শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আওয়ামী লীগের দুগর্ দখলে মরিয়া বিএনপি

ভোটের হাওয়া ময়মনসিংহ ১১
আবু সালেহ মো. মূসা ময়মনসিংহ
  ২৪ জুন ২০১৮, ০০:০০
আপডেট  : ২৪ জুন ২০১৮, ২৩:৪৭

একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের দুগর্খ্যাত ময়মনসিংহ-১১ (ভালুকা) আসনে প্রায় ডজন খানেক প্রাথীর্ মনোনয়ন দৌড়ে মাঠে রয়েছেন। গণসংযোগ ও তৃণমূলকে সুসংগঠিত করতে সভা-সমাবেশ অব্যাহত রাখার পাশাপাশি দলীয় হাই কমান্ডে লবিং-গ্রæপিং শুরু করেছেন এসব প্রাথীর্রা। আগামী নিবার্চনে আওয়ামী লীগ চায় জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে, অন্যদিকে বিএনপি চায় আওয়ামী লীগের দুগর্ ভেঙ্গে আসনটি পুনরুদ্ধার করতে।

একটি পৌরসভা ও ১১টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত শিল্পাঞ্চলখ্যাত এ আসনটি আওয়ামী লীগের শক্তিশালী ঘঁাটি। ’৯৬ সাল থেকে পর পর চারবার জাতীয় সংসদ নিবার্চনে আওয়ামী লীগের দখলে রয়েছে এ আসনটি। ১৯৭০ ও ১৯৭৩ সালে ভাষা সৈনিক ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক আ’লীগের অ্যাডভোকেট মোস্তফা এম মতিন, ’৭৯ সালের ১৮ ফেব্রæয়ারি নিবার্চনে মুসলিম লীগ থেকে আফতাব উদ্দিন আহাম্মেদ চঁান মিয়া, ’৮৬ সালে মুসলিম লীগ থেকে আলহাজ আমান উল্যাহ চৌধুরী, ’৮৮ সালে জাতীয় পাটির্র মেজর (অব.) আব্দুল হামিদ, ’৯১ ও ’৯৬‘র ১৫ ফেব্রæয়ারি নিবার্চনে বিএনপির আলহাজ আমান উল্যাহ চৌধুরী, ’৯৬ সালের ১২ জুন, ২০০১, ২০০৮ ও ২০১৪ সালের নিবার্চনে টানা ৪ বার আ’লীগের ডা. অধ্যাপক এম আমান উল্লাহ আসনটিতে জয় পান।

আগামী নিবার্চনে আওয়ামী লীগ থেকে বতর্মান এমপি ও সাবেক স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী, বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এম আমান উল্লাহ, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, পাপুয়া নিউগিনি আওয়ামী লীগের ৩ বারের সভাপতি বিশিষ্ট দানবীর শিক্ষানুরাগী ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও বিশিষ্ট শিল্পোদ্যোক্তা আলহাজ এমএ ওয়াহেদ, কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি সাবেক ছাত্রলীগ নেতা অ্যাডভোকেট আশরাফুল হক জজর্, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাজী রফিকুল ইসলাম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞ ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ডা. কেবিএম হাদিউজ্জামান সেলিম, কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান বিপ্লব, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সভাপতি আলহাজ কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ ধনু, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী যুব-লীগের যুগ্ম আহŸায়ক রফিকুল ইসলাম পিন্টু, উপজেলা পরিষদের দুই বারের ভাইস চেয়ারম্যান জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদিকা মনিরা সুলতানা মনি, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার মহিউদ্দিন মনোনয়ন প্রত্যাশায় মাঠে রয়েছেন। এছাড়াও উপজেলার আনাচে কানাচে অনেক নতুন মুখ দলীয় মনোনয়ন চেয়েছেন।

বিএনপি থেকে সম্ভাব্যপ্রাথীর্রা হলেনÑ ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক দানবীর ইউনিয়ন পরিষদ ফোরামের সাবেক মহাসচিব আলহাজ মোশের্দ আলম, উপজেলা বিএনপির সাবেক আহŸায়ক অ্যাডভোকেট আনোয়ার আজিজ টুটুল।

জাতীয় পাটির্ থেকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হাফিজ উদ্দিন মাস্টার দলীয় মনোনয়ন চাইবেন।

বতর্মান এমপি অধ্যাপক ডা. এম আমান উল্লাহ এ আসনে টানা ৪থর্ বারের এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি দীঘর্সময় ধরে এমপি থাকলেও নিবার্চনী এলাকায় আশানুরূপ উন্নয়ন না হওয়ায় সাধারণ মানুষ অনেকটা ক্ষুব্ধ। তবে ক্লিন ইমেজের অধিকারী হয়ে প্রথমবার স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন সফলতার সাথে। যদিও পরে তার সেই ইমেজ নষ্ট হয়েছে নানা কারণে। বয়সজনিত কারণে এখন অনেকটাই দুবর্ল হয়ে পড়েছেন তিনি। অধ্যাপক ডা. এম আমান উল্লাহ বলেন, তিনি ভালুকার প্রত্যন্ত অঞ্চলের রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ-কালভাটর্, বিদ্যুতায়নসহ সাবির্ক উন্নয়ন করেছেন। অবহেলিত জনপদ ভালুকাকে একটি আধুনিক ভালুকায় রূপান্তরিত করেছেন। নেত্রী যদি তাকে এ আসন থেকে আবারও মনোনয়ন দেন তবে তিনি জয়ী হয়ে এ আসনটি নেত্রীকে উপহার দিতে পারবেন। ভালুকার মানুষ তার নেতৃত্বের প্রতি আস্থাশীল। আবারও এমপি নিবাির্চত হয়ে তিনি তার অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে পারবেন।

এক সময়ের তুখড় ছাত্রনেতা বতর্মানে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা ছাত্রলীগ ও যুবলীগ সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৪ সালে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হওয়ার পর এলাকায় ব্রিজ-কালভাটর্, বিদ্যুতায়ন ও রাস্তা-ঘাটের ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। গোলাম মোস্তফা বলেন, বতর্মান নেতৃত্ব জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি। তিনি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নিবাির্চত হওয়ার পর এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। তিনি আশা করছেন দল তাকে মূল্যায়ন করবে। তিনি মনোনয়ন পেলে বিপুল ভোটের ব্যবধানে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করবেন।

বিশিষ্ট শিল্পপতি সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগ নেতা দানবীর আলহাজ এমএ ওয়াহেদ দীঘির্দন থেকেই ভালুকার মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। তিনি তৃণমূল থেকে শুরু করে দলীয় হাইকমান্ড পযর্ন্ত যোগাযোগ রক্ষা করে যাচ্ছেন। এলাকায় ব্যক্তিগত খরচে রাস্তা-ঘাট ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে দান-অনুদান অব্যাহত রাখায় উপজেলা জুড়ে ইতোমধ্যেই তিনি দানবীর হিসেবে পরিচিত লাভ করেছেন। এছাড়া অসহায় মেধাবি শিক্ষাথীের্দর বৃত্তি প্রদান, হতদরিদ্রদের গৃহ নিমার্ণ, মুক্তিযোদ্ধা ও অসুস্থ ব্যক্তিকে চিকিৎসার জন্য আথির্ক সহযোগিতা করে চলেছেন। বিভিন্ন উৎসবে শত শত হতদরিদ্রের মাঝে শাড়ি-লুঙ্গি এবং শীতবস্ত্র বিতরণসহ নিজ অথের্ দেড় শতাধিক গবির মুসলিমকে পবিত্র হজ পালন করিয়েছেন। এতে করে এমএ ওয়াহেদের ভালুকার স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকমীর্ এবং সাধারণ মানুষের মাঝে একটি শক্ত ভীত তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, ছাত্রজীবনে আনন্দ মোহন কলেজে পড়ার সময় ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছেন। পরে জীবনের অনেকটা সময় প্রবাসে কাটিয়েছেন। এখন তিনি ভালুকার মানুষের উন্নয়নে কাজ করতে চান। দীঘির্দন থেকে দলীয় নেতাকমীের্দর সাথে নিয়ে তৃণমূল থেকে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করে যাচ্ছেন। দলের সাধারণ নেতাকমীর্ থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ তাকে চায়। দল থেকে তাকে মনোনয়ন দিলে তিনি একটি উন্নত আধুনিক ডিজিটাল ভালুকা গড়বেন। তিনি আশা করেন গণতন্ত্রের মানসকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা তাকে মনোনয়ন দেবেন।

মুক্তিযুদ্ধের ১১নং সেক্টরের সাব-সেক্টর কমান্ডার আফসার বাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত মেজর আফসার উদ্দিনের ছেলে উপজেলা ছাত্রলীগের ও যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ ধনু দীঘির্দন ধরে দলীয় রাজনীতির সাথে জড়িত থেকে এলাকার উন্নয়ন করছেন। গণসংযোগ, সভা-সমাবেশ অব্যাহত রেখেছেন। তিনি জানান, দীঘির্দন থেকে এলাকার মানুষের জন্য কাজ করছেন। ভালুকায় জনপ্রিয়তায় তিনি শীষের্। জনমতের ভিত্তিতে মনোনয়ন দেয়া হলে দলীয় মনোনয়ন তিনিই পারেন। মনোনয়ন পেলে বিপুল ভোটের ব্যবধানে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করবেন।

জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ব্যবসায়ী দানবীর হাজী রফিকুল ইসলাম রফিক দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশায় মসজিদ-মাদ্রাসা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মেধাবি ছাত্র-ছাত্রীদের বৃত্তি প্রদানসহ এলাকায় দান-অনুদান অব্যাহত রেখেছেন। তিনি জানান, দীঘির্দন থেকে ভালুকার মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তৃণমূলে গণসংযোগ, সভা-সমাবেশের মাধ্যমে দলকে সুসংগঠিত করে যাচ্ছেন। আধুনিক ডিজিটাল ভালুকা গড়ার লক্ষ্যে তিনি কাজ করছেন। ভালুকার জনগণ তাকে চায়। দলীয় মনোনয়ন পেলে শিল্পাঞ্চল হবিরবাড়ী ইউনিয়নের মানুষ তাকে দলমত নিবিের্শষে জয়ী করতে ভ‚মিকা রাখবেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. কেবিএম হাদিউজ্জামান সেলিম একজন সুচিকিৎসক ও সাধারণ মানুষের সেবক হিসেবে এলাকায় ব্যাপক জনপ্রিয়। এলাকার মানুষকে বিনামুল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করে ভালুকার মানুষের মাঝে একটা জায়গা করে নিয়েছেন। নিবার্চনকে সামনে রেখে এলাকায় তিনি গণসংযোগ করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, তার পিতা বারবার কারা বরণকারী নেতা কেবিএম আছমত আলী ভালুকা আ’লীগের দুঃসময়ের কান্ডারি ছিলেন। তিনি তার পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ভালুকার মানুষকে বিভিন্নভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। ভালুকার মানুষ তাকে চায়। তিনি মনোনয়ন পেলে বিজয়ের পাশাপাশি আধুনিক ডিজিটাল ভালুকা গড়বেন।

কৃষকলীগ কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আশরাফুল হক জজর্ বলেন, তিনি ছাত্র জীবন থেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। ’৭৭ সালে ময়মনসিংহ শহর ছাত্রলীগের আহবায়ক, ’৮১ সালে ছলিমুল্লাহ হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি, ’৮৮ সাল থেকে কৃষকলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি ভালুকার মানুষের জন্য কাজ করতে চান। আশা করছেন দল তাকে মূল্যায়ন করবে। মনোনয়ন পেলে বিপুল ভোট ব্যবধানে নৌকাকে বিজয়ী করবেন।

দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশায় মাঠে কাজ করছেন জেলা আ’লীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার মহিউদ্দিন। তিনি বলেন, বতর্মান নেতৃত্ব জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন। মানুষ পরিবতর্ন চায়, উন্নয়ন চায়। তিনি আধুনিক উন্নত ভালুকা গড়ার স্বপ্ন দেখেন। আশা করছেন দল থেকে তাকে মনোনয়ন দেয়া হবে। মনোনয়ন পেলে রেকডর্ ভোট ব্যবধানে নৌকার বিজয় হবে।

মনোনয়নপ্রত্যাশী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম পিন্টু বলেন, তিনি ১৯৯০ সাল থেকে ভালুকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতি, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহŸায়ক ও বতর্মানে জেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহŸায়ক। ভালুকার মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী তিনি দলীয় মনোনয়ন চাইবেন। দলীয় মনোনয়ন পেলে নৌকার বিজয়ের ধারাকে অব্যাহত রাখতে পারবেন। তবে দল যাকে মনোনয়ন দেবে তাকে বিজয়ী করতে কাজ করে যাবেন।

এদিকে ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক মোশের্দ আলমের নেতৃত্বে ভালুকায় বিএনপি ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। তবে সরকারি দলের প্রভাব এবং প্রশাসনের চাপে বিএনপি অনেকটাই কোনঠাসা। গত ২০১৪ সালে উপজেলা পরিষদ নিবার্চনে মোশের্দ আলম বিএনপি মনোনীতপ্রাথীর্ হিসেবে নিবার্চন করে দলের একটি অংশের বিরোধিতায় মাত্র ৪ হাজার দুইশত ভোটের ব্যবধানে আওয়ামী লীগ প্রাথীর্র কাছে পরাজিত হন। পরবতীের্ত বিরোধিতাকারীরা রাজনীতিতে ব্যাকফুটে চলে যায়। এরপর থেকেই মোশের্দ আলমের নেতৃত্বে দলীয় নেতাকমীর্রা দলীয় কমর্সূচি পালন করে আসছেন।

আলহাজ মোশের্দ আলম উপজেলা জুড়েই দীঘির্দন যাবত বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মাদ্রাসায় অনুদান, অসুস্থ, অসহায় ও দুস্থদের মাঝে বস্ত্র বিতরণ ও বিভিন্নভাবে সাহায্য সহযোগিতা করে জনগণের আস্থা অজর্ন করেছেন। তৃণমূলকে সুসংগঠিত করে দলীয় কমর্সূচি পালন করতে গিয়ে হামলা-মামলা ও নানা হযরানির শিকার হচ্ছেন তিনি। মোশের্দ আলম বলেন, ২০১৪ সালে তিনি উপজেলা পরিষদ নিবার্চনে বিজয়ী হন। কিন্তু তাকে পরিকল্পিতভাবে পরাজিত ঘোষণা করা হয়েছে। উপজেলা পরিষদ নিবার্চনে তার বিরুদ্ধে বিএনপির একটি অংশ প্রকাশ্যে বিরোধিতা করেছে, যা ভালুকার মানুষ জানে। ভালুকার মানুষ তাকে চায়। ভালুকায় শিল্পাঞ্চল হবিরবাড়ী ইউনিয়নের ভোট জয় পরাজয়ের নিয়ামক হিসেবে কাজ করে। তিনি দীঘির্দন হবিরবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি মনোনয়ন পেলে এ এলাকার মানুষ দলমত নিবিের্শষে তার জন্য কাজ করবেন। দলের ভেতর ষড়যন্ত্রকারীরা এখন লাপাত্তা হয়ে গেছে। বিএনপির তৃণমূলের নেতাকমীর্রা ষড়যন্ত্রকারীদের আস্তাকঁুড়ে নিক্ষেপ করেছে। ভালুকার বিএনপি এখন তার নেতৃত্বে অনেক বেশি সুসংগঠিত। ভালুকার জনগণ তার সাথে রয়েছে। জনগণ ভোট দেয়ার জন্য মুখিয়ে আছে। দল থেকে তাকে যদি মনোনয়ন দেয়া হয় এবং যদি সুষ্ঠু ভোট হয় তবে বিপুল ভোট ব্যবধানে ধানের শীষ জিতবে ইনশাআল্লাহ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে