শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা খালেদের বিচার শুরু

যাযাদি রিপোর্ট
  ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০
পুলিশ হেফাজতে খালেদ

মাদক মামলায় ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে আদালত। আগামী ১ এপ্রিল এই মামলার শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. রবিউল আলম এই আদেশ দেন।

এর আগে কারাগার থেকে খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে ঢাকার আদালতে হাজির করা হয়। অভিযোগ গঠনের সময় নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া।

খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে গত বছরের ১৭ নভেম্বর অভিযোগপত্র দেয়র্ যাব। এ মামলার আসামির বাসা থেকে ৫৮০ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়। উদ্ধার করা হয় মাদক বিক্রির ১০ লাখ ৩৪ হাজার ৫৫০ টাকা।

মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, ১৯৯৬ সালে খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া ঢাকা মহানগর যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হন। ২০১২ সালে ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পান। তখন থেকে খালেদ বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তোলেন। ঢাকার মতিঝিলের ইয়ংমেন ক্লাব, আরামবাগ ক্লাবসহ ফকিরাপুলের অনেক ক্লাবে ক্যাসিনোর আসর বসিয়ে রমরমা মাদক ব্যবসাসহ নানা অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে আসছিলেন তিনি। এসব অবৈধ ব্যবসার মাধ্যমে খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া কোটি কোটি টাকা আয় করেছেন।

খালেদ খিলগাঁও-শাজাহানপুর চলাচলকারী গণপরিবহণ থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করতেন। কোরবানি ঈদের সময় শাজাহানপুর কলোনি মাঠ, মেরাদিয়া, কমলাপুর, সবুজবাগ এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সেখান থেকে কোটি কোটি টাকা চাঁদা আদায় করতেন। সরকারি প্রতিষ্ঠান, বিশেষ করে রাজউক, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, রেল ভবন, ক্রীড়া পরিষদ, পানি উন্নয়ন বোর্ড, যুব ভবন, কৃষি ভবন, ফকিরাপুলসহ বেশিরভাগ এলাকার টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করতেন খালেদ মাহমুদ। মাদক ব্যবসা, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি করার জন্য গড়ে তোলেন বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনী। অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, দুটি অস্ত্রের লাইসেন্সে ৫০টি করে গুলি কেনার হিসাব থাকার কথা থাকলেও বাস্তবে তার হেফাজত থেকে শটগানের সাতটি ও পিস্তলের নয়টি অতিরিক্ত গুলি উদ্ধার করা হয়। এগুলো ২০১৭ সালের পর নবায়ন করা হয়নি। এগুলো অবৈধ অস্ত্র। অবৈধ টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা পরিচালনার জন্য খালেদ মাহমুদ ব্যবহার করতেন এসব অবৈধ অস্ত্র। অবৈধ ব্যবসা ও রাজনৈতিক দাপটে পেশিশক্তি প্রয়োগ করার জন্যই দীর্ঘদিন অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার করে আসছিলেন।

খালেদ মাহমুদের বিরুদ্ধে অস্ত্র, অর্থ পাচার ও দুর্নীতির আরও তিনটি পৃথক মামলা রয়েছে। ইতোমধ্যে অর্থ পাচার ও অস্ত্র মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়েছে।

গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে মাদক, অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হন যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<90269 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1