আজকের যায়যায়দিন

যাযাদি রিপোর্ট

কিশোর সাময়িকী 'কিশোর আলোর' বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে ছাত্র নাইমুল আবরার রাহাতের (১৫) মৃতু্যর ঘটনার মামলায় প্রথম আলো সম্পাদকসহ ছয়জনের জামিন আবেদনের শুনানির জন্য আজ সোমবার দিন ধার্য করেছে হাইকোর্ট।

এই সময়ের মধ্যে তাদের গ্রেপ্তার বা হয়রানি না করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার এই আদেশ দিয়েছেন।

হাইকোর্টের নির্দেশও মানছে না সরকারি কর্মকর্তারা / চট্টগ্রামে ভূমিদসু্য চক্রের বিরুদ্ধে অর্পিত সম্পত্তি বিক্রির অভিযোগ

আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম।

সম্পাদক মতিউর রহমান ছাড়া বাকি পাঁচজন হলেন- প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আনিসুল হক, কিশোর আলোর জ্যেষ্ঠ সহ-সম্পাদক মহিতুল আলম, প্রথম আলোর হেড অব ইভেন্ট অ্যান্ড অ্যাকটিভেশন কবির বকুল, নির্বাহী শাহ পরান তুষার ও নির্বাহী শুভাশীষ প্রামাণিক।

গত ১৬ জানুয়ারি ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. কায়সারুল ইসলাম প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, সাময়িকীটির সম্পাদক ও লেখক আনিসুল হকসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

এর আগে নাইমুল আবরার নিহত হওয়ায় কিশোর আলো কর্তৃপক্ষের অবহেলার প্রমাণ পাওয়া গেছে মর্মে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ। মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবদুল আলিম এই প্রতিবেদন দাখিল করেন।

প্রতিবেদন আমলে নিয়ে অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. কায়সারুল ইসলাম গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

প্রতিবেদনটিতে মতিউর রহমান ও আনিসুল হক ছাড়াও কবির বকুল, শুভাশিস প্রামাণিক শুভ, মুহিতুল আলম পাভেল, শাহপরাণ তুষার, জসিম উদ্দিন তপু, মোশারফ হোসেন, মো. সুমন ও কামরুল হাওলাদারকে ঘটনাটির জন্য দায়ী করা হয়েছে।

ওইদিন আইনজীবী ওমর ফারুক আসিফ বলেন, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে দন্ডবিধির ৩০৪ (ক) ধারায় অবহেলাজনিত মৃতু্যর অভিযোগ আনা হয়েছিল। একই সঙ্গে এ ঘটনায় আর কারা জড়িত এবং কার কী দায় রয়েছে, তা তদন্ত করার জন্য আমরা আবেদন জানিয়েছিলাম। স্বল্প সময়ের মধ্যেই এর প্রতিবেদন দাখিল করেছে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ। যে ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছিল, সে ধারাতেই কিশোর আলোর সঙ্গে সম্পৃক্ত ১০ জনকে ঘটনার জন্য দায়ী করে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। আমরা এই প্রতিবেদনে সন্তুষ্ট।

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার আদালত প্রতিবেদনটি আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। এ ছাড়া এই ধারায় বিচারে চূড়ান্তভাবে অভিযোগ প্রমাণিত হলে আসামিদের সর্বোচ্চ পাঁচ বছর কারাদন্ড হতে পারে।

গত বছরের ১ ন?ভেম্বর ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে প্রথম আলোর সাময়িকী কিশোর আলোর অনুষ্ঠানে বিদু্যৎস্পৃষ্ট হয়ে নবম শ্রেণির ছাত্র নাইমুল আবরার রাহাতের মৃতু্য হয়।

এরপর ৬ নভেম্বর নাইমুল আবরা?রের বাবা ম?জিবুর রহমান প্রথম আলো সম্পাদক ও প্রকাশক এবং কি?শোর আলোর প্রকাশক ম?তিউর রহমা?নের বিরু?দ্ধে মামলা দায়ের করেন।

এই পরিপ্রেক্ষিতে আদালত শিক্ষা?র্থী নাইমুল আবরা?রের মরদেহ দ্রম্নত কবর থে?কে তুলে ময়নাতদ?ন্তের নি?র্দেশ দেয়। একই স?ঙ্গে এ ঘটনায় হওয়া অপমৃতু্যর মামলার সঙ্গে নতুন মামলা একীভূত ক?রে তদন্ত ক?রে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা?কে (ও?সি) প্র?তি?বেদন দা?খি?লের নি?র্দেশ দেয়।