আজকের যায়যায়দিন

চট্টগ্রাম নগরের জামালখান, আসকার দীঘির পাড়, বাকলিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে। রোববার সকাল থেকে গ্যাস সংকট শুরু হলেও কবে নাগাদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে তা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না কণর্ফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) কমর্কতার্রা।

কেজিডিসিএলের ম্যানেজার (কাস্টমার অ্যান্ড মেইনটেইনেস) ইঞ্জিনিয়ার অনুপম দত্ত জানান, সিলেটের বিবিয়ানায় প্রধান লাইনে সমস্যার কারণে চট্টগ্রামজুড়ে গ্যাস সংকট রয়েছে। ইতোমধ্যে প্রধান লাইনে কাজ চলছে। কাজ শেষ হলে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হবে।

তবে কবে নাগাদ কাজ শেষ হবে সে ব্যাপারে তিনি নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি।

খেঁাজ নিয়ে জানা যায়, নগরের চকবাজার, বহদ্দারহাট, কোতোয়ালিসহ প্রায় এলাকায় সকাল ৯টা থেকে গ্যাস নেই। এর ফলে চুলা জ্বালাতে পারেননি গৃহিণীরা। কেউ কেউ মাটির চুলায় রান্না করেন। বিপাকে পড়েছে গ্যাসনিভর্র হোটেল-রেস্টুরেন্টগুলোও।

আলোচনা সভায় ড. হাছান মাহমুদ / জিয়া মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে পাকিস্তানের দোসর ছিলেন

আসকার দীঘির পাড় এলাকার বাসিন্দা ইসমত আরা জানান, ‘সকাল ৯টার দিকে চুলা জ্বালাতে গেলে দেখি গ্যাসের চাপ নেই। গ্যাসের চাপ না থাকায় দুপুর ২টা পযর্ন্ত চুলা জ্বালাতে পারিনি। সকালে কোনোরকমে ছেলেমেয়েরা পাউরুটি ও জেলি খেয়ে স্কুল-কলেজে গেছে। কিন্তু দুপুরে হোটেল থেকে কিনে এনে ভাত খেতে হচ্ছে।’

চকবাজার বাদুরতলা এলাকার বাসিন্দা কোহিনূর আকতার বলেন, ‘কিছুদিন পরপর এভাবে ঘোষণা ছাড়াই গ্যাস না থাকাটা খুবই ভোগান্তির। সকালে চুলা না জ্বলায় পরিবারের সবাইকে হোটেলে গিয়ে খেতে হয়েছে। কিন্তু দুপুরে খেতে গেলে দেখি, খাবারের সংকট। হোটেলে যে খাবার ছিল সেগেুলোর দামও বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে গ্যাস না থাকার অজুহাতে।