অবৈধ সম্পদ অর্জন ও বিদেশে পাচারের অভিযোগে দুদকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন বলেছেন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের কারণে 'হয়রানির শিকার' হচ্ছেন তিনি।
তার কোনো অবৈধ সম্পদ নেই দাবি করে সুনামগঞ্জের এই সংসদ সদস্য বলেছেন, এতদিন নিজেই 'দুর্নীতির ?বিরুদ্ধে সোচ্চার' ছিলেন তিনি।
আলোচিত ঠিকাদার জিকে শামীমসহ বিভিন্ন প্রভাবশালীদের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, ক্যাসিনো সংশ্লিষ্টতা ও অন্যান্য অবৈধ কর্মকান্ডের মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা অবৈধ প্রক্রিয়ায় বিদেশে পাচার এবং জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে রতনকে তলব করেছিল দুদক।
মঙ্গলবার ঢাকার সেগুনবাগিচায় দুদক প্রধান কার্যালয়ে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সংস্থাটির পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে একটি টিম সুনামগঞ্জ-১ আসনের এই সংসদ সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মোয়াজ্জেম হোসেন রতন বলেন, 'একটি পক্ষ থেকে রাজনৈতিকভাবে আমাকে হয়রানি করা হচ্ছে। আমি নিজেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার।'
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আমি ৩০টি আওয়ামী লীগের অফিস করে দিয়েছি। আমার কোনো অবৈধ সম্পদ নেই।'
কানাডায় তার কোনো বাড়ি আছে কি না- সে প্রশ্নের জবাবে এমপি রতন বলেন, 'আমার কোনো অবৈধ সম্পদ নেই। বিদেশে আমার কোনো বাড়ি নেই।'
এর আগে গত ১০ ফেব্রম্নয়ারি মোয়াজ্জেম হোসেন রতনকে নোটিশ পাঠিয়ে দুদকে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য দিতে তলব করা হয়।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগের অনুসন্ধান শুরু করে ২৪ অক্টোবর দুদক থেকে পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) ইমিগ্রেশন বরাবর চিঠি পাঠিয়ে রতনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেয় দুদক।
ওই চিঠিতে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগের 'প্রাথমিক সত্যতা' পাওয়ার কথা বলা হয়।
গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হয়। এরপর ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ক্যাসিনোসহ বিভিন্ন মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়ে অনুসন্ধানে নামে দুদক। এখন পর্যন্ত ক্যাসিনোসহ বিভিন্ন মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০টি মামলা করেছে সংস্থাটি।
ক্যাসিনোসহ বিভিন্ন মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে প্রায় ২০০ জনের তালিকা ধরে দুদক অনুসন্ধান করছে।