কয়েক বছর ধরে অবসরের কথা বলে আসার পরও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম তোলার কারণ ব্যাখ্যায় অথর্মন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, এবার প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন না, ‘ডামি’ প্রাথীর্ হিসেবে ফরম জমা দিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সিডিবিল থেকে বিও অ্যাকাউন্ট মেইনটেন্যান্স ফি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে ৮৫ বছর বয়সী মুহিত বলেন, ‘আমি নমিনেশন পেপার পাটিের্ত সাবমিট করেছি অ্যাজ এ ডামি ক্যানডিডেট, কারণ আমি প্রতিদ্ব›িদ্বতা করব না।’
দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি যা করছি প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি নিয়েই করছি। আমাদের দেশে মুশকিল যেটা হয়, নো বডি ওয়ান্টস টু রিজাইন। আমি অবসরের রীতি চালু করতে চাই। সবারই একসঙ্গে অবসরে যাওয়া দরকার। রাজনীতিবিদদের অবশ্যই অবসরে যেতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আমার আসন থেকে মনে হচ্ছে আমার ভাই, এখনো নমিনেশন হয়নি।’ সিলেট সদর ও সিটি করপোরেশনের একাংশ নিয়ে গঠিত সিলেট-১ আসন থেকে গত ১০ বছর ধরে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করছেন মুহিত। আওয়ামী লীগ সরকারের টানা দুই মেয়াদে অথর্ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও সামলেছেন তিনি।
এবার মুহিত ছাড়াও তার ছোট ভাই জাতিসংঘে বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি এ কে এম আবুল মোমেন ওই আসনে নৌকার প্রাথীর্ হতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম তুলেছেন। এর আগে কয়েকটি অনুষ্ঠানে ছোট ভাইকে প্রাথীর্ হিসেবেও তিনি পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন।
তারা দুই ভাই ছাড়াও ওই আসনে নৌকার প্রাথীর্ হতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম তুলেছেন দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মেসবাহ উদ্দিন সিরাজ এবং সিলেটের সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদরুদ্দিন আহমদ কামরান।
আগামীতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে সরকারে থাকবেন কিনা প্রশ্নের জবাবে মুহিত বলেন, ‘আমার রিটায়ারমেন্ট জরুরি, রিটায়ারমেন্টটা আমাদের পলিটিশিয়ানদের বোঝা উচিত। এখনো আমার চেয়ে সিনিয়র লোকরা পলিটিক্সে আছেন এবং পলিটিক্সে থাকতে চান। এরশাদ আমার চেয়ে সিনিয়র, বদরুদ্দোজা সাহেব আমার সিনিয়র। এবার তারা লাস্ট চান্স নিতে চান। আমার আর উইশ-টুইশ নাই, ৮৫ বছর বয়স হয়েছে, যথেষ্ট। আমার মনে হয়, ৮৫ বছরে রিটায়ারমেন্টে যাওয়া উচিত।’
সব দলের অংশগ্রহণে নিবার্চনে শেয়ারবাজারে কোনো প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন কিনা জানতে চাইলে অথর্মন্ত্রী বলেন, ‘প্রভাব একটা আছে অল পাটির্জ আর জয়েনিং, ইটস এ পলিটিক্যাল সাকসেস। পলিটিক্যাল সাকসেসের ইমপ্যাক্ট ইকোনমিতে ডেভেলপমেন্টে সব কিছুতেই থাকে।
‘এটা একটা খুব ভালো পলিটিক্যাল সিচিউশনে আছি, সবাই অংশ নিচ্ছে। একটা যে দুঃখ থাকে আনকনটেস্টে ইলেকটেড হয়ে গেলাম, ইটস নট এ প্লেজার, ইটস সাম কাইন্ড অব দুঃখ।’
তার দৃষ্টিতে গত ১০ বছরে সরকারের সফলতা ও ব্যথর্তার মূল্যায়ন সংক্ষেপে জানতে চাইলে মুহিত বলেন, ‘গত ১০ বছরে সরকারের পারফরমেন্স আউটস্ট্যান্ডিং, আই অ্যাম অফকোসর্ এ পাটর্ অফ ইট।’
ব্যাংকিং সেক্টর নিয়ন্ত্রণে ব্যথর্তা আছে কিনা সাংবাদিকদের এ প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘ব্যাংকিং সেক্টরে অসুবিধা আছে, আই হ্যাভ সেইড মেনি টাইমস। আই শ্যাল লিভ এ রোডম্যাপ ফর ব্যাংকিং সেক্টর, এ মাসের মধ্যে দেয়া হবে।’