আজকের যায়যায়দিন

একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চনে ব্যাপক অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, তা প্রত্যাখ্যান করে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, এটি ‘বিএনপি-জামায়াতের পক্ষে’ একটি প্রতিবেদন।

বুধবার চট্টগ্রামে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘নিবার্চন নিয়ে যে বক্তব্য-গবেষণার কথা বলে টিআইবি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, এতে আর বিএনপির বক্তব্যের মধ্যে কোনো পাথর্ক্য নেই। প্রকৃতপক্ষে বিএনপি-জামায়াতের পক্ষে টিআইবি একটি প্রতিবেদন দিয়েছে মাত্র। অন্য কোনো কিছু নয়।’

গত মঙ্গলবার টিআইবির ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের ৩০০ আসনের মধ্যে ৫০টির ভোট পরিস্থিতি নিয়ে সমীক্ষা চালিয়ে ৪৭ আসনেই কোনো না কোনো নিবার্চনী অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে তারা।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘টিআইবির বেশিরভাগ প্রতিবেদন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, ত্রæটিপূণর্, একপেশে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’

আলোচনা সভায় ড. হাছান মাহমুদ / জিয়া মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে পাকিস্তানের দোসর ছিলেন

টিআইবির মতো ‘আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান’ বিভিন্ন সময় ‘মনগড়া কল্পকাহিনি’ প্রকাশ করে দেশের ভাবমূতির্ ক্ষুণœ করছে বলে মন্তব্য করেন এই আওয়ামী লীগ নেতা।

তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তারা প্রতিবেদন প্রকাশ করে বলে, তাদের গবেষণাপ্রসূত প্রতিবেদন। আমরা অতীতে দেখতে পেয়েছি, তারা যে গবেষণার কথা বলে, সে গবেষণাগুলো প্রকৃতপক্ষে কোনো সঠিক গবেষণা নয়।’

এর আগে টিআইবি পদ্মা সেতু নিমার্ণ প্রকল্পে দুনীির্তর তথ্য নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। সেই প্রকল্পে দুনীির্তর ষড়যন্ত্রের অভিযোগ নিয়ে বিশ্বব্যাংক কানাডার আদালতে মামলা করে হেরে যায় বলে মন্তব্য করেন তথ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘টিআইবিসহ বিভিন্ন সংস্থা পদ্মা সেতু নিয়ে দুনীির্তর কল্পকাহিনি সাজিয়েছিল। তাদের উচিৎ ছিল জনগণের কাছে ক্ষমা চাওয়া। এ ধরনের মনগড়া প্রতিবেদন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রতিবেদন প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকা; যেটি তারা করেনি।’

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সব সাধারণ নিবার্চনের মধ্যে ৩০ ডিসেম্বরের ভোট ‘অপেক্ষাকৃত অনেক শান্তিপূণর্’ হয়েছে বলেও দাবি করেন তথ্যমন্ত্রী।