শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বন্যা : বাঁধ ভেঙে তলিয়ে যাচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম

যাযাদি ডেস্ক
  ১৮ জুলাই ২০১৯, ০০:০০
আপডেট  : ১৮ জুলাই ২০১৯, ০০:০৮
দীর্ঘদিন ধরে পানিবন্দি হয়ে চরম দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছেন বন্যা কবলিত এলাকার মানুষ। বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের সংকটে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তারা। ছবিটি বুধবার বগুড়ার সারিয়াকান্দির চন্দবাইশা থেকে তোলা -যাযাদি

দেশের বিভিন্ন জেলায় বাঁধ ভেঙে তলিয়ে যাচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম। গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমার ১৪৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছে। ৭টি পয়েন্টে বাঁধ ভেঙে পস্নাবিত হয়েছে গাইবান্ধা শহরসহ দুই শতাধিক গ্রাম। ধসে পড়েছে উত্তরবঙ্গ শিক্ষাসেবাকেন্দ্রের কার্যালয়। এদিকে, নওগাঁয় আত্রাই নদী রক্ষা বাঁধের ২শ ফিট ভেঙে পস্নাবিত হয়েছে ২ শতাধিক গ্রাম। যমুনার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে জামালপুর ও বগুড়ার নতুন নতুন এলাকা তলিয়ে গেছে। রেললাইনে পানি ওঠায় দেওয়ানগঞ্জে ট্রেন চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় বেড়েই চলছে নদনদীর পানি। পস্নাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। বাড়ছে জনদুর্ভোগ। গাইবান্ধায় ঘাঘট ও ব্রহ্মপুত্রের পানি অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। ৭টি পয়েন্টে বাঁধ ভেঙে পস্নাবিত হয়েছে শহরের ডেভিড কোম্পানিপাড়া, কুটিপাড়া, জুম্মাপাড়া ও পূর্বপাড়াসহ দুই শতাধিক গ্রাম। ভেসে গেছে অন্তত ৩০ হাজার কাঁচা বাড়িঘর। পানিবন্দি হয়ে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে মানবেতর জীবনযাপন করছেন প্রায় চারলাখ মানুষ। হুমকির মুখে রয়েছে গাইবান্ধা-সুন্দরগঞ্জ সড়কের কদমতলী ব্রিজসহ ৭টি ব্রিজ ও কালভার্ট। কদমতলী এলাকায় উত্তরবঙ্গ শিক্ষা সেবাকেন্দ্রের কার্যালয় ধসে পড়েছে। বাদিয়াখালী ও ত্রিমোহিনী এলাকায় রেললাইন তলিয়ে যাওয়ায় বন্ধ রয়েছে লালমনিরহাট-গাইবান্ধা-ঢাকা রুটের ট্রেন চলাচল। নওগাঁর মান্দায় আত্রাই নদীর বাঁধের প্রায় ৩শ ফিট ভেঙে পস্নাবিত হয়েছে প্রায় দুশো গ্রাম। বাড়িঘর, পুকুর ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন লক্ষাধিক মানুষ। পরিবার-পরিজন নিয়ে উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন দুর্গতরা। জামালপুরে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। ঝুঁকি এড়াতে ইসলামপুর পর্যন্ত ট্রেন চলাচলের নির্দেশনা দিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে দেওয়ানগঞ্জ-সানন্দবাড়ী-রাজিবপুর অভ্যন্তরীণ সড়ক যোগাযোগ। বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে উপজেলার প্রায় দুশো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বগুড়ায় আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। সরকারি সহায়তা পাননি বলে অভিযোগ তাদের। সারিয়াকান্দির পর এবার ধুনট উপজেলার নতুন নতুন এলাকা পস্নাবিত হয়েছে। বানভাসি মানুষ আশ্রয় নিয়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে। এদিকে, পদ্মার পানি বাড়তে থাকায় রাজবাড়ীতে নতুন করে দেখা দিয়েছে ভাঙন। জেলার নদী তীরের ১৫টি পয়েন্টে শতাধিক বসতভিটা নদীতে বিলীন হয়েছে। ত্রাণ সহায়তার পাশাপাশি শিগগিরই উঁচু ও টেকসই বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন নদী পাড়ের মানুষ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে