মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

সাগর-রুনি হত্যার প্রতিবেদন দাখিল আবার পেছাল

যাযাদি রিপোটর্
  ১৮ জুলাই ২০১৮, ০০:০০
আপডেট  : ১৮ জুলাই ২০১৮, ০০:১৫
সাগর-রুনি

মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের বাতার্ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা সারোয়ার ওরফে সাগর সারোয়ার এবং এটিএন বাংলার সিনিয়র রিপোটার্র মেহেরুন নাহার রুনা ওরফে মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল ফের পেছাল আদালত। মঙ্গলবার মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধাযর্ ছিল। কিন্তু র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) কোনো প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাজহারুল হক ফের তদন্ত প্রতিবেদনের তারিখ পিছিয়ে দিয়েছেন। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর নতুন করে দিন ধাযর্ করা হয়েছে। এ নিয়ে গত ছয় বছরে ৫৯ বার সময় বেঁধে দেয়া হলেও প্রতিবেদন দিতে পারেনি র‌্যাব। ২০১২ সালের ১১ ফেব্রæয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে নিজেদের ভাড়া বাসায় খুন হন সাগর-রুনি সাংবাদিক দম্পত্তি। ঘটনার আট মাস পর ২০১২ সালের ১০ অক্টোবর বনানী থানার একটি হত্যা ও ডাকাতি মামলায় গ্রেপ্তার থাকা পঁাচ আসামি মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু, বকুল মিয়া, কামরুল হাসান অরুণ, রফিকুল ইসলাম ও আবু সাঈদকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে এই মামলায় রিমান্ড চাওয়া হয়। ওইদিনই আরও দুই আসামি রুনির কথিত বন্ধু তানভীর রহমান ও বাড়ির দারোয়ান পলাশ রুদ্র পালকে গ্রেপ্তার এবং পরবতীের্ত অপর দারোয়ান আসামি এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবিরকে গ্রেপ্তার করা ছাড়া গত ছয় বছরে মামলার তদন্তে দৃশ্যত কোনো অগ্রগতি নেই। তদন্তের দীঘর্সূত্রতায় কয়েক আসামি ইতোমধ্যেই জামিনে পেয়েছেন। সাগর-রুনি হত্যাকাÐের পর হাইকোটের্র নিদেের্শ ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় র‌্যাব। এরপর সাগর-রুনির মরদেহ কবরস্থান থেকে তোলার আবেদন করে র‌্যাব। ২০১২ সালের ২৬ এপ্রিল নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহিদুজ্জামানের উপস্থিতিতে সাগর-রুনির মরদেহ তোলা হয়। এরপর ২০১২ সালের ৭ জুন থেকে ১১ অক্টোবর পযর্ন্ত জব্দকৃত আলামতের সঙ্গে ম্যাচিং করার জন্য আট আসামি ও সন্দেহভাজন ২১ আত্মীয়ের নমুনা যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয়। মূলত এরপরই মামলার তদন্তে স্থবিরতা নেমে আসে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে