বুড়িগঙ্গার তীরের ২৯০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে বিআইডবিøউটিএর কমর্কতার্রা। বৃহস্পতিবার লালবাগ থানাধীন কিল্লারমোড় শ্মশানঘাট ও কামরাঙ্গীরচর থানাধীন কয়লাঘাট এবং ছাতা মসজিদ এলাকায় নদীর তীর থেকে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে এসব স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
উচ্ছেদ অভিযানের নেতৃত্ব দেন বিআইডবিøউটিএর নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান। গত ২৯ জানুয়ারি থেকে গতকাল পযর্ন্ত ছয় দিনের উচ্ছেদ অভিযানে ১ হাজার ১৯৮টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে লালবাগ থানাধীন কিল্লারমোড় শ্মশানঘাট এলাকায় রমিউদ্দিন মিয়ার মালিকানা প্লাস্টিকের গুদামঘর উচ্ছেদের মাধ্যমে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। এরপর উচ্ছেদ অভিযানকারীরা ৫৬/৮ রাজ নারায়ণ ধর রোডের রশিদ মাইজভাÐারীর মালিকানাধীন আশেকান মাইজভান্ডারি অ্যাসোসিয়েশনের পাকা স্থাপনা চারটি ঘর ও রহিম চিশতীর মালিকানাধীন খানকা শরীফের চারটি টিনশেডের টংঘর উচ্ছেদ করে। এ ছাড়া কামরাঙ্গীরচর লোহার সেতু সংলগ্ন রহমান প্লাজার পাকা স্থাপনার ছয়টি দোকান উচ্ছেদ করে।
রহিম চিশতীর ছেলে আব্দুল মোতালেব চিশতী জানান, ‘তঁার বাবা ৩৫ বছর আগে মতি বিবির কাছ থেকে ২ কাঠা জমি কিনে সেখানে চারটি টিনশেডের টংঘর নিমার্ণ করে বসবাস করছেন। আমরা কোনো নদীর জায়গা দখল করিনি। অথচ বিআইডবিøউটিএর লোকজন আমাদের বসতভিটা নদীর জায়গা বলে গুঁড়িয়ে দিয়েছে।’
কামরাঙ্গীরচর থানাধীন কয়লাঘাট এলাকার বাসিন্দা আরজু মিয়া জানান, তিনি ১৯৯৫ সালে ছাতা মসজিদ ঘাট এলাকায় সাড়ে ৩ কাঠা জমি কিনে সেখানে প্লাস্টিকের কারখানা নিমার্ণ করেন। অথচ উচ্ছেদ অভিযানকারীরা তার জায়গাকে নদীর জায়গা বলে প্লাস্টিকের কারখানা উচ্ছেদ করেছে। তিনি অভিযোগ করেন, ‘আমার মালামাল সরিয়ে নেয়ার জন্য উচ্ছেদ অভিযানকারীদের কাছে দুই দিনের সময় চেয়েছিলাম। কিন্তু তারা আমাকে মালামাল সরিয়ে নেয়ার সময়টুকুও দেয়া হয়নি।’
বিআইডবিøউটিএর নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গায় স্থাপনা উচ্ছেদ করা হচ্ছে না। নদীর জায়গায় অবৈধ দখলদার ও স্থাপনার বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান চলছে। অভিযানে জানমালের নিরাপত্তা বিষয়টি লক্ষ্য রেখে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার উচ্ছেদকৃত অবৈধ স্থাপনার মধ্যে রয়েছে দুইতলা তিনটি ভবন, একতলা ভবন সাতটি, আধা পাকা স্থাপনা ২৩টি ও ২৫৭টি ছোট বড় টিনশেডের ছাপড়া ও টং ঘর।
বিআইডবিøউটিএর ঢাকা নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক একেএম আরিফউদ্দিন বলেন, আগামী মঙ্গলবার থেকে আবার বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবৈধ স্থাপনার বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে।
উচ্ছেদ অভিযানে উপস্থিত ছিলেন পানি উন্নয়ন বোডের্র প্রধান প্রকৌশলী অখিল কুমার বিশ্বাস, বিআইডবিøউটিএর ঢাকা নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক একেএম আরিফউদ্দিন, উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান ও সহকারী পরিচালক নুর হোসেনসহ পুলিশ ও আনসার সদস্যরা।