শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন

ইডেনের সাবেক অধ্যক্ষ খুনে জড়িত একাধিক ব্যক্তি

যাযাদি রিপোটর্
  ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০
আপডেট  : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:১২
মাহফুজা চৌধুরী পারভীন

কারও একার পক্ষে ইডেন কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মাহফুজা চৌধুরী পারভীনকে হত্যা করা সম্ভব নয়। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। একাধিক ব্যক্তি তাকে হত্যা করে থাকতে পারেন। মাহফুজা চৌধুরীর লাশের ময়নাতদন্ত শেষে এ কথা জানান ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান সোহেল মাহমুদ। সোমবার দুপুরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, মাহফুজা চৌধুরীকে তার মুখ চেপে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। তার ঠেঁাট, মুখ ও আঙুলে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এ ছাড়া তার হাতের একটি আঙুল ভাঙা ছিল। মাহফুজা চৌধুরীকে একজনের পক্ষে হত্যা করা সম্ভব নয়। ধস্তাধস্তির একপযাের্য় শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করা হয়েছে। একাধিক ব্যক্তি এর সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। মাহফুজা চৌধুরী পারভীন হত্যার ঘটনায় সোমবার সকালে রাজধানীর নিউমাকের্ট থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন তার স্বামী ইসমত কাদির গামা। মামলায় তার বাড়ির দুই গৃহকমীর্সহ তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপির) রমনা বিভাগের উপকমিশনার মারুফ হোসেন সরদার এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তিনজনকে ধরতে তৎপরতা চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এর আগে সকালে মারুফ হোসেন সরদার জানান, এ হত্যার ঘটনায় তার দুই গৃহকমীর্ স্বপ্না ও রেশমাকে আটকের জন্য বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালানো হয়েছে। তদন্তের স্বাথের্ এখনই তৃতীয় ব্যক্তির নাম প্রকাশ করা হয়নি। ওই ব্যক্তি স্বপ্না ও রেশমাকে ওই বাসায় কাজে দিয়েছিলেন। মারুফ হোসেন সরদার বলেন, ‘আমাদের সন্দেহের তীর ওই দুই গৃহকমীর্র দিকেই। ওই ঘটনার পর বিকাল পঁাচটার দিকে তারা পালিয়ে যায়। এরপরই তাদের ধরার জন্য বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়েছি। সোমবার সারা রাতই অভিযান চলে। আশা করছি দ্রæত তাদের আটক করা সম্ভব হবে।’ পুলিশ ছাড়াও র‌্যাব ঘটনার ছায়া তদন্ত করছে বলে জানান তিনি। পলাতক দুই গৃহকমীর্ স্বপ্না ও রেশমার বয়স আনুমানিক ৩৬ ও ৩০ বছর। স্বপ্নার বাড়ি ফরিদপুরের বোয়ালমারী ও রেশমার বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলায়। তদন্ত-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এ দুজনকে ধরতে পুলিশের পাশাপাশি অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও তৎপরতা চালাচ্ছে। রোববার বিকেলে নিজের বাসায় খুন হন মাহফুজা চৌধুরী পারভীন। এলিফ্যান্ট রোডের সুকন্যা টাওয়ারের বাসায় থাকতেন তিনি। এ ঘটনার পর তার বাসার দুই গৃহকমীর্ স্বপ্না ও রেশমা পালিয়ে যান। পুলিশ খুনি হিসেবে প্রাথমিকভাবে তাদের সন্দেহ করছে। মাহফুজা চৌধুরীর স্বামী ইসমত কাদির গামা আশির দশকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান। মাহফুজা চৌধুরী ২০০৯ থেকে ২০১২ সাল পযর্ন্ত ইডেন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। সুকন্যা টাওয়ারের ১৫ ও ১৬ তলায় দুটি ফ্ল্যাটে (ডুপ্লেক্স) এই দম্পতির বহুদিনের সংসার। ওপরের অংশটিতে তারা থাকেন। নিচতলায় রান্নাঘর, গৃহকমীের্দর আবাস। তাদের দুই ছেলের একজন সেনাবাহিনীর চিকিৎসক, আরেকজন ব্যাংকে চাকরি করেন বলে জানান স্বজনরা। তারা এখানে থাকেন না। বাড়িতে তিনজন গৃহকমীর্ ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে