আজকের যায়যায়দিন

পুলিশের ভুলে প্রায় এক মাস কারাগারে থাকার পর জামিন পেয়েছেন মো. রাজন ভূঁইয়া নামে এক ব্যক্তি। একইসঙ্গে পরোয়ানা তামিলকারী কুমিলস্নার ব্রাহ্মণপাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আরশাদের বিরুদ্ধে পুলিশ আইন অনুযায়ী কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা জানতে চেয়ে কারণ দর্শাতে বলেছেন আদালত।

একটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় থাকা আসামি মো. হাবিবুলস্নাহ রাজন ছয় বছর ধরে পলাতক। মূলত তাকে ধরতে পারেনি, ভুলে অন্য রাজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বিষয়টি নজরে আসার পর সোমবার রাজন ভূঁইয়ার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন দ্রম্নত বিচার ট্রাইবু্যনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান। এমনকি তাকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতিও দেন আদালত।

এছাড়া আগামী ৪ ডিসেম্বর এসআই আরশাদকে আদালতে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত।

জানা যায়, ২০১২ সালের ৯ মে ২৮ পিস নেশা জাতীয় ইনজেকশনসহ পুলিশের হাতে আটক হন হাবিবুলস্নাহ রাজন। এ দিনই তার বিরুদ্ধে রাজধানীর বংশাল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়। তার বাড়ি কুমিলস্নার ব্রাহ্মণপাড়ার গোপালনগরে। তার বাবার নাম মো. আব্দুল মান্নান। মাদক মামলায় গ্রেপ্তারের এক মাসের মধ্যে জামিন পান এই রাজন। এরপর মামলায় অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।

প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী উদ্বোধন / বিএনপির চিন্তাধারা ছিল আমরা হাত পেতে চলব : প্রধানমন্ত্রী

পরে আদালতে নিয়মিত হাজিরা না দেওয়ায় ২০১৩ সালের ৬ জুন রাজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। ওই পরোয়ানা যায় ব্রাহ্মণপাড়া থানায়। পরে পুলিশ ভুলে গোপালনগরের মৃত আব্দুল মান্নান ভূঁইয়ার ছেলে রাজন ভূঁইয়াকে গত ১৬ অক্টোবর গ্রেপ্তার করে বসে। এরপর থেকে তিনি কারাগারে।

মূল আসামি রাজনের বয়স বর্তমানে ৩৩ বছর। আর জন্মসনদ অনুযায়ী নির্দোষ রাজনের বয়স ১৯ বছর।

এদিকে, গত ৭ নভেম্বর মূল আসামি হাবিবুলস্নাহ রাজনও আদালতে জামিন আবেদন করেছেন। একই প?রোয়ানা মূ?লে অন্য একজন কারাগা?রে থাকায় আদালত ৪ ডি?সেম্ব?র ধার্য তা?রি?খে জা?মিন আ?বেদনটি শুনা?নির জন্য রে?খে?ছেন।