বিএনপির রোববারের ঢাকার জনসভা নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেটিকে ‘প্রলাপ’ বলেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সোমবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কাযার্লয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন রিজভী।
রোববার বিকালে ঢাকার সোহরাওয়াদীর্ উদ্যানে জনসভা করে বিএনপি। জনসভায় ৭ দফা ও ১২টি লক্ষ্য উত্থাপন করে দলটি। এর পরপরই ধানমÐিতে আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর রাজনৈতিক কাযার্লয়ে সংবাদ সম্মেলন করে সভার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি সেখানে বলেন, ‘বিএনপির এই সমাবেশের উপস্থিতি হতাশাজনক। এই উপস্থিতি দেখে মনে হয়েছে, জনগণ বিএনপির সঙ্গে নেই। এই দলটি ক্রমেই সংকুচিত হচ্ছে।’
সোমবারের সংবাদ সম্মেলনে রিজভী আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের সেই বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন। রিজভী বলেন, ‘পথে পথে সরকারি আক্রমণের বাধার মুখেও বিএনপির সমাবেশে এত বিপুল মানুষের উপস্থিতি দেখে তারা হতাশ হয়ে মনের বিকারে প্রলাপ বকছেন। একতরফাভাবে নিবার্চনী বৈতরণি পার হতে আওয়ামী নেতারা কত তামাশা দেখাচ্ছেন, আর কত যে উদ্ভট কথা বলছেন, তার শেষ নেই। দল হিসেবে আওয়ামী লীগের এখন হতভাগ্য দেউলিয়াগ্রস্ত রাজনীতি। সেজন্যই খাপছাড়া কথা বলছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।’
রিজভী বলেন, ‘জনসভায় বিপুল সমাগম দেখে সরকারের কঁাপুনি ধরে গেছে। সেজন্যই বিএনপির নেতাকমীের্দর ব্যাপক হারে গ্রেপ্তারকে সরকার রক্ষাকবচ মনে করছে। গতকাল জনসভা শেষে আমরা দেখলাম বিএনপি নেতাকমীর্ ও সাধারণ মানুষের ওপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঔদ্ধত্য আক্রমণে গ্রেপ্তার করার মহড়া।’
রোববারের সভা অনুষ্ঠানে বিঘœ ঘটানোর জন্য সরকারের নানা তৎপরতার বিষয়ে অভিযোগ করেন রিজভী। তিনি বলেন, ‘জনসভা ঘিরে ঢাকার ভেতরে ও আশপাশের বিভিন্ন পয়েন্টে গণপরিবহন বন্ধ করে দেয় ক্ষমতাসীন দলের সশস্ত্র নেতাকমীর্রা।
বিএনপি নেতাকমীের্দর সন্দেহ করে পথে পথে বাধা দিয়েছে তারা। মারধরের ঘটনাও ঘটেছে বিভিন্ন স্থানে। সকাল থেকেই ঢাকা মহানগরীর প্রবেশপথ আগলে রাখে পুলিশের পাশাপাশি আওয়ামী ক্যাডাররা। গত শনিবার রাত থেকেই ঢাকা মহানগরীসহ আশপাশের জেলাগুলোতে বিএনপি নেতাকমীের্দর বাসায় বাসায় চলে পুলিশি তল্লাশি।’
রোববারের সভার আগে ও পরে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিএনপির বিপুল সংখ্যক নেতাকমীর্ ধরপাকড়ের অভিযোগ করেন রিজভী।