শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ই-পাসপোটর্ ও ই-গেটের চুক্তি

যাযাদি রিপোটর্
  ২০ জুলাই ২০১৮, ০০:০০
বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু আন্তজাির্তক সম্মেলন কেন্দ্রে অত্যাধুনিক ই-পাসপোটর্ ও ই-গেট চালু করতে জামার্ন কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে বাংলাদেশের ইমিগ্রেশন অধিদপ্তর -যাযাদি

অত্যাধুনিক ই-পাসপোটর্ ও ই-গেট চালু করতে জামার্ন কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশের ইমিগ্রেশন অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ১০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু আন্তজাির্তক সম্মেলন কেন্দ্রে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

‘ই-পাসপোটর্ প্রবতর্ন ও স্বয়ংক্রিয় বডার্র কন্ট্রোল ব্যবস্থাপনা’ শীষর্ক প্রকল্পের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং বিশেষ অতিথি জামাির্নর পররাষ্ট্রবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নেইলস আনেন।

চুক্তি স্বাক্ষরের ফলে বিশ্বে ১১৯তম দেশ হিসেবে ই-পাসপোটর্ চালু করছে বাংলাদেশ।

চুক্তি সাক্ষর করেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাসুদ রেজওয়ান ও জামাির্নর ভেরিডোস জিইউএমবিএইচ কোম্পানির প্রধান নিবার্হী কমর্কতার্ (সিইও) কুন্স।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘এ বছরের ৩০ জুন এমআরপি (মেশিন রিডেবল পাসপোটর্) প্রকল্প শেষ হলেও আপাতত আবেদনকারীদের এমআরপি দেয়া হবে। আশা করি, শিগগিরই ই-পাসপোটর্ প্রদান কাযর্ক্রম শুরু করতে পারব।’ এ সময় তিনি এই প্রকল্পের সাবির্ক সফলতা কামনা করেন।

সিইও কুন্স বলেন, ‘আমরা ৫০টি দেশের ই-পাসপোটর্ করেছি। আমাদের নতুন করে বাংলাদেশের দায়িত্ব দেয়ায় আমরা তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।’ তিনি বলেন, ‘এই পাসপোটের্ রঙিন ছবিসহ পলিকাবের্নটেড ডাটাপেইজ থাকবে, যা শুধুমাত্র পৃথিবীর ২টি দেশে রয়েছে। এ ছাড়াও এই পাসপোটর্ অত্যন্ত নিরাপদ।’

জামার্ন কোম্পানি ভেরিডোস তিন কোটি ই-পাসপোটর্ বুকলেট সরবরাহ করবে বাংলাদেশকে। এ লক্ষ্যে ঢাকার উত্তরায় একটি এসেম্বলি কারখানা স্থাপন করা হবে। এই প্রকল্পটি জিটুজি (সরকার টু সরকার) ভিত্তিতে টানর্ কি পদ্ধতিতে বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশের ইমিগ্রেশন ও পাসপোটর্ অধিদপ্তর।

এ প্রকল্পের আওতায় ইমিগ্রেশন চেকপোস্টগুলো স্বয়ংক্রিয় বডার্র কন্ট্রোল ব্যবস্থাপনায় (ই-গেইট) আওতায় আনা হবে। ইমিগ্রেশন চেকপোস্টগুলোয় ৫০টি ই-গেইট স্থাপন করা হবে। ভেরিফিকেশনে ব্যক্তির তথ্য সঠিক পাওয়া গেলে ই-গেইট স্বয়ংক্রিয়ভাবে খুলে যাবে। এই পদ্ধতিতে দেশের সীমান্ত নিরাপত্তা অধিক কাযর্করভাবে সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে।

ইমিগ্রেশন ও পাসপোটর্ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ই-পাসপোটর্ প্রবতর্ন ও স্বয়ংক্রিয় বডার্র কন্ট্রোল ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের মূল্য চার হাজার ৫৬৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে জামার্ন কোম্পানি ভেরিডোস জিএসবিএইচের সঙ্গে চুক্তির মূল্য তিন হাজার ৩৩৮ কোটি, কাস্টম ডিউটি, ভ্যাট, এআইটি এক হাজার ২৪ কোটি এবং প্রকল্প ব্যয় ২০৭ কোটি টাকা।

বাংলাদেশে ২০০৯ সাল পযর্ন্ত হাতে লেখা পাসপোটর্ প্রচলিত ছিল। ২০১০ সালে ইমিগ্রেশন ও পাসপোটর্ অধিদপ্তরে বাংলাদেশে মেশিন রিডেবল পাসপোটর্ (এমআরপি) প্রদান শুরু হয়। এমআরপিতে ৩৮টি নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য থাকলেও এতে জালিয়াতির সুযোগ থেকে যায়। অভিবাসন প্রক্রিয়াকে আরও সহজ ও নিরাপদ করতে ই-পাসপোটর্ প্রবতর্ন ও স্বয়ংক্রিয় বডার্র কন্ট্রোল ব্যবস্থাপনা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<4290 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1