শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

কোপ খেয়েও সন্ত্রাসীকে ছাড়েননি ওসি, পরে অস্ত্র উদ্ধার

নতুনধারা
  ২১ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক

চট্টগ্রামে খুন, ডাকাতিসহ ১৭ মামলার আসামিকে ধরতে গিয়ে তার ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন রাউজান থানার ওসি কেপায়েত উলস্নাহ, এর পরেও ওই সন্ত্রাসীকে ধরে অনেকগুলো অস্ত্র-গুলি উদ্ধার করেছেন তারা।

বুধবার ভোর রাতে রাউজান উপজেলার পূর্ব রাউজান রাবার বাগানসংলগ্ন ঘোড়া সামছুর টিলায় এই অভিযানে গ্রেপ্তার মো. আলমগীর (৪১) রাউজানে 'আলম ডাকাত' নামে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে দুটি খুন, পাঁচটি ডাকাতি, পাঁচটি অস্ত্র, চাঁদাবাজি ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় রাউজান, নগরীর পাঁচলাইশ ও চান্দগাঁও থানায় ১৭টি মামলা আছে।

আলমগীর যুদ্ধাপরাধে ফাঁসি হওয়া সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী সন্ত্রাসী বিধান বড়ুয়া ওর্ যাবের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত জানে আলমের সহযোগী ছিলেন বলে ওসি কেপায়েত উলস্নাহ জানিয়েছেন।

অভিযানের সময় ওসি কেপায়েত ছাড়াও এসআই সাইমুল ইসলাম, কনস্টেবল মো. কামাল ও হামিদ হোসেন আহত হয়েছেন। পরে আলমগীরকে নিয়ে সামছুর টিলায় অভিযান চালিয়ে ১০টি শটগান, ছয়টি পাইপ গান, সাত রাউন্ড গুলি, গ্যাস গান সদৃশ একটি অস্ত্র ও ধারালো বেশকিছু অস্ত্র উদ্ধার করা হয় বলে জানান ওসি কেপায়েত।

তিনি বলেন, অস্ত্র মামলায় ১০ বছরের সাজা খেটে একমাস ২০ দিন আগে আলমগীর কারাগার থেকে ছাড়া পান।

"মঙ্গলবার গভীর রাতে পূর্ব রাউজান রাবার বাগানে ঘোড়া সামছুর টিলায় পুরাতন আস্তানায় আলমগীর অস্ত্র নিতে এসেছে শুনে অভিযানে যাই। এ সময় পুলিশ দেখে আলমগীরের সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। পুলিশও আত্মরক্ষায় পাল্টা গুলি ছুড়লে দুই পক্ষের গুলি বিনিময়ের পর সহযোগীরা পালিয়ে গেলেও আলমগীরকে ধরে ফেলা হয়।

ধরে ফেলার পর আলমগীর তার হাতে থাকা ছুরি দিয়ে আঘাত করলে আমার ডান হাতে জখম হয়।

ছুরিকাঘাতে ওসি কেপায়েতের হাতের একটি আঙুলের হাড়ে চিড় ধরেছে।

এছাড়া আলমগীরের সহযোগীদের ছোড়া ছররা গুলিতে অপর তিন পুলিশ সদস্য আহত হন বলে জানান ওসি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<76436 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1