আজকের যায়যায়দিন

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, এসডিজি (টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য) বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ রয়েছে এটা ঠিক। তবে বাংলাদেশিরা বীরত্বপূণর্ জাতি। চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে এসডিজি বাস্তবায়েন বাংলাদেশ সক্ষম। এই লক্ষ্যমাত্রা অজের্ন বাংলাদেশ সঠিক পথেই রয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তজাির্তক সম্মেলনকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এসডিজি বাস্তবায়ন পযাের্লাচনা-বিষয়ক জাতীয় সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন স্যার ফজলে হাসান আবেদ, সাবেক সিনিয়র সচিব ড. মো. মোজাম্মেল হক খান, প্রধানমন্ত্রীর কাযার্লয়ের এসডিজি-বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এক সময় বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলা হলেও বতর্মানে বাংলাদেশকে বিশ্বে উন্নয়নের মডেল হিসেবে আখ্যায়িত করা হচ্ছে।

আলোচনা সভায় ড. হাছান মাহমুদ / জিয়া মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে পাকিস্তানের দোসর ছিলেন

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সদ্যসমাপ্ত ২০১৭-১৮ অথর্বছরে পণ্য ও সেবায় মোট রপ্তানি আয় হয়েছে ৪১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার (চার হাজার ১৫০ কোটি ডলার)। এরমধ্যে পণ্য রপ্তানি বাবদ আয় হয়েছে ৩৭ বিলিয়ন ডলার ও সেবা খাতে ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার। আর তৈরি পোশাক খাতে রপ্তানি আয় হয়েছে ৩০ বিলিয়ন ডলার।

তিনি বলেন, আমরা ইতোমধ্যে এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে ওঠার পযাের্য় রয়েছি; যেটা ২০২৪ সালে স্বীকৃতি পাব। উন্নয়নশীল দেশ হলে যেসব দেশ আমাদের জিএসপি সুবিধা দেয়, সেসব দেশ থেকে এই সুবিধা পাব না। তাই আমরা এখন বিভিন্ন দেশ থেকে জিএসপি প্লাস সুবিধা পাওয়ার বিষয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছি।

তিনি বলেন, বতর্মানে আমাদের দেশে অতি দারিদ্র্যের হার ১১ শতাংশ। যদি আমরা এসডিজি বাস্তবায়ন করতে পারি, তাহলে এই হার ৩ শতাংশের নিচে নেমে আসবে। একই লক্ষ্য প্রধানমন্ত্রীরও। এসডিজি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সঠিক পথেই রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।