আজকের যায়যায়দিন

রাজধানীর মিরপুর থানাধীন রূপনগরের একটি ভবনের পঞ্চমতলা থেকে সদ্য ভূমিষ্ট নবজাতককে ফেলে দেয়া হয় শনিবার (২৫ মে)। এতে সঙ্গে সঙ্গেই তার মৃতু্য হয়।

ওই ঘটনার পর আশপাশের ভবন তলস্নাশি করে হত্যাকারী কিশোরী মাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে (বয়স ১৮ বছরের নিচে হওয়ায় তার নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না)। এ ঘটনায় রূপনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। মামলায় ৪ জনের মধ্যে এক নম্বর আসামি করা হয়েছে তাকে।

শনিবার রাতে কিশোরী মাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। এরপর বেরিয়ে আসে ঘটনার মূল রহস্য।

রূপনগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) পরিমল চন্দ্র বলেন, মেয়েটি নিজের বয়স ১৮ বলেছে। তবে বাবা-মায়ের দাবি তার বয়স ১৭ বছর ৬ মাস। এ বছর মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেছে।

ন্যায্য ক্ষতিপূরণ মেলেনি বিচারে অগ্রগতি সামান্য

তিনি বলেন, থানায় জিজ্ঞাসাবাদে মেয়েটি জানায়, তার মা দুই বিয়ে করেছে। সে মায়ের প্রথম স্বামীর সন্তান। ওই বাসায় মা ও সৎবাবা শাহ্‌ আলমের সঙ্গে থাকত। শাহ্‌ আলমের ছোট ভাই বিলস্নাল হোসেন বিদেশ থাকেন। সম্প্রতি দেশে ফিরে কয়েক মাসের জন্য রূপনগরের এই বাসায় ছিলেন। সেই সময় তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের কারণে গর্ভবতী হয় সে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, এরপর মা-বাবা তাকে গর্ভপাতের জন্য চাপ দেয়। শুক্রবার ভোররাতে মেয়েটির প্রসব বেদনা ওঠে এবং সকাল সাড়ে ১১টায় টয়লেটে গিয়ে সে নিজেই সন্তান প্রসব করে। নবজাতকটি পৃথিবীতে আসার ৩০ মিনিট পর অর্থাৎ ১২টার সময় তাকে টয়লেটের ভেন্টিলেটর দিয়ে ফেলে দেয়া হয়।

কিশোরীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার জন্য পুলিশি হেফাজত থেকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এসআই পরিমল জানান, এ ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় মেয়ের মা, বাবা শাহ্‌ আলম ও সৎবাবার ভাই বিলস্নাল হোসেনকে আসামি করা হয়েছে। শাহ্‌ আলমকে গ্রেপ্তার করা হলেও তার মা বর্তমানে গর্ভবতী এবং দ্বিতীয় স্বামীর ঘরের একটি ছোট ছেলে থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তবে তিনি নজরদারিতে থাকবেন।

ওই নবজাতকের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।