আজকের যায়যায়দিন

কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবরের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে দায়ের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৭ ডিসেম্বর দিন ধাযর্ করেছে আদালত।

বুধবার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধাযর্ ছিল। কিন্তু মামলার তদন্ত কমর্কতার্ প্রতিবেদন জমা না দেয়ায় ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক নিবানা খায়ের জেসি পরবতীর্ এই তারিখ ধাযর্ করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ১ জুন রাত ৯টার দিকে বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলের ‘সাচর্ লাইট’ নামের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাদী জানতে পারেন, আসিফ আকবর কারও অনুমতি ছাড়াই গীতিকার, সুরকার ও বিভিন্ন শিল্পীর ৬১৭টি গান সবার অজান্তে বিক্রি করেছেন। পরে বাদী বিভিন্নভাবে আরও জানতে পারেন, আসিফ তার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আবর্ এন্টারটেইনমেন্টের চেয়ারম্যান হিসেবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে গানগুলো ডিজিটাল রূপান্তর করে প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল অথর্ উপাজর্ন করেছেন।

এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শফিক তুহিন তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে অনুমোদন ছাড়া গান বিক্রির বিষয়টি উল্লেখ করে একটি পোস্ট দেন। তার সেই পোস্টের নিচে আসিফ আকবর অশালীন মন্তব্য করেন। পরের দিন (২ জুন) রাতে আসিফ আবারও তার ফেসবুক পেজে লাইভে আসেন। লাইভে শফিক তুহিনের বিরুদ্ধে অবমাননাকর, অশালীন ও মিথ্যা বক্তব্য রাখেন। ফেসবুক লাইভে এসে ভক্তদের উদ্দেশে আসিফ বলেন, ‘শফিক তুহিনকে যেখানেই পাবেন, সেখানেই প্রতিহত করবেন।’

আলোচনা সভায় ড. হাছান মাহমুদ / জিয়া মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে পাকিস্তানের দোসর ছিলেন

ওই ঘটনার পর গত ৪ জুন সন্ধ্যায় গীতিকার ও কণ্ঠশিল্পী শফিক তুহিন তেজগঁাও থানায় আসিফের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় আসিফ ছাড়া আরও চার-পঁাচ জন অজ্ঞাতনামা আসামি রয়েছে। তেজগঁাও থানায় মামলা নম্বর- ১৫ (০৬) ১৮।

পরে ৫ জুন রাত দেড়টার দিকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) একটি দল আসিফকে তার অফিস থেকে গ্রেপ্তার করে। ওই মামলায় আসিফ বতর্মানে জামিনে রয়েছেন।