় কমর্কতার্ ফেরদৌস রহমান বলেন, তঁাত শিল্পের সঙ্গে জড়িতরা সংগঠিত হয়ে সমিতি গঠন করলে সমবায় ব্যাংক হতে তারা যাতে ঋণ পায় তার ব্যবস্থা করা হবে।

লোহাগড়ায় শ্রী কাত্যায়নী

পূজা মঙ্গলবার থেকে শুরু

লোহাগড়া (নড়াইল) সংবাদদাতা:

সনাতন ধমার্বলম্বীদের ল²ীপূজা শেষে গত মঙ্গলবার আমাবশ্যা তিথিতে শ্যামা পূজা ও দীপাবলি উৎসব সম্পন্ন হয়েছে। এবার শুরু হতে যাচ্ছে শ্রী শ্রী কাত্যায়নী পূজা।

পঁাচ দিনব্যাপী এই পূজাকে ঘিরে লোহাগড়ায় উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়েছে। চলছে মÐব নিমার্ণ আর প্রতিমার রঙের কাজ। কমর্ব্যস্ত সময় পার করছেন আয়োজক কমিটির সদস্যরা। স্থানীয় প্রশাসনও পূজা উদযাপনের জন্য নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নিয়েছেন।

১৩ নভেম্বর মঙ্গলবার ৬ষ্ঠী পূজার মাধ্যমে এ পূজা শুরু হবে। ১৭ নভেম্বর বিসজের্নর মাধ্যমে কাত্যায়নী পূজা শেষ হবে।

হিন্দু ধমীর্য় শাস্ত্র মতে, দ্বাপর যুগে ভগবান শ্রী কৃষ্ণ পৃথিবীতে আবিভ‚র্ত হন। শ্রী কৃষ্ণ রুপী স্বয়ং ভগবানকে পুত্র, বন্ধু, পতি এবং প্রভুরূপে পাওয়ার জন্য ব্রজবাসীগণ শ্রী শ্রী কাত্যায়নী দেবীর ব্রত পালন করেছিলেন। দ্বাপর যুগে কোনো এক হেমন্তের প্রারম্ভে পূণর্ সলিলা যমুনা নদীর তীরে মাসব্যাপী ব্রত ও পূজা অনুষ্ঠানের প্রচলন হয়। ব্রজবাসীগণ ব্রহ্ম মুহ‚তের্ যমুনা নদীতে ¯œান করে যমুনা তীরে বালুকা নিমির্ত কাত্যায়নী মূতিের্ত ফুল, ফল ও অন্যান্য উপকরণ দ্বারা আরাধনা শুরু করেন। এভাবে একমাস উপাসনার পর দেবী তুষ্ট হয়ে ব্রজবাসীগণকে অভীষ্ঠ ফল প্রদান করেন। অতঃপর পূজান্তে বালুকা নিমির্ত দেবী মূতির্ যমুনায় বিসজর্ন দিয়ে ব্রজবাসীগণ মহা ধুমধামে মহোৎসব পালন করেন। এরপর থেকে পৃথিবীর দেশে দেশে শ্রী শ্রী কাত্যায়নী দেবীর পূজা পালিত হয়ে আসছে।

উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ও জেলা পরিষদ সদস্য প্রবীর কুমার কুÐু মদন জানান, পূজা উদযাপনের জন্য সকল মÐবে প্রস্তুতি প্রায় শেষের পথে। সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে এ পূজা পালনের জন্য তিনি সবার প্রতি আহবান জানিয়েছেন।

এদিকে, পূজা উপলক্ষে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন লোহাগড়া থানার ওসি প্রবীর কুমার বিশ্বাস।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<22175 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1