বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ধষের্ণর পর শিশুকে তিনতলা থেকে ফেলে হত্যার অভিযোগ

যাযাদি রিপোটর্
  ০৮ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০
রাজধানীর গেন্ডারিয়ার দীননাথ সেন রোডে দুই বছরের শিশু আয়েশা হত্যার ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে সোমবার গেন্ডারিয়া থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন নিহত শিশুর পরিবার, স্বজন ও বিক্ষব্ধ এলাকাবাসী Ñযাযাদি

মা-বাবা ও তিন বোনের সঙ্গে রাজধানীর গেÐারিয়ার দীননাথ সেন রোডের এক বস্তিতে থাকত শিশু আয়েশা (২)। প্রতিদিন সকালে আয়েশার মা-বাবা কাজে যান। এ সময় গেÐারিয়ার সাধনা ওষুধালয়ের সামনে গলিতে খেলে বেড়াত শিশুটি। অন্যান্য দিনের মতো গত শনিবারও বিকেলে খেলতে বের হয় আয়েশা। সন্ধ্যার দিকে বাড়ির পাশের চারতলা একটি ভবনের সামনে আয়েশার রক্তাক্ত নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।

আয়েশার পরিবার ও এলাকাবাসীর অভিযোগ, মো. নাহিদ (৪৫) নামের এক ব্যক্তি শিশুটিকে ধষর্ণ করেছেন। পরে চারতলা ভবনের তিনতলা থেকে তাকে নিচে ফেলে হত্যা করেছেন।

আয়েশার মামা মো. আলী কাছে অভিযোগ করেন, আয়েশাকে ধষর্ণ করে হত্যা করেছেন ৫৩/১জ দীননাথ সেন রোডের চারতলা বাড়ির মালিক নাহিদ। তিনি ভবনের তিনতলায় থাকেন। আয়েশা বিকেলে যখন খেলছিল, তখন তাকে খিচুড়ি খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে নিজের ফ্ল্যাট নিয়ে যান নাহিদ। সেখানেই তাকে ধষর্ণ করা হয়। সন্ধ্যার দিকে ফ্ল্যাটের খোলা বারান্দা থেকে আয়েশাকে নিচে ফেলে দেন নাহিদ। এ সময় আয়েশার চিৎকার আশপাশের লোকজনও শোনে।

মো. আলীর ভাষ্য, আয়েশাকে নিচে ফেলার শব্দ বাড়ির পাশের মাঠ থেকে কয়েকজন যুবক শুনতে পান। এলাকার লোকজন এসে আয়েশার রক্তাক্ত লাশ দেখতে পেয়ে নাহিদকে আটক করেন। আয়েশার নাক-মুখ দিয়ে রক্ত ঝরছিল। শরীরেও আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেন নাহিদ। তবে রোববার নাহিদের মেয়ে (১৩) তার বাবার অপকমের্র কথা এলাকাবাসীকে জানিয়ে দেয়।

পরিবার ও হাসপাতাল সূত্র জানায়, ঘটনার পর আয়েশাকে স্থানীয় হাসপাতালে নেয়া হয়। তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। পরে আয়েশার লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মগের্ পাঠানো হয়। সেখানে ময়নাতদন্তের পর গতকাল জুরাইন কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

আয়েশার বাবা মো. ইদ্রিস ওয়েল্ডিংয়ের কাজ করেন। মা রাজিয়া সুলতানা এলাকায় বিভিন্ন বাড়িতে গৃহকমীর্র কাজ করেন। তঁাদের চার মেয়ের মধ্যে আয়েশা দ্বিতীয়।

এলাকাবাসী ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অভিযোগ ওঠা নাহিদ পুরান ঢাকার ইসলামপুরে ব্যবসা করতেন। তবে বতর্মানে তিনি ব্যবসা করেন না। দীননাথ সেন রোডে নিজের চারতলা বাড়ির ভাড়ার টাকায় তার সংসার চলে। নাহিদ উচ্ছৃঙ্খল প্রকৃতির লোক। প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর তিনি ফের বিয়ে করেন। দ্বিতীয় স্ত্রী নাহিদের সংসার ছেড়ে চলে গেছেন।

আয়েশার মৃত্যুর ঘটনায় গেন্ডারিয়া থানা-পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে। এই মামলায় গতকাল রাতে নাহিদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা বলছে, গ্রেপ্তার হওয়া নাহিদকে মানসিক ভারসাম্যহীন মনে হচ্ছে।

পুলিশের ওয়ারী জোনের সহকারী কমিশনার শামসুজ্জামান বাবু বলেন, প্রাথমিকভাবে আয়েশার শরীরে ধষের্ণর আলামত পাওয়া যায়নি। তবে তার লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়া গেলে সে অনুযায়ী পরবতীর্ আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।

অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে নাহিদের পরিবার বা স্বজনদের কাউকে পাওয়া যায়নি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<31128 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1