আজকের যায়যায়দিন

তিন দশকেরও বেশি সময় পর ঘোষিত চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রলীগের কমিটি বাতিলের দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছে পদবঞ্চিতরা।

মঙ্গলবার সকাল থেকে কলেজ গেটে রাস্তার ওপর অবস্থান নিয়ে সড়ক বন্ধ করে বিক্ষোভকারীরা। তারা নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছিরের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

বিক্ষোভাকরী এইচ এম ফরহাদের অভিযোগ, বিভিন্ন সময়ে যারা কলেজে শিবিরবিরোধী আন্দোলনের সাথে জড়িত ছিল তাদের বাদ দিয়ে এ কমিটি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘শিবির-ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল এমন ছাত্রদেরও কমিটিতে রাখা হয়েছে।’

আলোচনা সভায় ড. হাছান মাহমুদ / জিয়া মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে পাকিস্তানের দোসর ছিলেন

কমিটি বাতিলের দাবিতে বেলা ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পযর্ন্ত কলেজের সামনে বঁাশ দিয়ে ও টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখে ছাত্রলীগকমীর্রা। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের কলেজের ভেতরে ঢুকিয়ে দেয়।

অভিযোগ অস্বীকার করে নগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু বলেন, ‘ক্যাম্পাসে যাদের অবস্থান ভালো তাদেরকে আমরা সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক করে পূণার্ঙ্গ কমিটি গঠন করেছি। শিবির-ছাত্রদল বলে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে তারা তো ক্যাম্পাসে রাজনীতি করে আসছিল। এতদিন তাদের বিরুদ্ধে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।’

চকবাজার থানার পরিদশর্ক (তদন্ত) আরিফ হোসেন জানান, পদবঞ্চিতরা সড়ক বন্ধ করে বিক্ষোভ করেছিল। পরে তাদের বুঝিয়ে ক্যাম্পাসে ঢুকিয়ে দেয়া হয় এবং সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়।

’৮০-র দশকের শেষ দিকে চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী চট্টগ্রাম কলেজ ও হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজের দখল নিয়ে একক রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করেছিল ইসলামী ছাত্রশিবির। তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা অবস্থায় এ দুই কলেজে অন্য ছাত্র সংগঠনের কাযর্ক্রম একপ্রকার নিষিদ্ধ ছিল।

চট্টগ্রাম কলেজে খুন হয় ছাত্রলীগ ও ছাত্র ইউনিয়নের একাধিক নেতা। হামলায় আহত হয় বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের শতাধিক নেতাকমীর্।