প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পযাের্য়র পর এবার মিড ডে মিল চালু হচ্ছে দেশের সব মাদ্রাসায়। এ কাযর্ক্রম চালু করতে সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরকে এ নিদের্শ দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের নিদেের্শর পর অধিদপ্তর দেশের সব মাদ্রাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এ কাযর্ক্রম বাস্তবায়নের জন্য নিদের্শও দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (মাদ্রাসা) রওনক মাহমুদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নিদের্শ অনুযায়ী মাদ্রাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিজস্ব অথার্য়নে মিড ডে মিল চালুর নিদের্শনা দেওয়া হয়েছে। অধিদপ্তর সংশ্লিষ্টদের নিদের্শনা দিয়েছে মিড ডে মিল বাস্তবায়নের জন্য। শিশুদের দুপুরে টিফিনের ব্যবস্থা করা গেলে তারা পাঠে মনোযোগী হবে, এই উদ্দেশ্যেই এ নিদের্শনা দেওয়া হয়েছে।’
মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজস্ব অথার্য়নে মিড ডে মিল চালুর নিদের্শনা দিয়েছি। তবে আরও কিছু সাপোটর্ পাব মনে করছি। আমরা প্রকল্প নেওয়ার চেষ্টা করছি।’
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশের প্রায় সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড-ডে মিল চালু হয়েছে। মাধ্যমিক পযাের্য়র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ কাযর্ক্রম শুরু হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাফল্যের ধারাবাহিকতায় মাদ্রাসা অধিদপ্তরের আওতাধীন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও মিড ডে মিল চালুর নিদের্শনা দেওয়া হয়।
কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব (প্রশাসন ও অথর্) মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ স্বাক্ষরিত গত ৪ জুনের আদেশে বলা হয়, মিড ডে মিল কাযর্ক্রম আরও গতিশীল করতে প্রধানমন্ত্রী নিদের্শনা দিয়েছেন। মাদ্রাসা ও অন্যান্য ধমীর্য় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্থানীয়ভাবে মিড ডে মিল চালু করা যেতে পারে।
প্রধানমন্ত্রীর এই নিদের্শনা অনুযায়ী মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। মন্ত্রণালয়ের নিদের্শনার পর গত ২৫ জুন মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিজস্ব অথার্য়নে মিড ডে মিল চালুর নিদের্শনা দেওয়া হয়। মাদ্রাসা অধিদপ্তরের সহকারী পরিরচালক (প্রশাসন) মো. শাহীনুর ইসলাম স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন সব প্রতিষ্ঠানগুলোতে মিড ডে মিল চালু করে অধিদপ্তরকে অবহিত করতে হবে।
এ বিষয়ে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক (প্রশাসন) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষাথীের্দর দুপুরে খিচুড়ি বা কিছু পুষ্টিকর খাবার দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানকে নিদের্শ দেওয়া হয়েছে। এখনোও কাযর্ক্রম শুরু হয়নি। এ কাযর্ক্রম চালু হবে। চালু করা হচ্ছে কিনা তা নিয়মিত মনিটরিং করা হবে। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ধীরে ধীরে এর আওতায় আনা হবে।’