শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পরিবারের তিন সদস্যের লাশের অপেক্ষায় স্বজনরা

যাযাদি রিপোর্ট
  ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০
চকবাজার অগ্নিকান্ডে নিহত নাসরিন জাহান ও তার স্বামী সালেহ মো. লিপুর এই ছবি এখন শুধুই স্মৃতি -সংগৃহীত

চকবাজার ট্র্যাজেডিতে একই পরিবারের তিন সদস্য নিহত হয়েছেন। তারা হলেন, নাসরিন জাহান (২৪), তার স্বামী সালেহ মো. লিপু (৩২) ও সন্তান আবু তাহির। এখনো তাদের লাশ শনাক্ত করতে পারেনি স্বজনরা। তাই তো লাশ শনাক্ত করতে ডিএনএ নমুনা দিয়েছেন পরিবারের অন্য দুই সদস্য। সেখানেই এ প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় নাসরিনের ভাই আনোয়ার হোসেন রনির।

বোনের লাশ শনাক্ত করতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে ডিএনএ নমুনা দেয়ার জন্য মাকে নিয়ে এসেছিলেন রনি। তিনি বলেন, 'আমরা তিন ভাই, এক বোন। আমরা পুরান ঢাকার স্থায়ী বাসিন্দা। আমার বোনের স্বামী ঘটনার রাতে বোনকে নিতে আশিক টাওয়ারে যায়। অগ্নিকান্ডের ১০ মিনিট আগে তারা সেখান থেকে বের হয়ে বাড়ির দিকে রওনা দেয়। সেটা অফিসের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেছে দেখা গেছে। আমার বোন ইডেন কলেজ থেকে অ্যাকাউন্টিংয়ে মাস্টার্স শেষ করে হাজি সেলিমের মালিকানাধীন আশিক টাওয়ারের অ্যাকাউন্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করত।' রনি বলেন, 'ঘটনার রাতে বোন, বোন-জামাই ও তাদের ছেলে একসঙ্গেই ছিল। আশিক টাওয়ার থেকে তাদের বাসায় যাওয়ার একটাই রাস্তা। ওই রাস্তাতেই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। হয়তো ২-৪ মিনিট সময় পেলে তারা আগুন থেকে বেঁচে যেতে পারত। আমার আম্মা বোনের মরদেহ শনাক্তের জন্য ডিএনএ নমুনা জমা দিতে এসেছে। আর ভগ্নিপতির জন্য তার বাবা লাল মিয়া ডিএনএ দিতে এসেছেন।'

পলাশ নামের একজন বলেন, 'লিপু ভাই রাতে ভাবিকে অফিস থেকে আনতেই গিয়েছিলেন। তারা যে আগুনের মধ্যেই পড়েছেন এটা আমরা নিশ্চিত। এখন আমরা তিনজনের মরদেহ খুঁজছি।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<37966 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1