মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

নেশা থেকে পেশা, বছরে আয় ২ লাখ টাকা

যাযাদি ডেস্ক
  ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০
ককাটেল পাখি

ছোটবেলা থেকেই পাখি পোষার শখ ছিল সবুজের। সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে সবুজ ২০১৫ সালে শখ পূরণের জন্য ১৫শ' টাকা দিয়ে এক জোড়া বাজারিগার পাখি কিনে পুষতে থাকেন। প্রথমে শখ হিসেবে পাখি পোষা শুরু করলেও বর্তমানে নিজের দুলাভাই সাইফুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে গড়ে তুলেছেন বাণিজ্যিক পাখির খামার। এখন পাখি পালন নেশা থেকে পেশায় পরিণত হয়েছে তাদের।

তাদের খামারে রয়েছে বাজারিগার, প্রিন্স, ককাটেল, লাভ বার্ড, ডায়মন্ড ডাব, জাভা ও মুনিয়া প্রজাতির সাত থেকে আটশ পাখি। এর বাইরেও রয়েছে পারভীন, জালালি ও গিরিবাজ জাতের কবুতর। যার সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে গোটা এলাকায়। তার খামারে উৎপাদিত পাখি বাড়ি থেকে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন যশোর, খুলনা ও সাতক্ষীরার ব্যবসায়ীরাসহ আশপাশের এলাকার সাধারণ মানুষ।

বাড়ির উঠানে খাঁচা ও কলোনি পদ্ধতিতে গড়ে তোলা এই খামারে পাখির খাবার হিসেবে ব্যবহার করা হয় গ্রিড, চিনা কাউন, ধান, কলমি লতা, সমুদ্রের ফেনা, সূর্যমুখীর বীজ ইত্যাদি। এছাড়া ভিটামিন হিসেবে ব্যবহার করা হয় জিংক ভিটা।

সবুজ জানান, সকালে ও বিকালে পাখিদের খাবার দিতে হয়। এছাড়া সকালে একবার পানি দিলেই হয়। খুব বেশি রোগ বালাই হয় না এ পাখির। তবে মাঝে মধ্যে কোনো পাখির আমাশয় হতে পারে। আবার চর্বি জমে ডিম আটকে যায়। তখন কখনো সমুদ্রের ফেনা, কখনও ধান, জিংক ভিটা- পরিস্থিতি ভেদে এসব খাওয়ালে ঠিক হয়ে যায়।

পাখি পালন অত্যন্ত লাভজনক এবং সম্ভাবনাময় ব্যবসা উলেস্নখ করে তিনি বলেন, প্রতি মাসে তিন হাজার টাকার খাবার লাগে। এছাড়া আনুষঙ্গিক সামান্য কিছু খরচ রয়েছে। সব খরচ বাদ দিয়ে মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা লাভ হয়।

সবুজের দুলাভাই সাইফুল ইসলাম বলেন, মাস্টার্স শেষ করার পর চাকরি না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছিলাম, ঠিক তখনই সবুজের সঙ্গে পাখি পালন শুরু করি। এর মধ্যে সুবজের পলস্নী বিদু্যতের চাকরি হয়ে গেলে তার খামারটি আমার বাড়ির উঠানে স্থানান্তর করি। এখন পাখি পালনই আমার পেশা। এতে তেমন ঝুঁকিও নেই। লাভজনকও বটে। যে কেউ ইচ্ছা করলেই পাখির খামার করে আত্মকর্মসংস্থান করতে পারে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে বাজারিগার চারশ' টাকা জোড়া, লাভ বার্ড সাড়ে তিন থেকে চার হাজার টাকা, ককাটেল আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা, মুনিয়া দুইশ টাকা, প্রিন্স চারশ টাকা, জাভা এক হাজার দুইশ টাকা, ডায়মন্ড ডাব আটশ টাকা ও কবুতরের জোড়া দুইশ থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। পাখি বিক্রি করেই বছরে প্রায় দুই লাখ টাকা আয় হচ্ছে তাদের।

সাইফুল বলেন, ১৫ হাজার টাকার মতো খরচ করলে একটি ভালো খামার গড়ে তোলা সম্ভব। যেখানে লক্ষাধিক টাকার পাখি পালন করা যায় এবং এই খামার থেকেই প্রতি মাসে নূ্যনতম ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা লাভ করা সম্ভব। বেকার যুবকদের জন্য এটা অত্যন্ত সম্ভাবনাময়ী পেশা হতে পারে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<90270 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1