শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

হেদায়েত হোসেন চৌধুরী স্মরণে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল

যাযাদি রিপোর্ট
  ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯, ০০:০০
হেদায়েত হোসেন চৌধুরী
যথাযোগ্য মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে বিশিষ্ট শিল্পপতি, ভাষাসৈনিক, শিক্ষানুরাগী, সমাজসেবক এবং কর্ণফুলী গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হেদায়েত হোসেন চৌধুরীর পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে শনিবার বাদ আসর রাজধানীর পরীবাগের ‘সাদাত নূর’ বাসভবনে খতমে কোরআন, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
পারিবারিক সূত্র জানায়, শনিবার দুপুরে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে পারিবারিকভাবে মৃত্যুবার্ষিকী পালনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। বাদ আসর মিলাদ মাহফিল শেষে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের সিনিয়র পেশ ইমাম মাওলানা মুফতি মিজানুর রহমান মরহুমের রুহের মাগফিরাত ও বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করেন। মোনাজাতে হেদায়েত হোসেন চৌধুরী এবং তার স্ত্রী মরহুমা রাশিদা হোসেন চৌধুরীসহ পরিবারের ঘনিষ্ঠ স্বজনদের মধ্যে যারা কবরবাসী হয়েছেন তাদের সবার রুহের মাগফিরাত ও বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করা হয়। কবরের আজাব মাফ করে তাঁদের জান্নাতুল ফেরদাউস নসিব করার জন্য আকুতি জানানো হয়। এ ছাড়া হেদায়েত হোসেন চৌধুরীর তিন সন্তানসহ তাদের পরিবারের সদস্যদের সুন্দর জীবনযাত্রা পরিচালনার সুযোগদানের জন্য আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা জানানো হয়।
দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে মরহুম হেদায়েত হোসেন চৌধুরীর জ্যেষ্ঠপুত্র এইচআরসি গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং যায়যায়দিনের সম্পাদকম-লীর সভাপতি ও প্রকাশক সাঈদ হোসেন চৌধুরী এবং কনিষ্ঠপুত্র ঢাকা-৯ আসনের সংসদ সদস্য ও কর্ণফুলী গ্রুপের চেয়ারম্যান সাবের হোসেন চৌধুরীসহ পরিবারের ঘনিষ্ঠ স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, হেদায়েত হোসেন চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গত পহেলা ডিসেম্বর তাঁর কনিষ্ঠপুত্র সাবের হোসেন চৌধুরীর মালিকানাধীন রাজধানীর কাকরাইলস্থ এইচআর ভবনে কোরআন, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
প্রসঙ্গত, কর্ণফুলী গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হেদায়েত হোসেন চৌধুরী ২০১৪ সালের ১৪ ডিসেম্বর আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব এবং সহকর্মীসহ দেশ-বিদেশে অবস্থানরত লাখো অনুরাগী ও শুভানুধ্যায়ীদের কাঁদিয়ে পরপারে পাড়ি জমান। তিনি ১৯৩১ সালের ১ জানুয়ারি ফেনী জেলার দাগনভূঁইয়া উপজেলার রামনগরের ঐতিহ্যবাহী চৌধুরী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
হেদায়েত হোসেন চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৫২ সালের রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে তাঁর সক্রিয় ভূমিকা ছিল। কর্মনিষ্ঠ হেদায়েত হোসেন চৌধুরী কর্মজীবনেও ছিলেন অত্যন্ত সফল। তার প্রতিষ্ঠিত কর্ণফুলী গ্রুপে কর্ণফুলী ইন্ডাস্ট্রিজ ও কর্ণফুলী লিমিটেড ছাড়াও দেশের খ্যাতনামা শিপিং লাইনস হানজিন ও পিআইএলসহ প্রায় দেড় ডজন শিল্প ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বিশিষ্ট এ শিল্পোদ্যোক্তা সে সময়ের পূর্ব পাকিস্তান চেম্বারের প্রতিষ্ঠাতা এবং চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে