শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

নিবার্চন সংবিধান মোতাবেক ও অংশগ্রহণমূলক হয়েছে

আলোচনা সভায় বক্তারা
যাযাদি রিপোটর্
  ১৯ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০
জাতীয় প্রেসক্লাবে আব্দুস সালাম হলে শুক্রবার বঙ্গবন্ধু পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ডা. এস এ মালেক -যাযাদি

নিবার্চন সম্পকের্ যাই বলা হোক না কেন, নিবার্চন সংবিধান মোতাবেক ও অংশগ্রহণমূলক হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশিষ্টজনরা। তারা বলেন, নিবার্চন নিয়ে যারা অপপ্রচার চালাচ্ছে তারা স্বাধীনতাবিরোধী। স্বাধীনতাবিরোধীরা কখনো দেশের ভালো চায় না। তাই আগামী ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবণর্জয়ন্তী উদযাপন করা হবে। তার আগে এই স্বাধীনতাবিরোধীদের দেশ থেকে বিতারিত করতে হবে। তা না হলে দেশ কলঙ্কমুক্ত হবে না। শুক্রবার বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে সদ্য অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চন ও বতর্মান বাস্তবতা শীষর্ক এক আলোচনা সভায় বক্তারা একথা বলেন। আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ডা. এস এ মালেকের সভাপতিত্বে সভায় বি এস এম এম ইউ এর সাবেক উপাচাযর্ অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, বাংলা একাডেমির সাবেক ডিজি শামসুজ্জামান খান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপচাযর্ অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচাযর্ অধ্যাপক ড. ফায়েকুজ্জামান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসি অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. আশরাফ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন, নিবার্চন কমিশনকে মেনেই নিবার্চনে অংশগ্রহণ করেছেন সবাই। কিন্তু বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট কখনো তারা নিবার্চন কমিশনকে প্রশংসিত করেছেন আবার গালিও দিয়েছেন। নিবার্চনের আগে ড. কামাল এবারের নিবার্চনকে ভোট বিপ্লব বলে অভিহিত করেছেন। বিজয় সম্পকের্ তারা সুনিশ্চিত ছিলেন। অথচ ভোটের দিন তারা নানা অজুহাত দেয়া শুরু করে। কিন্তু এখন পযর্ন্ত নিবার্চন কমিশনের কাছে নিবার্চন নিয়ে অভিযোগ জমা পড়েনি। তাহলে কীভাবে বলা যায় নিবার্চনে অনিয়ম হয়েছে। তাই বলা যায়, এবারের নিবার্চন সংবিধান মোতাবেক অংশগ্রহণমূলক হয়েছে। অধ্যাপক কামরুল হাসান খান বলেন, এবারের নিবার্চনে কমিশনের কাছে অনিয়মের কোনো অভিযোগ পড়েনি। তাই নিবার্চন সুষ্ঠু হয়েছে। তবে স্বাধীনতাবিরোধীরা এ নিবার্চনকে মেনে নিতে পারেনি। তারা স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর এসেও দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তাই দেশের মানুষ তাদের আর এই দেশের মাটিতে দেখতে চায় না। ৩০ ডিসেম্বরের নিবার্চনে দেশের জনগণ তার প্রমাণ দিয়েছেন। এই দেশে রক্তক্ষয়ী সংঘষর্ অনেক দেখেছে। এখন আগামীতে দেশকে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবে সেই পরিকল্পনা করতে হবে। এজন্য দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। দুনীির্ত দমন করতে হবে। তবে দুনীির্তবাজ দিয়ে দুনীির্ত কমানো সম্ভব না। এজন্য নিজেদের মধ্যে শুদ্ধির অভিযান পরিচালনা করার পরামশর্ দেন তিনি। সভাপতির বক্তব্যে ডা. এস এ মালেক বলেন, পৃথিবীর অনেক গণতান্ত্রিক দেশেও নিবার্চন শতভাগ অবাধ ও নিরপেক্ষ হয় বলে আমার মনে হয় না। বাংলাদেশেও এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ঘটেনি। যে যেখানে সুযোগ পেয়েছে অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছে। এজন্য সরকার ও বিরোধী দলের কিছু দায়িত্বহীন লোকেরাই দায়ী। নিবার্চনে অংশগ্রহণ বলতে যা বোঝায় বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট সবকিছুই করেছে। এবং পরাজয় নিশ্চিত জেনেই তারা নিবার্চন থেকে সরে দঁাড়ায় ও ঘোষণা দেয় রায় মানে না, পুননির্বার্চন দিতে হবে। তিনি বলেন, এবার শেখ হাসিনা সরকার বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন তা আন্তজাির্তক পযাের্য় অনেকেই বিবৃতি দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চান। তিনি ভালো করেই জানেন গণতন্ত্রে বিরোধী দলের ভ‚মিকা অনস্বীকাযর্। তিনি সেভাবেই বিরোধী দলকে দেখতে চান।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে