নিজেদের পছন্দে বিয়ে করেছিলেন নীরব বিশ্বাস ও শ্রাবণী বিশ্বাস; তা এক পরিবার মানলেও মানেনি অন্য পরিবার। যা নিয়ে মন কষাকষির মধ্যে দুজনই আত্মহত্যা করে যাতনার অবসান ঘটালেন।
মাগুরা সদর উপজেলার রাঘবদাইড় গ্রামে নীরবের (২০) বাড়ি থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তার ও শ্রাবণীর (১৮) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
মাগুরা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম বলেন, 'নীরব বিশ্বাসের বাড়ির শোবার ঘরের আড়ার সঙ্গে শাড়ি দিয়ে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।'
ময়নাতদন্তের জন্য লাশ দুটি মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
রাঘবদাইড় গ্রামের রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাসের ছেলে নীরবের সঙ্গে শালিখা উপজেলার
ধনেশ্বরগাতী গ্রামের বিশ্বজিৎ বিশ্বাসের মেয়ে শ্রাবণীর প্রেমের সম্পর্ক অনেক দিনের। ২২ দিন আগে তারা নিজেরা বিয়ে করেন।
পুলিশ কর্মকর্তা সাইফুল বলেন, নীরবের পরিবার থেকে এ বিয়ে মেনে নেয়া হয়। কিন্তু শ্রাবণীর পরিবার মেনে নেয়নি।
মেয়ের বাড়ি থেকে বিয়ে মেনে না নিয়ে উল্টো নানারকম ঝামেলা সৃষ্টি করায় এ নবদম্পতি আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।