একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চনে বিএনপি নমিনেশন অকশন করেছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নমিশেন অকশন করে তারা জয়ের আশা করে কীভাবে? দেশের জনগণ সবই বোঝে, তারা নিবার্চনে তাদের ভোট দেয়নি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবতর্ন দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। বিএনপির সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, নিবার্চনে বিএনপির মনোনয়ন বাণিজ্য এমন পযাের্য় পেঁৗছায় যে রীতিমতো তা অকশনে পরিণত হয়। সকাল-বিকাল প্রতিটি আসনে কয়েকজনকে প্রাথীর্ ঘোষণা দেয় তারা। যখন যে বেশি টাকা দিয়েছে তাকেই মনোনয়ন দিয়েছে। একটা দল যখন সিট অকশনে দেয় সেখানে আর কী হবে? জয়ের আশা করে কীভাবে? ‘তারা (বিএনপি) জামায়াতে ইসলামীকে মনোনয়ন দিয়েছে, স্বাধীনতা বিরোধীদের দলকে। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ এখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী। তারা তাদের ভোট দেয়নি। এ পরাজয়ের কারণ তাদেরই (বিএনপি) খুঁজে বের করতে হবে।’ শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা এদেশ স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন। তিনি বেঁচে থাকলে স্বাধীনতার ১০ বছরেই বাংলাদেশ উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হতো। কিন্তু আমাদের দুভার্গ্য আমরা তাকে হারিয়েছি। ‘একমাত্র আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে। আমরা ১০ বছরে যা করেছি, অন্যরা ২৮ বছরেও করতে পারেনি। দেশের অথৈর্নতিক উন্নয়ন-ই আমাদের লক্ষ্য। বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হবে সে লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করেছি,’ যোগ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা উন্নয়নটা গ্রামে, তৃণমূল মানুষের কাছে পৌঁছাতে পেরেছি। যার কারণে মানুষ আমাদের ভোট দিয়ে আবারও তাদের সেবা করার সুযোগ দিয়েছে। এজন্য আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। ‘একই সঙ্গে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষকে, যারা প্রত্যেকে আমাদের সমথর্ন দিয়েছেন, ভোট দিয়েছেন।’ স্বাধীনতার পরে স্বদেশ প্রত্যাবতের্নর দিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেয়া ভাষণের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বাহাত্তরের ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরে কীভাবে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে চান-সে বিষয়ে ভাষণে বলেছিলেন। তার সেই পরিকল্পনা ও লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করছি। আজ বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। ‘আমরা চাই, যে উন্নয়ন করেছি সেটা যেন অব্যাহত থাকে। আমি বিশ্বাস করি জনগণ যে বিশ্বাস রেখে আমাদের নিবাির্চত করেছে, আমরা তাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করতে পারব, ইনশাআল্লাহ।’ আওয়ামী লীগ নেতাকমীের্দর উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ও ‘কারাগারের রোজনামচা’ পড়লে বুঝবেন তিনি কত কষ্ট করেছেন। ১৯৪৮ সাল থেকে তার বিরুদ্ধে অথার্ৎ তিনি কী করেন, কোথায় যান প্রতিটি মুহূতের্র রিপোটর্ করেছিল গোয়েন্দারা। এগুলো আমি ক্রমান্বয়ে প্রকাশ করব। তিনি বলেন, তার (বঙ্গবন্ধু) বইগুলো পড়লেই বোঝা যায় যে তার ভাবনায় ছিল বাংলাদেশের মানুষ; মানুষ উন্নত জীবন পাবে এটাই ছিল তার একমাত্র লক্ষ্য। তার সেই আত্মত্যাগ মনে করেই আমাদের চলতে হবে। মানুষ যদি ভালোভাবে চলতে পারে, উন্নত জীবন পায়, শান্তিতে থাকতে পারেÑ এর চেয়ে একজন রাজনীতিবিদের আর কী চাওয়া হতে পারে! বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, জাতির পিতার ৫৪ হাজার বগর্মাইলজুড়ে আছেন- আমি সব সময় এটাই ফিল (অনুভব) করি। আমি মনে করি, আমার মা-বাবা আমাদের ছায়া দিয়ে যাচ্ছেন। নয়তো আমারপক্ষে দেশের এত উন্নয়ন কাজ করা সম্ভব হতো না। আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের শীষর্ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।