মোবাইল ফোনে প্রতি মিনিটের কলরেট আগের মতো ২৫ পয়সা বা তার কম রাখা যায় কিনা সে বিষয়ে গণশুনানি করে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মুক্ত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দীন আহমেদ বেশ কিছু দাবি তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, অফ নেট ও অন নেট প্রথা বাতিল করে সরাসরি একক কল লাইন চালু করতে হবে। টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে গ্রাহক সুরক্ষা দেয়ার জন্য একটি আলাদা আইন ও কমিশন করতে হবে। কলরেটের ক্ষতিপূরণ গ্রাহককে দ্রæত ফেরত দিতে হবে।
এ ছাড়া এক মাসের মধ্যে মোবাইল নেটওয়াকর্ ব্যবস্থা সমস্যার সমাধান, ইন্টারনেটের ওপর ১০ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার করে দ্রæত বাস্তবায়ন, প্রমোশনাল ম্যাসেজ যত্রতত্র পাঠানো বন্ধের নিদের্শনা প্রদান, এমএনপি চালুর আগে চাজর্ নিধার্রণ ও ফোরজি চালুর ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ সংস্থার চুক্তি অনুযায়ী মোবাইল ইন্টারনেটের গতি ২০ এমবিপিএস ছয় মাসের মধ্যে বাস্তবায়নের দাবি জানান তিনি।
গত ১৪ আগস্ট নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, এখন থেকে ভয়েস কলরেট সবির্নম্ন ২৫ পয়সার স্থলে ৪৫ পয়সা এবং সবোর্চ্চ রেট দুই টাকা থাকবে।
সরকারের এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে মহিউদ্দীন বলেন, ‘মূল্যবৃদ্ধির কারণ ব্যাখ্যাসহ জনসম্মুখে প্রকাশ করতে হবে। দেশের বিপুলসংখ্যক সক্রিয় সিমের বিপরীতে হ্যান্ডসেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় নয় কোটি। এসব বিষয় বিবেচনা না করে শুধুমাত্র অপারেটরদের স্বাথর্রক্ষার কারণেই এই কলরেট বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে আমরা মনে করি।’
বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম রেজাউল করিম, অথর্ সম্পাদক শামসুল মনির ও বাংলাদেশ মোবাইল ফোন রিচাজর্ ব্যবসায়ী অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলু অন্যদের মধ্যে উপস্থিত অনেকে অংশ নেন।