মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

টেকনাফ ও কুমিলস্নায় বন্দুকযুদ্ধে চার মাদক ব্যবসায়ী নিহত

যাযাদি ডেস্ক
  ১৭ জুন ২০১৯, ০০:০০

কক্সবাজারের টেকনাফের্ যাবের সঙ্গে 'বন্দুকযুদ্ধে' তিন ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।র্ যাবের ভাষ্য, নিহত তিনজন মাদক ব্যবসায়ী ছিলেন। এছাড়া কুমিলস্নায় বিজিবির সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে আরও এক মাদক ব্যবসায়ীর মৃতু্য হয়েছে।

এর মধ্যে শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং-বাহারছড়া সড়কের পাহাড়ি ঢালা নামক এলাকায় কথিত এই বন্দুকযুদ্ধ হয়।র্ যাব-১৫-এর টেকনাফ ক্যাম্পের কর্মকর্তা লে. কমান্ডার (বিএন) মির্জা শাহেদ মাহতাব এই তথ্য জানান।

বন্দুকযুদ্ধে নিহত ব্যক্তিরা হলেন- কক্সবাজার পৌরসভার চৌধুরীপাড়ার গবি সোলতানের ছেলে দিল মোহাম্মদ (৪২), একই এলাকার মো. ইউনূছের ছেলে রাশেদুল ইসলাম (২২) ও চট্টগ্রামের আমিরাবাদের মাস্টারহাট এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৪২)।

র্

যাবের ভাষ্য, এ ঘটনায়র্ যাবের দুই সদস্য আহত হয়েছেন। তারা হলেন মো. জাহাঙ্গীর ও মো. সোহেল।

ঘটনাস্থল থেকে ১ লাখ ৪০ হাজার ইয়াবা বড়ি, চারটি দেশীয় অস্ত্র (এলজি) ও ২১টি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানায়র্ যাব।

র্

যাব-১৫-এর টেকনাফ ক্যাম্পের কর্মকর্তা লে. কমান্ডার (বিএন) মির্জা শাহেদ মাহতাব বলেন, শনিবার রাতে একদল ইয়াবা কারবারি ও অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী টেকনাফের হোয়াইক্যং-বাহারছড়ার পাহাড়ি ঢালা নামক এলাকায় ইয়াবার একটি বড় চালান পাচার করছে বলে তথ্য পাওয়া যায়। এই তথ্যের ভিত্তিতের্ যাবের একটি বিশেষ দল ওই এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময়র্ যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে সেখানে থাকা অস্ত্রধারীরা গুলি ছুড়তে শুরু করে।র্ যাবও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এতের্ যাবের দুই সদস্য আহত হন। একপর্যায়ে অস্ত্রধারীরা পিছু হটে। পরে ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তিনজন ইয়াবা কারবারিকে পাওয়া যায়। তাদের উদ্ধার করে দ্রম্নত টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে নেয়া হলে তিনজনকেই মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শঙ্কর চন্দ্র দেবনাথ বলেন, রাতে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তিনজনকে হাসপাতালে আনা হয়। হাসপাতালে আনার আগেই তাদের মৃতু্য হয়। তাদের প্রত্যেকের শরীরে তিনটি করে গুলির চিহ্ন রয়েছে।

এছাড়ার্ যাবের আহত দুই সদস্য মো. জাহাঙ্গীর ও মো. সোহেলকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাস বলেন, লাশ তিনটি ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়া চলছে।

গত বছরের ৪ মে থেকে দেশব্যাপী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিশেষ মাদকবিরোধী অভিযান শুরু হয়। এনিয়ের্ যাব-পুলিশ-বিজিবির সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধ ওই এলাকায় মাদকের প্রভাব বিস্তারসহ বিভিন্ন ধরনের ঘটনায় কক্সবাজার জেলায় ১১৬ জন নিহত হয়েছে।

কুমিলস্নায় মাদক ব্যবসায়ী নিহত

কুমিলস্নার স্টাফ রিপোর্টার জানান, কুমিলস্নায় বিজিবির সাথে বন্দুকযুদ্ধে আবুল হাশেম (৫২) নামে এক মাদক চোরাকারবারি নিহত হয়েছেন। রোববার ভোর রাতে জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী মথুরাপুর এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এ সময় প্রায় সাড়ে ১৮ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। নিহত আবুল হাশেম জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার ইব্রাহিমপুর গ্রামের মৃত মিন্নত আলীর ছেলে।

কুমিলস্না ১০ বিজিবি'র অধিনায়ক লে. কর্নেল আবু মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, মাদকের একটি বড় চালান আসছে- এমন খবর পেয়ে শনিবার ভোর রাত ৩টার দিকে বিজিবির একটি দল জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী মথুরাপুর এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় সীমান্তের প্রায় এক কিলোমিটার বাংলাদেশ অভ্যন্তরে চোরাকারবারিরা বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে বিজিবিকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে বিজিবিও আত্মরক্ষার্থে চোরাকারবারিদের লক্ষ্য করে পাল্টা গুলি চালায়। উভয়পক্ষের গুলি বিনিময়ের সময় আবুল হাশেম নামে এক মাদক ব্যবসায়ী গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয় এবং একপর্যায়ে অপর চোরাকারবারিরা পালিয়ে যায়। পরে আহত মাদক ব্যবসায়ীকে উদ্ধারসহ তার নিকট থেকে পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় ১৮ হাজার ৩৮০ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়। পরে আহত মাদক ব্যবসায়ীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুমিলস্না মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<53906 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1