শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
বাড়ছে সেবার পরিধি

বাংলাদেশ এইডসমুক্ত হবে ২০৩০ সালে

বতর্মানে সাধারণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে এইডস সংক্রমণের হার ০.১ শতাংশের কম এবং টাগের্ট জনগোষ্ঠীর মধ্যে এই হার ০.১ শতাংশেরও কম। রোগীরা এখন একটি নিদির্ষ্ট স্থান থেকে প্রয়োজনীয় ওষুধ ও সেবা নিতে পারছেন
যাযাদি রিপোটর্
  ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

বাংলাদেশে এইডস রোগের চিকিৎসা শুরু হয়েছিল ২০০৫ সালে। তবে তা পরিচালিত হতো বেসরকারিভাবে। বিভিন্ন দাতা গোষ্ঠীর অথার্য়নে বা এনজিও প্রতিষ্ঠান এ কাযর্ক্রম পরিচালনা করত।

সরকারিভাবে ২০১৬ সাল থেকে এইডসের চিকিৎসা ও পুনবার্সন পরিচালিত হচ্ছে। সরকারের বিভিন্ন কমর্সূচির কারণে খরচ আগের তুলনায় প্রায় অধেের্ক নেমে এসেছে। পাশাপাশি বেড়েছে সেবার পরিধি। এমনটাই দাবি করে সংশ্লিষ্ট কতৃর্পক্ষ বলছে, ২০৩০ সালের মধ্যে এইডসমুক্ত হবে বাংলাদেশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এইডস/এসটিডি কমর্সূচির (এএসপি) তথ্য অনুযায়ী, সুইস রেড ক্রিসেন্টের তত্ত¡াবধানে ২০০৫ সালে সবর্প্রথম দেশে এইচআইভি/এইডস রোগীদের শনাক্তকরণ ও চিকিৎসা শুরু হয়। এরপর উন্নয়ন সহযোগী গেøাবাল ফান্ড এবং সেভ দ্যা চিলড্রেন এবং বিভিন্ন এনজিওর আথির্ক সহায়তায় এ কাজ চলতে থাকে। তবে তারা মূলত এইডস রোগী ও ঝুঁকিপূণর্ গোষ্ঠীগুলোর কাছে ওষুধ ও অন্যান্য সরঞ্জাম পৌঁছে দেয়ার কাজ করতো। সে সময় এনজিগুলোর শুধু ওষুধ সরবরাহ করতে ব্যয় হতো প্রায় ১৪ কোটি টাকা। ২০১৬ থেকে এসব কাজ সরাসরি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এএসপি কমর্সূচির মাধ্যমে পরিচালিত হতে শুরু করে। এতে বিপুল পরিমাণ টাকা সাশ্রয় হচ্ছে। আর রোগীরাও আগের তুলনায় বেশি সেবা পাচ্ছেন।

এএসপি সূত্রে আরও জানা গেছে, এ কমর্সূচির আওতায় বতর্মানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ), চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সিলেট, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং রাজধানীর সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে রোগীদের নিয়মিত ওষুধ ও চিকিৎসা সহায়তা দেয়া হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এইডস/এসটিডি প্রোগ্রামের উপ পরিচালক এবং প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মো. বেলাল হোসেন বলেন, এইডস নিয়ন্ত্রণ কমর্সূচির গতি আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। তাছাড়া বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের অবস্থা বেশ ভালো। বতর্মানে সাধারণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে এইডস সংক্রমণের হার ০.১ শতাংশের কম এবং টাগের্ট জনগোষ্ঠীর মধ্যে এই হার ০.১ শতাংশেরও কম। রোগীরা এখন একটি নিদির্ষ্ট স্থান থেকে প্রয়োজনীয় ওষুধ ও সেবা নিতে পারছেন। ওষুধ ফুরিয়ে গেলে কারও প্রতিক্ষায় তাদের থাকতে হচ্ছে না।

জানা গেছে, ১৯৮৯ সালে দেশে প্রথম এইডস রোগী শনাক্ত হয়। সেই থেকে এ পযর্ন্ত ১১ হাজার ৭০০ রোগী শনাক্ত হয়েছে। ২০১৭ সালের তথ্য অনুসারে সারাদেশে ৫ হাজার ৫৮৬ জন এইডস রোগী রয়েছে। এর মধ্যে পুরুষ ৩৭১৮ জন এবং নারী ১৮০৫ জন। শুধু ২০১৭ সালেই নতুন করে এইডস রোগী শনাক্ত হয়েছে ৮৬৫ জন, এর মধ্যে মারা গেছে ১২৫ জন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<12113 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1