শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
ঢাকা সিটি নির্বাচন

কাউন্সিলর প্রার্থীদের নজরে রাখবে নির্বাচন কমিশন

যাযাদি রিপোর্ট
  ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০
সোমবার ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ Ñযাযাদি

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীরা যেন কোনো ধরনের গন্ডগোল করতে না পারেন সে জন্য তাদের ওপর নজরদারি করবে এবং তাদের গতিবিধি অনুসরণ করবে নির্বাচন কমিশন। সোমবার এই নির্বাচনের আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এই কথা জানান নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। আগামী ২৮ ফেব্রম্নয়ারি ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র পদে উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে। একই সঙ্গে উত্তর ও দক্ষিণ সিটিতে নতুন যুক্ত হওয়া ৩৬টি ওয়ার্ডে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল এ নিয়ে ইসির সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ইসির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ ব্রিফিংয়ে সচিব হেলালুদ্দীন বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা কাউন্সিলরদের কড়া নজরদারিতে রাখবেন, প্রার্থীদের গতিবিধি অনুসরণ করবেন। কেউ গন্ডগোল করলে আইনগতভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সচিব জানান, সিটি নির্বাচনে পুলিশের মোবাইল ফোর্স থাকবে ৯টি, স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে ৬টি,র্ যাবের মোবাইল টিম থাকবে ৯টি এবং বিজিবির মোবাইল টিম থাকবে ৯টি। এ ছাড়া আলাদাভাবের্ যাব ও বিজিবির কিছু মোবাইল টিম অপেক্ষমান বাহিনী হিসেবে থাকবে। নির্বাচনের শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক নির্বাহী ও বিচারিক হাকিম নিয়োজিত থাকবেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর প্রধানেরা কমিশনকে আশ্বস্ত করেছেন, নির্বাচনে এমন কোনো পরিবেশ সৃষ্টি হবে না যার কারণে ভোটারেরা ভোটকেন্দ্রে যেতে ভয় পাবেন। সচিব আরও জানান, গোয়েন্দা বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ভোট বিঘ্নিত হতে পারে এমন কোনো হুমকি তারা এখন পর্যন্ত পাননি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে সভায় কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, ও শাহাদাত হোসেন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। আরও উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, পুলিশ, র?্যাব ও বিজিবিসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। শেষ তিন ধাপে সদরে ইভিএমে ভোট এদিকে পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তৃতীয় থেকে পঞ্চম ধাপে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। সোমবার নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, 'আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন পাঁচ ধাপে হবে। প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে ইভিএম ব্যবহার হবে না- এ বিষয়ে ইসি সিদ্ধান্ত দিয়েছে। তবে তৃতীয় ধাপ থেকে উপজেলা নির্বাচনে সদর এলাকায় ব্যবহার করা হবে।' 'সদর উপজেলাগুলোতে পরিকল্পনা আছে ইভিএম ব্যবহারের। তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করার জন্য কমিশন সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছে।' দেশের ৪৯২ উপজেলার মধ্যে পাঁচ ধাপে ভোট হচ্ছে এবার। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ১০ মার্চ প্রথম ধাপে ৮৭ উপজেলায় ভোট, দ্বিতীয় ধাপে ১৮ মার্চ ১২৯ উপজেলা, তৃতীয় ধাপে ২৪ মার্চ সাত বিভাগের ২৫ জেলার ১২৭টি উপজেলায় নির্বাচন হবে। এ ছাড়া ৩১ মার্চ চতুর্থ ও ১৮ জুন পঞ্চম ধাপে উপজেলা নির্বাচন করা হবে। উপজেলায় ইভিএম ব্যবহারের আইন থাকলেও এখনো এ সংক্রান্ত বিধিমালা জারি হয়নি। এ জন্য বিলম্ব করতে হচ্ছে কমিশনকে। ডিসিসিতে ইভিএম ব্যবহার হবে না সকালে নির্বাচন ভবনে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের ইসি সচিব জানান, পরীক্ষামূলকভাবে ঢাকায় দুটি কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহারের পরিকল্পনা থাকলেও তা আর করা হচ্ছে না। এক প্রশ্নে হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, 'ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে না।' তিনি জানান, ঢাকার প্রতি কেন্দ্রে ২২ জন করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য থাকবেন। আর ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ২৪ জন করে থাকবেন। এ ছাড়া বিজিবি,র্ যাবের বিষেশ টহল, ম্যাজিস্ট্রেট টিম থাকবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে