আজকের যায়যায়দিন

যশোর-৬ কেশবপুর আসনে বিএনপি দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আবু বকর আবু ঢাকায় অপহৃত হয়েছেন। ১৮ নভেম্বর রাত ৮টার পর রাজধানীর পল্টন এলাকা থেকে তাকে অপহরণ করা হয়। তার মুক্তির জন্য পরিবার থেকে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দেয়া হলেও গত ৩ দিনেও তার কোনো খেঁাজ বা হদিস মেলেনি।

ঢাকায় অবস্থানরত স্থানীয় বিএনপির কয়েকজন নেতৃবৃন্দের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে জানা যায়, মনোনয়নপত্র ক্রয় ও জমা দেয়ার জন্য তিনি ১২ নভেম্বর ঢাকা যান। সেখানে পল্টন এলাকার মেট্রোপলিটন হোটেলের ৪১৩ নম্বর কক্ষে তিনি অবস্থান করেন। তিনি ১৯ নভেম্বর বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার জন্য সেখানে অবস্থান করতে থাকেন। ঘটনার দিন রাত ৮টার দিকে তার সঙ্গী ইউপি মেম্বার সাইফুল ইসলাম রুমে ফিরে গিয়ে তাকে না পেয়ে রাত সাড়ে ৮টার দিকে তার ব্যবহৃত সেলফোন থেকে তার কেশবপুরস্থ ভাগ্নের সেলফোনে কয়েকটি মিসকল আসে। প্রত্যেকবার এ নম্বরটিতে ব্যাক দিলে হ্যালো হ্যালো ছাড়া কোন কথা হয়নি। এরপর এরপর ০৯৬৩৮৮৮৮২০২ নম্বর মোবাইল থেকে ওই ভাগ্নের কাছে ফোন দিয়ে তার মামার জন্য দেড় লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। এ জন্য ওই রাতে কয়েকটি বিকাশ নম্বরও সরবরাহ করেন তারা। কিন্তু রাত ১২টার পর বিকাশের ট্রানজিট বন্ধ থাকায় সোমবার সকালে অপহরণকারীরা ০১৭৪৮১১০৫৭৭ নম্বর মোবাইল থেকে পুনরায় যোগাযোগ করে।

এরপর তাদের দেয়া বিভিন্ন নম্বরে দেড় লাখ টাকা বিকাশ করা হয়। পরবতীর্কালে সকাল ৯টার দিকে অপহরণকারীরা দেড় লাখ টাকার প্রাপ্তি স্বীকার করে আরও ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। বহু অনুরোধের পর অপহরণকারীরা ২০ হাজার টাকা বিকাশ করার জন্য ২টি নম্বর দিয়ে বলেন, ওই টাকা পাওয়ার আধা ঘণ্টার মধ্যে আবু বকর আবুকে ওই হোটেলের সামনে ছেড়ে আসা হবে। সাড়ে ১০টার দিকে ২০ হাজার টাকা বিকাশ করার পরও তাকে ছাড়া হয়নি এবং তারা আর মোবাইল রিসিভ করেনি। দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে অপহরণকারীদের মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। এ খবর লেখা (বিকাল সাড়ে ৫টা) পযর্ন্ত আবু বকর আবুর মোবাইল ফোনটি বন্ধ রয়েছে এবং তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।

অবিবাহিত ৭০ বছর বয়সী আবু বকর আবুর ছোট বোন আঞ্জুমানারা বলেন, ‘আমার ভাই কেশবপুরের বিএনপি নেতাদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয়। ঢাকায় অবস্থানরত অপর মনোনয়ন প্রত্যাশী কেশবপুর পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক মেয়র আবদুস সামাদ বিশ্বাস বলেন, আবু বকর আবু নিখেঁাজ হওয়ার বিষয়টি ঢাকার র‌্যাব ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করা হয়েছে।’ এ ঘটনায় বিএনপির মহাসচিব মিজার্ ফখরুল ইসলাম আলমগীর গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এ রিপোটর্র্ লেখা পযর্ন্ত তার কোনো সন্ধান মেলেনি।

১৫ দিনে ৩৬৭ মৃতু্য / এবারের ঈদযাত্রায় সড়কে প্রাণহানি বেড়েছে