শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
দেখার কেউ নেই

সিটিং সাভিের্সর দৌরাত্ম্য ভোগান্তিতে যাত্রীরা

নতুনধারা
  ১০ জুলাই ২০১৮, ০০:০০
রাজধানীতে সিটিং সাভির্স বাসে এভাবে দঁাড় করিয়ে নেয়া হয় যাত্রী Ñবাংলানিউজ

যাযাদি রিপোটর্

রাজধানীতে সিটিং সাভিের্সর নামে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় এখনো বন্ধ হয়নি, বাড়েনি যাত্রীসেবার মান। একই কোম্পানির দুটি (লোকাল ও সিটিং) আলাদা রঙের বাস চালুর কথা থাকলেও সেটা মানছেন না পরিবহন মালিকরা।

সোমবার রাজধানীর বিভিন্ন রুটে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, যাত্রীবাহী বাস বিভিন্ন কোম্পানির অধীনে চলাচল করলেও এর সবগুলোই ছিল সিটিং সাভির্স। কোনো কোম্পানির আলাদা লোকাল সাভিের্সর বাস চোখে পড়েনি। আবার দঁাড়ানো যাত্রীও ছিল প্রতিটি সিটিং সাভিের্স। দঁাড়ানো যাত্রী নিলেও ভাড়া আদায় হয়েছে সিটিং সাভিের্সরই।

রাজধানীতে সিটিং সাভিের্সর নামে নৈরাজ্য বন্ধ করতে গত বছরের এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কতৃর্পক্ষ (বিআরটিএ), পরিবহন মালিক সমিতি ও পুলিশের যৌথ অভিযান পরিচালিত হয়। সে সময় বাস মালিকরা প্রায় ৪০ শতাংশ বাস বন্ধ করে দিয়ে কৃত্রিম সংকট তৈরি করেন। এরপর পুনরায় সিটিং সাভির্স চালু করতে বিআরটিএ, মালিক-শ্রমিক, নাগরিক প্রতিনিধি এবং পুলিশের সমন্বয়ে আট সদস্যের কমিটি করা হয়।

সেই কমিটি বৈঠক করে কিছু শতর্ পূরণের মাধ্যমে রাজধানীতে সিটিং সাভির্স রাখার পক্ষে পরামশর্ দেয়। সেই শতের্র মধ্যে ছিল, রাজধানীতে চলাচলকারী সব পরিবহনকে কিছু কোম্পানির অধীনে চলাচল করতে হবে। প্রতিটি কোম্পানির সিটিং সাভির্স ও লোকাল পরিবহন থাকবে। এ জন্য (লোকাল ও সিটিং) একই নামে দুটি ভিন্ন রঙের বাস চলবে। সিটিং সাভিের্স দঁাড়িয়ে যাত্রী পরিবহন করা যাবে না। এটার স্টপেজ থাকবে সীমিত।

সুপ্রভাত স্পেশাল বাসের যাত্রী সালাউদ্দিন বলেন, তিনি সদরঘাট থেকে গাজীপুর যাবেন। তার কাছ থেকে সিটিং ভাড়া ৫৫ টাকা নিয়েছে। অথচ তারা লোকাল যাত্রী উঠাচ্ছে একাধিক। প্রতিবাদ করলে তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছে।

একই অবস্থা দেখা গেছে আজমেরি গেøারী, বিহঙ্গ, মিরপুরই উনাইটেড, তানজিল, তিন নম্বর স্পেশাল, বন্ধু পরিবহন ও রাইদা পরিবহনে। তবে এখনো সবির্নম্ন পঁাচ টাকা ভাড়ার প্রচলন রয়েছে ছয় নম্বর বাস, সাত নম্বর ও আট নম্বর বাসে।

সুপ্রভাত স্পেশাল পরিবহনের ড্রাইভার সোহাগ বলেন, তাদের কোম্পানির সব বাস সিটিং সাভির্স। লোকাল কোনো বাস নেই।

সিটিং সাভিের্স কেন দঁাড়ানো যাত্রী নেয়া হচ্ছেÑ এ বিষয়ে সোহাগ বলেন, তারা না চাইলেও অনেক সময় যাত্রীরা উঠে পড়েন। এ ছাড়া বড় বাসের মধ্যে অনেক জায়গা রয়েছে, এখানে কিছু লোক দঁাড়ালে তো কেউ অভিযোগ করেন না।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, রাজধানীতে সিটিং সাভিের্সর নামে প্রতারণা দীঘির্দনের। এটা নিয়ন্ত্রণে সরকারের কোনো মাথা ব্যথা নেই। মালিকদের স্বাথের্র দিকে সরকারের সমথর্ন। সরকার কোনো দিনই নিধাির্রত ভাড়ার হার কাযর্কর করতে পারেনি। তবে প্রতিটি বাস ২০ শতাংশ খালি সিট নিয়ে চলবেÑ এভাবেই বাসের ভাড়া নিধার্রণ করা হয়েছে। এর ফলে আলাদা সিটিং সাভিের্সর নামে ভাড়া আদায় অযৌক্তিক। যেটা পরিবহন ও মোটরযান আইনে নেই।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<2835 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1