শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

খালেদার মুক্তির দুটি পথ দেখালেন তথ্যমন্ত্রী

যাযাদি রিপোটর্
  ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০
আপডেট  : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:১৮
হাছান মাহমুদ

কারান্তরীণ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কেবলমাত্র দোষ স্বীকার করে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রাথর্না এবং আদালতে আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে; এ দুটি উপায়ে মুক্তি পেতে পারেন বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী মঙ্গলবার সকালে সংবাদ সম্মেলন করে খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রীই সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করেন। তিনি চাইলেই খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী বলেন, কয়েক দিন আগে সংবাদ সম্মেলন করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আহŸান জানিয়েছিলেন খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য। প্রধানমন্ত্রীর খালেদা জিয়া কিংবা কোনো বন্দিকে মুক্তি দেয়ার এখতিয়ার নেই। খালেদা জিয়াসহ যেকোনো সাজাপ্রাপ্ত বন্দিকে মুক্তি দেয়ার এখতিয়ার হচ্ছে আদালতের। রিজভী আহমেদ বারবার একই আহŸান জানিয়ে প্রকৃতপক্ষে আদালতের প্রতি অশ্রদ্ধা জানাচ্ছেন, আইন-আদালতের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদশর্ন করছেন। যেটি সমীচীন নয়। তার কথায় মনে হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীকে প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন করতে হবে। দুনীির্তর মামলায় গত এক বছর ধরে কারাগারে থাকা খালেদা জিয়ার মুক্তির পথ বাতলে দেন হাছান মাহমুদ। তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপির পক্ষে রিজভী আহমেদ সংবাদ সম্মেলন করেছেন। তারা খালেদা জিয়ার যদি মুক্তি চান, তাহলে আদালতের আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এগোতে হবে। আর আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে না এগিয়ে তারা যদি অন্য কোনো পথে খালেদা জিয়ার মুক্তি চান, সেটি সম্ভবপর নয়। তাদের কাছে আরেকটি পথ খোলা আছে, সেটি হচ্ছে খালেদা জিয়া তার দোষ স্বীকার করে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রাথর্না করতে পারেন। তাহলে রাষ্ট্রপতি ক্ষমা প্রাথর্না করতেও পারেন। পরে তাকে মুক্তি দেয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন। হাছান মাহমুদ বলেন, এর বাইরে তো অন্য কোনো সুযোগ নেই। বারবার তারা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহŸান জানিয়ে প্রকৃতপক্ষে আইন-আদালতের প্রতি অশ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছেন, বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদশর্ন করছেন। যেটি সমীচীন নয়। যা দেশের আইনের শাসন, আইন-আদালতকে প্রকৃতপক্ষে আন্ডারমাইন্ড করছেন। এটি অনুচিত, সমীচীন নয়। সংবিধান অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সরকারের অনুমোদন নিতে হয়, এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রপতি কাউকে ক্ষমা করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেন এবং সেটি হয়তো সরকারের অনুমোদন লাগবে। কিন্তু রাষ্ট্রপতি সেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেন। এখন তারা সেটা করবে, কি করবে নাÑ এই প্রশ্ন এই মুহূতের্ অবান্তর। কারণ, বিএনপির পক্ষ থেকে খালেদা জিয়ার সব দোষ স্বীকার করে মাজর্না প্রাথর্না করবেন কী করবেন নাÑ সেটি প্রথম প্রশ্ন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে