ভোলার লালমোহনে দুবৃের্ত্তর আগুনে দগ্ধ হয়ে একে একে ছোট বোন সুরমা, শিশুকন্যা খাদিজার মৃত্যুর পর এবার গৃহবধূ আংকুরা বেগমও (৪০) মারা গেছেন।
বহু চেষ্টা করেও গৃহবধূ আংকুরাকে বঁাচানো যায়নি। রোববার বিকাল ৩টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজের বানর্ ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
আংকুরার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার মামাতো ভাই স্থানীয় তরী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আমির হোসেন।
এ নিয়ে অগ্নিদগ্ধের ঘটনায় ৩ জনেরই মৃত্যু হলো। এদিকে এ ঘটনায় এখন পযর্ন্ত থানায় কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি।
গত শুক্রবার রাতে উপজেলার চরভূতা ইউনিয়নের খারাকান্দি এলাকায় দুবৃের্ত্তর আগুনে মৃত্যু হয় গৃহবধূ সুরমার (২৫)। এ সময় মারাত্মকভাবে দগ্ধ হন সুরমার বড় বোন আংকুরা ও আংকুরার আট বছরের শিশুকন্যা খাদিজা। শনিবার উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে আংকুরার মেয়ে খাদিজার মৃত্যু হয়।
অপরদিকে বরিশাল থেকে গুরুতর দগ্ধ আংকুরাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার বিকাল ৩টায় মৃত্যু হয় আংকুরার।
এ বিষয়ে লালমোহন থানার ওসি মীর খায়রুল কবীর বলেন, ঘটনাটি হৃদয় বিদারক। তবে এর সঙ্গে যারা জড়িত তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছেন।