বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

মঞ্জুর হত্যা মামলার প্রতিবেদন দাখিলের নতুন তারিখ ২৮ মাচর্

যাযাদি রিপোটর্
  ১৮ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

মেজর জেনারেল আবুল মঞ্জুর হত্যা মামলার অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৮ মাচর্ দিন ধাযর্ করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার পুরান ঢাকা সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে স্থাপিত (অস্থায়ী) ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক প্রদীপ কুমার রায় নতুন এ দিন ধাযর্ করেন।

মামলাটির অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য গতকাল দিন ধাযর্ ছিল। তবে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তা দাখিল না করায় প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন এ দিন ধাযর্ করা হয়।

২০১৪ সালের ২৭ ফেব্রæয়ারি রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) আসাদুজ্জামান খান রচি মামলাটি অধিকতর তদন্তের আবেদন করেন। আবেদনের শুনানিতে তিনি বলেন, ‘এ মামলায় সঠিকভাবে তদন্ত হয়নি। ফলে আরো অনেককে সাক্ষী করা যায়নি। প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটনের জন্য মামলাটি অধিকতর তদন্তের প্রয়োজন।’

আদালত রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন মঞ্জুর করে মামলাটির অধিকতর তদন্তের জন্য সিআইডিকে নিদের্শ দেন। ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রামে এক সেনা অভ্যুত্থানে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নিহত হন। তখন চট্টগ্রামে অবস্থিত সেনাবাহিনীর ২৪তম পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার স্টাফ (জিওসি) ছিলেন আবুল মঞ্জুর।

জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পর আত্মগোপনে যাওয়ার পথে মেজর জেনারেল মঞ্জুরকে আটক করে পুলিশ। এরপর ওই বছরের ২ জুন তাকে পুলিশ হেফাজত থেকে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়।

ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন এবং মৃত্যুর সনদপত্র পেতে দেরি হওয়ায় ঘটনার ১৪ বছর পর ১৯৯৫ সালের ২৮ ফেব্রæয়ারি মঞ্জুরের ভাই আইনজীবী আবুল মনসুর আহমেদ চট্টগ্রামের পঁাচলাইশ থানায় একটি মামলা করেন। ১৯৯৫ সালের ২৭ জুন এ মামলার তদন্ত কমর্কতার্ সিআইডির তৎকালীন সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল কাহার আকন্দ সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদসহ পঁাচজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।

দীঘর্ ১৯ বছর মামলাটি বিভিন্ন কারণে ঝুলে ছিল। বিচার চলাকালে পযার্য়ক্রমে ২২ বিচারক বিচারিক কাযর্ক্রমে নিয়োজিত ছিলেন। বিভিন্ন কারণে তারা সবাই বদলি হন।

২০১৪ সালের ২২ জানুয়ারি মামলার ২৩তম বিচারক ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ হোসনে আরা আক্তার ওই বছর ১০ ফেব্রæয়ারি আলোচিত মামলাটির রায় ঘোষণার দিন ধাযর্ করেন।

২০১৪ সালের ২২ জানুয়ারি পুরনো ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে স্থাপিত অস্থায়ী এজলাসে রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে এ মামলার কাযর্ক্রম শেষ হয়। ওই সময় মামলার প্রধান আসামি জাতীয় পাটির্র চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ও বাকি দুই আসামি মেজর (অব.) কাজী এমদাদুল হক ও লেফটেন্যান্ট কনের্ল (অব.) মোস্তফা কামাল উদ্দিন ভঁূইঞা উপস্থিত ছিলেন।

মামলার চাজির্শটভুক্ত অপর দুই আসামি মেজর জেনারেল (অব.) আবদুল লতিফ ও লেফটেন্যান্ট কনের্ল (অব.) শামসুর রহমান শমসেরের বিরুদ্ধে মামলার কাযর্ক্রম হাইকোটের্র নিদেের্শ স্থগিত থাকে।

মামলায় মোট ৪৯ সাক্ষীর মধ্যে ২৮ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হওয়ার পর ২০১২ সালের ২ অক্টোবর আত্মপক্ষ সমথর্ন করে নিজেকে নিদোর্ষ দাবি করেন প্রধান আসামি সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এর সমথের্ন আদালতে লিখিত বক্তব্যও দাখিল করেন তিনি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<32684 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1