বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাকার দুই সিটির ভোটে থাকবে ৬৫ পস্নাটুন বিজিবি

নতুনধারা
  ২৮ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট

আসন্ন ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ৬৫ পস্নাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মাঠে থাকবে। তারা ভোটের আগে ও পরে মোট চার দিন দায়িত্ব পালন করবেন। এর মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটিতে ২৭ পস্নাটুন ও ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৩৮ পস্নাটুন বিজিবি মোতায়েন স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসাবে মোতায়েন করা হবে। বিজিবির ১ পস্নাটুনে ২টি টিম গঠন করার পরিকল্পনা রয়েছে ইসির।

এ ছাড়া এবারের নির্বাচনে ৪০ হাজারের মতো ফোর্স নিয়োজিত থাকবে। এর মধ্যে পুলিশ থেকে ২১ হাজার এবংর্ যাব ও আনসার থেকে ১৯ হাজার সদস্য নেওয়া হবে। আব্দুল গণি রোড, রাজারবাগ, মিরপুর, গুলশান এবং উত্তরায় ৫টি পাঁচটি সাব-কন্ট্রোল রুম খোলা হবে। এসব কন্ট্রোলরুমে তিন শতাধিক ফোর্স স্ট্যান্ডবাই রাখা হবে বলে জানা গেছে।

জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে একজন অফিসার, পাঁচজন কনস্টেবল এবং দুই অস্ত্রসহ ১২ জন আনসার সদস্য মোতায়েন থাকবে। সাধারণ কেন্দ্রে থাকবে একজন অফিসার, ৩ জন কনস্টেবল এবং দুইটি অস্ত্রসহ ১২ জন আনসার সদস্য। এ ছাড়া একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একাধিক কেন্দ্র থাকলে সেখানে প্রতিটি কেন্দ্রের জন্য একজন অফিসার এবং তিনজন ফোর্স থাকবে। পাশাপাশি ওয়ার্ডে একটি করে মোবাইল টিম থাকবে। মোবাইল টিমের নেতৃত্বে থাকবেন একজন এসআই বা এএসআই পদমর্যদার কর্মকর্তা। প্রতি মোবইল টিমে পাঁচজন করে কনস্টেবল থাকবেন। প্রতিটি থানায় দুইটি করে স্ট্রাইকিং রিজার্ভ ফোর্স থাকবে। প্রত্যেক স্ট্রাইকিং রিজার্ভে তিনজন করে অফিসার এবং ১২ জন করে কনস্টেবল থাকবে।

প্রতি দুইটি সাধারণ ওয়ার্ডে এক পস্নাটুন বিজিবি মোতায়েন থাকবে। বিজিবির প্রতিটি টিমের সঙ্গে মোতায়েনকালীন অর্থাৎ ৩০ জানুয়ারি তারিখ থেকে ২ ফেব্রম্নয়ারি পর্যন্ত একজন করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৫৪ জন এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৭৬ জনসহ ১৩০ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট প্রয়োজন হবে। আর নারী ভোটকেন্দ্রে ও ভোটকক্ষে নারী এবং পুরুষ ভোটকেন্দ্রে ও ভোটকক্ষে পুরুষ অঙ্গীভূত আনসার-ভিডিপি সদস্য নিয়োগ করা হবে, ভোটকেন্দ্রে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ভোটগ্রহণের দিন এবং এর আগে দুই দিন ও পরে এক দিনসহ মোট চার দিনের জন্য নিয়োজিত থাকবে।

ভোটকেন্দ্রে অঙ্গীভূত আনসার ও ভিডিপি ৫ দিনের জন্য নিয়োজিত থাকবে। ভোটগ্রহণের আগের দিন রাতে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার সঙ্গে ভোটকেন্দ্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বাহিনীর সব সদস্য ভোটকেন্দ্রে অবস্থান করবে।

এ ছাড়া মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স ভোট গ্রহণের দিন এবং তার আগে দুই দিন ও পরে এক দিন মোট চার দিন অর্থাৎ ৩০ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি তারিখ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবে। স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ভোটকেন্দ্রের বাইরের্ যাব-পুলিশের টিম সংশ্লিষ্ট ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবে। স্থানীয় চাহিদা, ভোটকেন্দ্রের অবস্থান ও ভোটকেন্দ্র সংখ্যা, ওয়ার্ড বিন্যাস ইত্যাদি বিবেচনায় এবং বাস্তবতার নিরিখে। রিটার্নিং অফিসার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ঢাকা ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে আলোচনা করে তাৎক্ষণিক ভোটকেন্দ্রের ফোর্স এবং মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্সের সংখ্যা হ্রাস-বাড়াতে পারবেন।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের জন্য পাঁচ পস্নাটুন ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের জন্য পাঁচ পস্নাটুন বিজিবি সুবিধাজনক স্থানে রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে নিয়োজিত রাখা হবে। সেই সঙ্গে উভয় সিটি করপোরেশনে পাঁচটি করের্ যাবের রিজার্ভ টিম নিয়োজিত রাখতে হবে। মোবাইল-স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে নিয়োজিত প্রতিটি টিম, বিশেষ করে বিজিবির টহল দলে একজন করে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করতে হবে।

প্রসঙ্গত, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুই হাজার ৪৬৮টি কেন্দ্রের মধ্যে এক হাজার ৫৯৭টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সাধারণ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে ৮৭১টি। পুলিশের হাতে থাকা তালিকা অনুযায়ী উত্তর সিটি করপোরেশনে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র ৮৭৬টি। এখানে সাধারণ কেন্দ্র ৪৪২টি। দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র ৭২২ এবং সাধারণ কেন্দ্র রয়েছে ৪২৯টি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<86321 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1