পানামা ও প্যারাডাইস পেপারসে যে সব অনিয়মের অভিযোগ এসেছে, সে সবের ব্যাপারে দুনীির্ত দমন কমিশন (দুদক) অনুসন্ধান করছে বলে জানিয়েছেন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।
মঙ্গলবার বিকালে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অজস্র্র প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির অবৈধ অথৈর্নতিক লেনদেন ও মালিকানা সংক্রান্ত লাখো নথি ফঁাস করে পানামা ও প্যারাডাইস পেপারস। সেখানে বাংলাদেশের অনেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামও আসে বলে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা যায়।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘গণমাধ্যমে আসা অনিয়মের বিষয় আমরা এড়িয়ে যেতে পারি না, উপেক্ষা করতে পারি না। পানামা ও প্যারাডাইস পেপারসের ঘটনাও তেমন। বিষয়টি আমরা অনুসন্ধান করছি। সত্যটা আমাদের ও আপনাদের সবাইকে জানতে হবে।’
পানামা পেপারসে নাম না থাকা সত্তে¡ও হয়রানি করছে, এমন অভিযোগের জবাবে চেয়ারম্যান বলেন, বিষয়টি আমি বলতে পারবো না। অনুসন্ধানী কমর্কতার্রা ভালো বলতে পারবেন। আপনারা অনুসন্ধানী কমর্কতাের্দর কাছ থেকে জানতে পারবেন।
‘এখানে অথর্পাচার হয়েছে কি-না বা কারও সম্পত্তি অবৈধ কি-না, আমার মনে হয় সবার জানা দরকার। আমরা কাউকে হেনস্তা করছি না। আমার মনে হয়, আমাদের সবার জানার অধিকার রয়েছে।’
ইকবাল মাহমুদ বলেন, আমরা চাই সত্য উদঘাটিত হোক এবং দেশের সবকিছু আইন অনুযায়ী চলুক। আমাদের সংবিধানে মানা করে দিয়েছে, আপনি অবৈধ সম্পদ অজর্ন কিংবা ভোগ করতে পারবেন না।
দুদক একটি ‘অ্যাসেট রিকভারি ইউনিট’ করেছে জানিয়ে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান বলেন, অনেক চলমান অবৈধ সম্পত্তির মামলায় দুভার্গ্যক্রমে ব্যক্তি মারা যাওয়ার পর মামলা শেষ হয়ে যায়। কিন্তু ওই সম্পদ ঠিকই রয়ে যায়। এগুলোর বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে আমরা এই ইউনিট গঠন করেছি। যে কোনো অবৈধ সম্পদের বিষয়ে দুদকের কতর্ব্য আছে।
এদিকে প্যারাডাইস পেপারস কেলেঙ্কারিতে নাম আসা ইন্ট্রিডিপ গ্রæপের পরিচালক ফারহান ইয়াকবুর রহমানকে মঙ্গলবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুদক। বেলা সাড়ে ১১টা থেকে আড়াইটা পযর্ন্ত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদকের উপ-পরিচালক আখতার হামিদের নেতৃত্বে একটি টিম।
এর আগে গত ৮ জুলাই দুদকের পক্ষ থেকে ইয়াকবুর রহমান এবং এক বিদেশিসহ তিন ব্যবসায়ীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মঙ্গলবার তলব করা হয়। অন্য দু’জন হলেনÑ উইং লিমিটেডের পরিচালক এরিক জনসন আনড্রেস উইলসন ও ফেলকন শিপিংয়ের মাহতাবা রহমান।
দুদক সূত্র জানিয়েছে, ইয়াকবুর জিজ্ঞাসাবাদে হাজির হলেও আসেননি আনড্রেস উইলসন ও মাহতাবা রহমান। কারণ তাদের যে ঠিকানায় তলবের চিঠি পাঠানো হয়েছিল, সে ঠিকানায় তাদের পাওয়া যায়নি।
এর আগে গত সোমবার পানামা পেপারস কেলেঙ্কারিতে নাম আসা ইউনাইটেড গ্রæপের চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। তারা হলেনÑ গ্রæপের চেয়ারম্যান হাসান রাজা, গ্রæপের প্রতিষ্ঠান মাল্টি ট্রেমাকেির্টং লিমিটেডের পরিচালক খন্দকার মঈনুল আহসান, আহমেদ ইসমাইল হোসেন ও আকতার মাহমুদ।