শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

শামীমের বন্ধ প্রকল্পে নোটিশ যাচ্ছে, প্রয়োজনে নতুন টেন্ডার

নতুনধারা
  ১০ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট

ক্যাসিনো ব্যবসায় সম্পৃক্ততার অভিযোগে জি কে শামীমের প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পরিচালিত কাজগুলোর ব্যাপারে নোটিশ করে প্রয়োজনে নতুন করে টেন্ডার আহ্বান করা হবে বলে জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ. ম রেজাউল করিম।

বুধবার সচিবালয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) গণপূর্ত অধিদপ্তর সংক্রান্ত প্রাতিষ্ঠানিক টিমের অনুসন্ধানে প্রাপ্ত সুপারিশমালা হস্তান্তর শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী একথা বলেন।

ব্যাংক হিসাব জব্দ করায় টাকার অভাবে জি কে শামীমের প্রকল্পের কাজগুলো বন্ধ রয়েছে বলে মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, জি কে শামীমের অনেকগুলো প্রকল্প এখন চলমান। সেই প্রকল্পের কিছু কিছু জায়গায় তারা কাজ বন্ধ করে দিয়েছে এই অজুহাতে যে তাদের ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করা হয়েছে। তাদের টাকা-পয়সা নাই, তারা কাজ করতে পারছে না।

'আমরা তাদের নোটিশ দেব। যদি তারা এগিয়ে না আসেন, তিনি যে পর্যায়ে কাজ করেছেন কোনোটা যদি ফাউন্ডেশন হয়ে থাকে, কোনোটা তিন তলা পর্যন্ত কাজ হয়ে থাকে; আমরা পরিমাপ করে, আমাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষার ইনস্টুমেন্ট আছে, দক্ষ লোকও আছে। পরীক্ষা করে বাকি অংশটা আমরা আবার টেন্ডার দিয়ে কাজ করব।'

মন্ত্রী বলেন, তিনি যেসব কাজ করে এর আগে হ্যান্ডওভার করেছেন, কোনো কোনো কাজের ৫ শতাংশ বাকি আছে আমাদের সচিবালয়ের একটা বিল্ডিংসহ আরও কয়েকটা আছে। সেগুলো কাজ বুঝে নেয়ার আগে আমাদের টেন্ডারের টার্মস-কন্ডিশন অনুযায়ী কোয়ালিটি কাজ হয়েছে কিনা- না বুঝে কোনোটা বিবেচিত করব না।

তিনি বলেন, যে কাজগুলো নিয়ে অনেক আলাপ-আলোচনা হয়েছে, আমি প্রাসঙ্গিকভাবে বলতে পারি এ কাজগুলো কিন্তু আমি মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আগের কাজ। তারপরও এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া। আগে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ সাহেব ছিলেন, এখন শ ম রেজাউল করিম; এর ধারা ব্যত্যয় ঘটবে না। এটা ধারাবাহিক উপায়, কাজ বুঝে নেব। কোনো কাজ সঠিক না হলে কাজ আদায় করে নেব।

নোটিশের প্রক্রিয়া কীভাবে হবে- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, পত্র-পত্রিকায় অনেক তথ্য এসেছে যেটা কোনো কোনো ক্ষেত্রে তথ্যনির্ভর না। উনি যে পরিমাণ কাজ করেছেন তার চেয়ে বেশি কাজ কোথাও নেননি। আবার ধরেন কোথাও উনি পাঁচ লাখ টাকা অতিরিক্ত নিয়েছেন, ওনার অনেক জায়গায় টাকা-পাওনা আছে সেগুলো আমরা সমন্বয় করব।

মন্ত্রী জানান, উনি ব্যক্তিগতভাবে না, কোম্পানির নামে ডিউ প্রসেসে অ্যাটেন্ড করেছেন, হতে পারে অ্যাটেন্ডের পর্দার আড়ালে কোনো ঘটনা ঘটেছে। আমি যদি এই মুহূর্তে হঠাৎ করে বলি সব কাজ বাতিল করে দিলাম, কালকে হাইকোর্টে একটা রিট হওয়ার পরে আমার বড় বড় স্থাপনা সব বন্ধ হয়ে যাবে। যা করব আইন সঙ্গতভাবে করব। নিয়মের অধীনে যত দ্রম্নত সম্ভব ইনশালস্নাহ আমরা তা করব (নোটিশ)।

নোটিশের পর পরবর্তী কাজে সাড়া না পেলে কী করবেন- প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, পরবর্তী কাজ আমরা পরিমাপ করব। ধরেন একটা বিল্ডিং ২০তলা, উনি একতলা পর্যন্ত করেছেন। আমরা পরীক্ষা করে দেখব, একতলায় কতটুকু কাজ হয়েছে, সেটুকু পরিমাপ করে রেখে বাকিটা নতুন টেন্ডার দিয়ে নতুন ঠিকাদারকে দেব। ওনার অতিরিক্ত টাকার কোথাও লেনদেন হয়নি।

'আমরা আশা করছি দুই সপ্তাহের মধ্যে সব প্রকল্পে নোটিশ দেব।'

গণপূর্তের সাবেক এবং বর্তমান দুই প্রধান প্রকৌশলী অনৈতিকভাবে অর্থ লেনদেন করে কাজগুলো করেছে- তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, যিনি চলে গেছেন তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ আমার নেই। তিনি যদি করাপশনে ইনভলব হন দুর্নীতি দমন কমিশন আছে, পুলিশ আছে সেখানে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আগের কাজগুলো যিনি অবসরে গেছেন তার সময়ের কাজ।

'বর্তমানে প্রধান প্রকৌশলীকে ঘিরে যদি কোনো অভিযোগ থাকে সেটা আমরা কোয়ারি করব, তিনি প্রধান প্রকৌশলী হন আর উপ-সহকারী প্রকৌশলী হন, আমি হই- আমরা কেউই কিন্তু এর বাইরে নই।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<70466 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1