আজকের যায়যায়দিন

নবাবগঞ্জে স্ত্রীকে

গলা কেটে হত্যা

যাযাদি রিপোটর্

ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলা দিঘিরপাড় সাত ঘরহাটি এলাকার আব্দুল আজিজের ভাড়া বাসায় মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে পারুল আক্তার (৩৫) নামে এক নারীকে গলা গেটে হত্যা করেছেন তার স্বামী আক্কাস। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন আক্কাস।

আলোচনা সভায় ড. হাছান মাহমুদ / জিয়া মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে পাকিস্তানের দোসর ছিলেন

নবাবগঞ্জ থানার এসআই আবুল হোসেন জানান, আক্কাস-পারুল দম্পতির ছেলে পারভেজ সোমবার রাতে একই গ্রামে নানার বাড়িতে ঘুমাতে গিয়েছিল। সকাল ৮টার দিকে বাসায় ফিরে ঘরের দরজায় শিকল দেয়া দেখতে পায়। শিকল সরিয়ে ঘরে ঢুকে মায়ের গলা কাটা মরদেহ দেখে পারভেজ চিৎকার করলে স্থানীয়রা ছুটে আসে। পরে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। আক্কাস উপজেলার বাহ্রা ইউনিয়নের মৃত গুনাই ফকিরের ছেলে। তিনি স্ত্রী ও ছেলে পারভেজকে (১০) নিয়ে ওই গ্রামের প্রবাসী আব্দুল আজিজের বাড়িতে ভাড়া থাকেন।

নিমার্ণশ্রমিকের

মরদেহ উদ্ধার

যাযাদি ডেস্ক

বগুড়ার ধুনট উপজেলার এলাঙ্গী ইউনিয়নের ফকিরপাড়া গ্রামের নিজ ঘর থেকে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে বাহার চঁান (১৭) নামে এক নিমার্ণশ্রমিকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বাহার উপজেলার এলাঙ্গী ইউনিয়নের ফকিরপাড়া গ্রামের হতদরিদ্র আব্দুল বারীর ছেলে।

ধুনট থানার ওসি ইসমাইল হোসেন জানান, নিজ ঘরের তীরের সঙ্গে বাহার চঁানের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে প্রতিবেশীরা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মগের্ পাঠায়। বাহার চঁানের পরিবারের লোকজন ঢাকায় পোশাক কারখানায় কাজ করেন। গ্রামের বাড়িতে তিনি একাই বসবাস করতেন। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ট্রাক্টর চালানো শিখতে

গিয়ে যুবকের মৃত্যু

যাযাদি ডেস্ক

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কসবা গ্রামে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ট্রাক্টর চালানো শিখতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন সজিব হোসেন (২২) নামে এক যুবক।

গাংনী থানার ওসি হরেন্দ্রনাথ সরকার জানান, কসবা গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে প্রবাসী সজিব হোসেন প্রায় চার মাস আগে বাড়ি ফিরে এসেছেন। মঙ্গলবার সকালে গ্রামের মাঠে পাওয়ার টিলার (ট্রাক্টর) চালানো শিখছিলেন তিনি। এ সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাক্টরটি উল্টে পাশের সরস্বতি খালে পড়ে যায়। এতে ট্রাক্টরের নিচে চাপাপড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান সজিব। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বাবা

ও ছেলের মৃত্যু

যাযাদি ডেস্ক

নোয়াখালী কবিরহাট উপজেলার নরোত্তমপুর ইউনিয়নের ফলাহারী গ্রামে সোমবার রাত ৮টার দিকে পল্লীবিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে টানা দেয়া তার থেকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বাবা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে।

কবিরহাট থানার ওসি মিজার্ হাসান জানান, মৃত দুইজন হলেন ফলাহারী গ্রামের বাসিন্দা সালাহ উদ্দিন (৪৫) ও তার ছেলে করমবক্স উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র সৌরভ (১২)। সালাহ উদ্দিন পুকুর ঘাটের পাশে বিদ্যুতের খুঁটির টানা তার ধরে পা ধোয়ার সময় বিদ্যুতায়িত হয়ে পানিতে পড়ে যান। এ সময় বাবাকে বঁাচাতে গিয়ে সৌরভও বিদ্যুতায়িত হয়ে পানিতে পড়ে মারা যায়। পল্লীবিদ্যুতের কবিরহাট জোনের ডিজিএম গোপাল চন্দ্র বলেন, এ ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সেলুন ব্যবসায়ীকে

শ্বাসরোধে হত্যা

যাযাদি ডেস্ক

নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নে ব্রজ লাল শীল (৬২) নামে এক সেলুন ব্যবসায়ীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে নাথপাড়া গ্রাম থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

চাটখিল থানার ওসি সামছুদ্দিন জানান, প্রতিদিনের মতো সোমবার রাত ৯টার দিকে সেলুন বন্ধ করে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন ব্রজ লাল। অনেক রাত হলেও তিনি বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন তাকে বিভিন্ন স্থানে খুঁজতে থাকেন। একপযাের্য় বাড়ির পাশের একটি পুকুর পাড়ে নিজর্ন স্থানে গলায় রশি পেঁচানো অবস্থায় ব্রজ লাল শীলের মরদেহ দেখতে পায় তারা। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের ভাই মানিক লাল শীলের ছেলে রঞ্জিত লাল শীল (৩০) ও এমরান হোসেন (২৭) নামে দুই যুবককে আটক করেছে পুলিশ।

ছিনতাইকারীর হাতে

ব্যবসায়ী খুন

যাযাদি ডেস্ক

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপীনাথপুর শরীফপাড়ায় সোমবার রাতে ছিনতাইকারীদের আঘাতে দিলু শরীফ (৫২) নামে এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। দিলু সদর উপজেলার গোপীনাথপুর শরীফপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুস ছালাম শরীফের ছেলে।

গোপিনাথপুর পুলিশ ফঁাড়ির পরিদশর্ক মো. হযরত আলী বলেন, রাত সাড়ে ৯টার দিকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বাড়ি ফেরার পথে ছিনতাইকারীরা পিটিয়ে তাকে মারাত্মক আহত করে টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় দিলুকে উদ্ধার করে প্রথমে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে আনা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি ঘটলে সকালে খুমেক হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।