আজকের যায়যায়দিন

একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চনে বন্দরনগর চট্টগ্রামে স্বল্প পরিসরে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছেন নিবার্চন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।

শনিবার বিকালে নগরের কাজীর দেউড়ির চট্টগ্রাম লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এ কথা জানান তিনি।

নিবার্চন কমিশন সচিব বলেন, ‘স্বল্প পরিসরে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত হলেও কোন কোন আসনে বা কেন্দ্রে ব্যবহার হবে সে বিষয়ে কমিশন এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। কমিশনের অভ্যন্তরীণ আলোচনার পর র‌্যান্ডমলি-এর ব্যবহার হতে পারে।’

নিবার্চন আর পেছানো হবে না জানিয়ে ইসি সচিব বলেন, ‘৩০ ডিসেম্বরের পর নিবার্চন আর পেছানো হবে না। পেছানোর কোনো সুযোগও নেই। তাই ৩০ ডিসেম্বরই নিবার্চন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এটাই কমিশনের সিদ্ধান্ত।’

প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী উদ্বোধন / বিএনপির চিন্তাধারা ছিল আমরা হাত পেতে চলব : প্রধানমন্ত্রী

তিনি আরও বলেন, ‘অবৈধ অস্ত্র ও সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার একটি চলমান প্রক্রিয়া। যদি এটি দীঘির্দন ধরে না হতো তাহলে নিবার্চনের আগে নতুন করে শুরু করতে হতো। কিন্তু আমাদের দেশে র‌্যাব-পুলিশের অভিযানে অনেক মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার হয়েছে, অনেকে বন্দুকযুদ্ধে মারাও গেছে। সন্ত্রাসীরা নিয়মিত গ্রেপ্তার হচ্ছে। ইতোমধ্যে সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের জন্য আইজিপিকে নিবার্চন কমিশন নিদের্শনা দিয়েছে।’

ইসি সচিব বলেন, ‘পোস্টার-ব্যানার সরাতে ইতোমধ্যে নিদের্শনা দেয়া হয়েছে। আগামীকাল পোস্টার-ব্যানার অপসারণের শেষ তারিখ। ১৮ নভেম্বরের মধ্যে যদি অপসারণ না হয় তাহলে ১৯ নভেম্বর থেকে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। সে ক্ষেত্রে সিটি কপোের্রশন, পৌরসভা ও নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে এ সব নামানো হবে।’

হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ‘সবার অংশগ্রহণমূলক, একটি সুন্দর, অবাধ ও সুষ্ঠু নিবার্চন হবে। যে নিবার্চন হবে উৎসবমুখর পরিবেশে। সেখানে সব রাজনৈতিক দল অংশ নেবে। আমাদের দেশের ভোটাররা ভোটকে উৎসব হিসেবে নেয়। ৩০ ডিসেম্বর দিনটি ভোট উৎসবে পরিণত হবে বলে নিবার্চন কমিশন আশা করে।’