শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কবার্তা

করোনা-মহামারি প্রকট হচ্ছে গতিরোধ এখনো সম্ভব

যাযাদি ডেস্ক
  ২৫ মার্চ ২০২০, ০০:০০
আপডেট  : ২৫ মার্চ ২০২০, ১০:৩০

বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা (ডবিস্নউএইচও) সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, করোনা মহামারি প্রকট আকার ধারণ করছে। তবে সংস্থার প্রধান টেড্রস অ্যাডহানম গেব্রেইয়েসুস এও বলেছেন, এখনো এর গতিরোধ সম্ভব। খবর বিবিসির। চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে গত বছরের ডিসেম্বর মাসে প্রাদুর্ভাব হয় করোনা ভাইরাসের। এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা তিন লাখ ছাড়িয়েছে। প্রথম শনাক্ত হওয়ার পর এক লাখ রোগী শনাক্ত হতে সময় লেগেছিল ৬৭ দিন। পরবর্তী এক লাখ রোগী শনাক্ত হয় ১১ দিনে। আর মাত্র চার দিনে পরের এক লাখ রোগী শনাক্ত হয়। ডবিস্নউএইচও প্রধান বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কাছে পরীক্ষার বিষয়টির ওপর প্রবলভাবে জোর দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। টেড্রস বলেন, 'আমরা কী করছি সেটাই সবচেয়ে বড়। রক্ষণাত্মক খেললে ফুটবল খেলায় জয়ী হওয়া যায় না। আক্রমণও করতে হবে।' ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ডবিস্নউএইচও প্রধান। ফুটবলারদের নিয়ে 'কিক আউট করোনাভাইরাস' নামের এক কর্মসূচির উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ড. টেড্রস বলেন, মানুষকে ঘরে থাকতে বলা বা সামাজিক দূরত্বের মতো বিষয়গুলো এ ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গুরুত্বপূর্ণ নিঃসন্দেহে। তবে এসব পন্থা টেড্রসের মতে, 'রক্ষণাত্মক উপায় আর করোনার বিরুদ্ধে জয়ী হতে এসব কাজ করবে না।' ডবিস্নউএইচও প্রধান বলেন, 'জিততে হলে আক্রমণাত্মক হতে হবে এবং কৌশলে ভাইরাসকে আঘাত করতে হবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে স্বাস্থ্যকর্মীদের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন ড. টেড্রস। তিনি মনে করেন, পারসোনাল প্রোটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) না থাকার কারণেই এমনটা ঘটেছে। টেড্রস বলেন, নিরাপদে থাকলেই স্বাস্থ্যকর্মীরা তাদের কাজটা ভালোভাবে করতে পারবেন। প্রসঙ্গত, গত বছরের ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম নতুন ধরনের এই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঘটে। কিছুদিনের মধ্যে ভাইরাসটির সংক্রমণ দ্রম্নত ওই প্রদেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়লে কর্তৃপক্ষ প্রদেশটি লকাডাউন করে দিয়ে কোটি কোটি বাসিন্দাকে ঘরে অবস্থান করতে বাধ্য করে। সোমবার দিন শেষে হুবেইয়ের স্বাস্থ্য কমিশন প্রদেশটিতে মোট ৬৭ হাজার ৮০১ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও তিন হাজার ১৬০ জনের মৃতু্য হয়েছে বলে জানিয়েছে। চীনের পাশাপাশি বিশ্বের ভিন্ন দেশেও ভাইরাসটির সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর এই ভাইরাসের নাম দেওয়া হয় নভেল করোনাভাইরাস, আর এর ফলে সৃষ্ট রোগ নাম পায় কভিড-১৯; যার লক্ষণ জ্বর, মাথাব্যথা ও শ্বাসজনিত সমস্যা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে