বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

নিরাপত্তা চেয়ে ইসিতে বিএনপির পাঁচ আবেদন, আ’লীগের নেই

যাযাদি রিপোটর্
  ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:০০
আপডেট  : ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮, ১০:১০

নিবার্চন যত ঘনিয়ে আসছে সারাদেশে সংঘাত-সহিংসতা ততই বাড়ছে। বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত প্রাথীর্ ছাড়াও অনেক এলাকার স্বতন্ত্র প্রাথীর্রা সরকারি দলের প্রাথীর্ ও তাদের নেতাকমীের্দর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলছেন। প্রচারণায় বাধা, হামলা ও ভয়-ভীতি দেখানোর অভিযোগ নিয়ে প্রতিদিনই নিবার্চন কমিশনে হাজির হচ্ছেন তারা। তবে এই মুহ‚তের্ এ সব অভিযোগের বিরুদ্ধে ইসি কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। একাদশ সংসদ নিবার্চনে প্রাথীের্দর প্রতীক বরাদ্দের ৪ দিন পর বিএনপির মনোনীত চারজন ও স্বতন্ত্র প্রাথীর্ একজন নিবার্চনী প্রচারণায় নেমে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে লিখিতভাবে নিবার্চন কমিশনে (ইসি) আবেদন করেছেন। তবে আওয়ামী লীগের কোনো প্রাথীর্ ইসিতে এখনো অভিযোগ করেননি। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নিবার্চন সুষ্ঠু করতে ইসি যতটা সম্ভব বিতির্কর্ত কমর্কাÐ এড়িয়ে চলবে। তবে নিবার্চনী মাঠে প্রাথীের্দর চতুথর্ দিনেও প্রচার কাযর্ক্রমে উৎসবের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ-বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রাথীর্ ও সমথর্কদের মধ্যে সংঘষের্র ঘটনা ঘটেছে। যা নিবার্চনী আমেজ ও প্রচারে বাধা সৃষ্টি করছে। নিবার্চন কমিশনে দেখা যায়, ১০ ডিসেম্বর প্রাথীের্দর প্রতীক বরাদ্দের পর নিবার্চনী প্রচারণায় মাঠে নামার পরের দিনেই সংঘাত-সংঘষের্র ঘটনা ঘটে। এ জন্য নিরাপত্তা চেয়ে ইসিতে লিখিতভাবে আবেদন করে প্রাথীর্রা। তবে ৪ দিনে বিএনপির মনোনীত ৫ জন ও স্বতন্ত্র প্রাথীর্ একজন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রাথীর্, নিবার্চন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা সদস্যদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে ইসিতে আবেদন করেছেন। এ ব্যাপারে নিবার্চন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ যায়যায়দিনকে বলেন, প্রাথীর্রা নিবার্চনী মাঠে প্রচারণায় নেমে বিভ্রান্ত ও মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। মিথ্যা তথ্য প্রচারে কারও বিরুদ্ধে লিখিতভাবে অভিযোগ এলে ইসি আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। তিনি আরও বলেন, গত ৪ দিনে প্রাথীর্ নিজের নিরাপত্তা ও প্রতিদ্ব›দ্বী প্রাথীর্র বিরুদ্ধে ইসিতে বেশকিছু লিখিত অভিযোগ এসেছে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে রিটানির্ং কমর্কতাের্দর দায়িত্ব দেয়া আছে। যাচাই-বাছাই শেষে তারা ব্যবস্থা নেবেন। দেখা যায়, বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, বরিশাল-১ আসনে বিএনপির প্রাথীর্ জহিরউদ্দিন স্বপন, ভোলা-৩ আসনে বিএনপির প্রাথীর্ মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ, নোয়াখালী-১ আসনের প্রাথীর্ বিএনপির ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমানের ছেলে ইতোমধ্যে নিজের ও কমীর্-সমথর্কদের নিরাপত্তা চেয়ে ইসিতে লিখিত আবেদন করেছেন। এ ছাড়াও ঢাকা-১৬ আসনের স্বতন্ত্র প্রাথীর্ মো. সাদাকাত খান ফাক্কু নিবার্চন কমিশনের আইন শাখার যুগ্ম-সচিব সেলিম মিয়ার বিরুদ্ধে লিখিতভাবে অভিযোগ করেছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও বিভিন্ন দলের নেতারা বলছেন, ২০১৪ সালে ৫ জানুয়ারি জাতীয় নিবার্চনে বিএনপির বাইরে থাকা এবং নিবার্চন কমিশনের আইন অনুযায়ী পরপর দু’বার নিবার্চনে অংশ না নিলে দলের নিবন্ধন বাতিল হতো। এ ছাড়া জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল হওয়ায় দলীয় প্রতীক নিয়ে নিবার্চনে অংশ নিতে পারেনি দলটি, তাদের ক্ষোভ বিরাজ করছে। এ জন্য পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে নিবার্চনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করবে। সেখানে ইসির ভ‚মিকা কৌশলী হতে হবে। কোনো ধরণের ভুল সিদ্ধান্তে যাওয়া যাবে না। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, দলের নিবন্ধন বাতিলসহ বিভিন্ন ইস্যুতে প্রতিশোধ নিতে বিএনপির লেবাসে যে কোনো সময় আবারো দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে জামায়াত। প্রসঙ্গত, নিবার্চনী প্রচারণায় ৪ দিনে সংঘষের্ ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া শত শত নেতাকমীর্ আহত হওয়ার ঘটনায় ভোটযুদ্ধে বেড়েছে উত্তাপ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে