বিদায়ী সেনাপ্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
জেনারেল বেলাল রোববার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কাযার্লয়ে গিয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এ বিষয়ে সাংবাদিকদের জানান।
ইহসানুল করিম বলেন, ‘সাক্ষাৎকালে সেনাবাহিনীর উন্নয়নমূলক কাজ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এবং বিদায়ী সেনাপ্রধানের আলোচনা হয়।’
জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হকের মেয়াদকালে তার কাজের প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী।
ইহসানুল করিম বলেন, ‘সেনাবাহিনীর উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর অবদান কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক। তার মেয়াদে সরকারের সব ধরনের সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানান।’
২০১৫ সালের ২৫ জুন আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক সেনাপ্রধান পদে জেনারেল ইকবাল করিম ভ‚ঁইয়ার স্থলাভিষিক্ত হন।
১৯৫৮ সালে জন্ম নেয়া আবু বেলাল ১৯৭৮ সালে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। সেনাপ্রধান হওয়ার আগে লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদমযার্দায়
২০১৩ সাল থেকে পিএসও’র দায়িত্বে ছিলেন তিনি। এর আগে তিনি ডিফেন্স সাভির্স কমান্ড ও স্টাফ কলেজের কমান্ডেন্ট ছিলেন।
চার দশকের কমর্জীবনে আবু বেলাল সেনাবাহিনীর একটি পদাতিক ডিভিশনের প্রধানের দায়িত্বেও ছিলেন। এ ছাড়া রাষ্ট্রপতির এডিসি হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেন।
জেনারেল বেলাল ২৫ জুন অবসরে যাচ্ছেন। তার জায়গায় সেনাপ্রধান হিসেবে অভিষিক্ত হচ্ছেন বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আজিজ আহমেদ।
সেনাবাহিনীর কোয়াটার্র মাস্টার জেনারেলের (কিউএমজি) দায়িত্ব পালন করে আসা আজিজ আহমেদ এক সময় আমির্ ট্রেইনিং অ্যান্ড ডকট্রিন্যাল কমান্ডের জিওসির পদেও ছিলেন।
তিনি ২০১৬ সাল পযর্ন্ত চার বছর বিজিবির মহাপরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন। তার সময়ই বিজিবি কল্যাণ ট্রাস্টের অধীনে সীমান্ত ব্যাংকের যাত্রা শুরু হয়।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে
নেপালের নতুন রাষ্ট্রদূত
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের নতুন রাষ্ট্রদূত চোপ লাল ভুসাল।
চোপ লাল ভুসাল রোববার প্রধানমন্ত্রীর কাযার্লয়ে গিয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এ বিষয়ে সাংবাদিকদের জানান।
ইহসানুল করিম জানান, নেপালী রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী আঞ্চলিক যোগাযোগের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপালÑ বিবিআইএন মোটরযান চলাচল চুক্তির বিষয়েও আলোচনা হয় বলে জানান প্রেস সচিব।
ইহসানুল করিম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন ১৯৬৫ সালে ভারতের সঙ্গে বন্ধ হওয়া রুটগুলো খোলা হচ্ছে।’
আঞ্চলিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে রেলপথের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা নিয়েও আলোচনা হয় বলে জানান ইহসানুল করিম।
নেপালের রাষ্ট্রদূত জানান, তার দেশের ৫০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সামথর্্য রয়েছে।
নেপালে ভ‚মিকম্পের পর বাংলাদেশের সহায়তার কথাও স্মরণ করেন চোপ লাল ভুসাল।
মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।