বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

প্রধানমন্ত্রী ডিসেম্বরেই পাচ্ছেন ই-পাসপোটর্, সবর্সাধারণ মাচের্

যাযাদি রিপোটর্
  ০২ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে ‘নিধাির্রত সময়েই’ চালু হচ্ছে অত্যাধুনিক ই-পাসপোটর্ (ইলেকট্রনিক পাসপোটর্)। তবে ডিসেম্বরে শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূণর্ আর বাণিজ্যিক গুরুত্বপূণর্ ব্যক্তিরা (সিআইপি) পাবেন ই-পাসপোটর্।

চলতি বছরের জুলাইয়ে জামাির্নর ভেরিডোস কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করে বাংলাদেশের পাসপোটর্ ও ইমিগ্রেশন অধিদপ্তর। সে সময় ঘোষণা দেয়া হয় ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই সবার হাতে পেঁৗছাবে ই-পাসপোটর্। তবে নিধাির্রত সময়ে সবর্সাধারণকে ই-পাসপোটর্ দেয়া অনেকটাই অসম্ভব হয়ে পড়েছিল। তাই সরকারের মেয়াদ শেষের কয়েকদিন আগেই রাষ্ট্রের গুরুত্বপূণর্ ব্যক্তিদের আনুষ্ঠানিকভাবে দিয়ে শুরু হচ্ছে ই-পাসপোটর্ কাযর্ক্রম।

বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন ও পাসপোটর্ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন ও অথর্) মোহাম্মদ শিহাব উদ্দিন খান বলেন, ‘ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে ই-পাসপোটর্ দিতে কাজ করা হচ্ছে। তবে ডিসেম্বরে সবাইকে দেয়া সম্ভব হবে না। সবার আবেদন গ্রহণও করা হবে না। ডিসেম্বরে শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীকে পাসপোটর্ দেয়ার মাধ্যমে এ কাযর্ক্রম শুরু হবে। এ ছাড়া সিআইপিরা এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। পরবতীের্ত যখন সব ধরনের কানেকটিভিটি ঠিক হবে, তখন সবর্সাধারণ আবেদন করতে পারবেন। আশা করছি ফেব্রæয়ারি-মাচের্ সবাই ই-পাসপোটের্র জন্য আবেদন করতে পারবেন।’

১০ বছরের মেয়াদসহ ই-পাসপোটের্র ফি নিধার্রণের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ফি নিধার্রণের জন্য একটি কমিটি করা হয়েছে। কমিটি মন্ত্রণালয়ের কাছে পাসপোটের্র তিনটি ক্যাটাগরির (অডির্নারি, এক্সপ্রেস ও সুপার এক্সপ্রেস) ফি প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাবটি চূড়ান্ত অনুমোদন পেলে ফি’র বিষয়ে বলা যাবে।

দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, ই-পাসপোটর্ হবে ১০ বছর মেয়াদের। ফি নিধার্রণ কমিটির প্রস্তাবে সাধারণ পাসপোটের্র জন্য ছয় হাজার (২১ দিন), এক্সপ্রেস ডেলিভারির জন্য ১২ হাজার (সাত দিন) এবং সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারির জন্য ১৫ হাজার টাকা (এক দিন) প্রস্তাব করা হয়েছে।

ই-পাসপোটর্ একটি বায়োমেট্রিক পাসপোটর্। এতে ইলেক্ট্রনিক মাইক্রোপ্রসেসর চিপ থাকবে। এ মাইক্রোপ্রসেসর চিপে পাসপোটর্ধারীর ছবি, আঙুলের ছাপ ও চোখের মণির তথ্য সংরক্ষণসহ মোট ৩৮ ধরনের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য থাকবে। ই-পাসপোটর্ চালু হলে জালিয়াতি ও পরিচয় গোপন করা কঠিন হবে বলে জানাচ্ছে ইমিগ্রেশন অধিদপ্তর।

পাসপোটর্ অধিদপ্তর জানায়, শুরুতে ২০ লাখ ই-পাসপোটর্ জামাির্ন থেকে প্রিন্ট করে সরবরাহ করা হবে। এরপর আরও দুই কোটি ৮০ লাখ পাসপোটর্ দেশে প্রিন্ট করা হবে। সে জন্য উত্তরায় কারখানা স্থাপন করা হবে। পরবতীের্ত ওই কারখানায় থেকেই পাসপোটর্ ছাপানো হবে।

এদিকে অনেকেই শঙ্কায় রয়েছেন, ই-পাসপোটর্ চালুর সঙ্গে সঙ্গে মেশিন রিডেবল পাসপোটর্ (এমআরপি) বাতিল হবে কি-না। এ বিষয়ে অধিদপ্তর জানায়, কারও পাসপোটের্র মেয়াদ শেষ হলে তাকে এমআরপির বদলে ই-পাসপোটর্ নিতে হবে। তবে এমআরপিও গ্রহণযোগ্য হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<20458 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1