একাদশ সংসদ নিবার্চন সামনে রেখে ভোটের কাজে নিয়োজিত সব কমর্কতার্ ও নিবার্চন অফিস সংশ্লিষ্টদের ছুটি বাতিল করেছে নিবার্চন কমিশন।
এ সংক্রান্ত আদেশ বুধবার সংশ্লিষ্টদের পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসির নিবার্চন পরিচালনা শাখার যুগ্মসচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান ।
তিনি বলেন, ‘ভোটের দায়িত্বে থাকা সব রিটানির্ং অফিসার, সহকারী রিটানির্ং অফিসার ও নিবার্চন অফিসের সব কমর্কতার্-কমর্চারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে।’
৩০ ডিসেম্বর ভোট রেখে ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ২৮ নভেম্বর পযর্ন্ত মনোনয়ন দাখিল করা যাবে। ২ ডিসেম্বর বাছাইয়ের পর প্রাথির্তা প্রত্যাহার করা যাবে ৯ ডিসেম্বর পযর্ন্ত। ১০ ডিসেম্বর প্রতীক পাওয়ার পর আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু করতে পারবেন প্রাথীর্রা।
এ নিবার্চনে বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক মিলিয়ে ৬৬ জন রিটানির্ং কমর্কতার্, উপজেলা নিবার্হী কমর্কতাের্দর নিয়ে ৫৮১ জন সহকারী রিটানির্ং কমর্কতার্ রয়েছেন। সেই সঙ্গে ইসি সচিবালয় এবং মাঠপযাের্য় (আঞ্চলিক, জেলা ও উপজেলা) ৫১৮টি নিবার্চন অফিস রয়েছে। ভোট পযর্ন্ত সংশ্লিষ্ট সবার ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
ইসির উপ-সচিব আতিয়ার রহমান জানান, আগাম প্রচারের পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুনসহ সব সামগ্রী ১৮ নভেম্বর রাতের মধ্যে সরিয়ে ফেলতে হবে।
‘সম্ভাব্য প্রাথীর্রা ওই সময়ের মধ্যে নিজেদের খরচে সব ধরনের প্রচার সামগ্রী না সরালে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কোনোভাবে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ ও স্থানীয় সরকার বিভাগকে নিদের্শনা দেয়া হয়েছে।’
নিবার্চনী বিধি লঙ্ঘন করলে ছয় মাসের কারাদÐ বা সবোর্চ্চ ৫০ হাজার টাকা জরিমানার পাশাপাশি প্রাথির্তা বাতিলের ক্ষমতাও রয়েছে ইসির হাতে।
আর রাজনৈতিক দল আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে সবোর্চ্চ ৫০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে।
ওয়াজ-মাহফিলে প্রচার নয়
ভোটের মৌসুমে ধমীর্য় ওয়াজ মাহফিলে কোনো ধরনের নিবার্চনী প্রচার যাতে না করা হয় সে বিষয়েও একটি নিদের্শনা জারির পরিকল্পনা নিয়েছে ইসি।
কমিশনের কমর্কতার্রা জানান, বছরের শেষে শীত মওসুমে দেশের বিভিন্ন স্থানে ওয়াজ মাহফিলসহ নানা ধরনের অনুষ্ঠান হয়। সংবেদনশীলতার বিষয়টি মাথায় রেখে প্রাথির্রা যাতে আচরণবিধি লঙ্ঘন না করেন সে বিষয়ে দৃষ্টি রাখা হবে।
আচরণবিধিতে বলা হয়েছে, মসজিদ-মন্দির, গিজার্ বা অন্য কোনো ধমীর্য় উপাসনালয়ে কোনো প্রকার নিবার্চনী প্রচার চালানো যাবে না। সেই সঙ্গে ভোটের প্রচারে ব্যক্তিগত চরিত্র হনন করে বক্তব্য দেয়া, উসকানিমূলক বা মানহানিকর কিংবা লিঙ্গ, সাম্প্রদায়িকতা বা ধমার্নুভূতিতে আঘাত লাগে এমন বক্তব্য দেয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে আচরণবিধিতে।