বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ছিনতাইকারীরা দৌড়ের ওপর আছে: ডিএমপি কমিশনার

যাযাদি রিপোর্ট
  ২৫ মে ২০১৯, ০০:০০
আপডেট  : ২৫ মে ২০১৯, ১০:০৮
রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় শুক্রবার আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া -যাযাদি

ছিনতাইকারীরা ধাওয়া ও দৌড়ের ওপর রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। তিনি বলেন, 'এবারের রোজায় ঢাকা শহরে বলার মতো কোনো ছিনতাইয় ও চাঁদাবাজির মতো ঘটনা ঘটেনি। এমনকি অজ্ঞান পার্টি ও চুরির মতো ঘটনাও ঘটেনি। তার মানে ছিনতাইকারী বা অপরাধীরা নেই, তা নয়। তারা আছে, তবে তাদের আমরা ধাওয়ার ওপরে রেখেছি, দৌড়ের ওপর রেখেছি।' শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় মজার স্কুল আয়োজিত পথশিশুদের মধ্যে ঈদের নতুন পোশাক বিতরণ অনুষ্ঠানে ডিএমপি কমিশনার এসব কথা বলেন। এ সময় ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, 'অপরাধীদের রোজা শুরুর আগে থেকেই গোয়েন্দা সদস্যরা নজরদারি করেছে। এ কারণে অপরাধীরা কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। অভিযানের ফলে অনেকে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছে। আমাদের কর্মকান্ডের জন্য অপরাধীরা দমনে রয়েছে।' এর আগে অবশ্য গত ২১ মে পল্টন কমিউনিটি সেন্টারে পোশাক বিতরণ অনুষ্ঠানে ডিএমপি কমিশনার বলেছিলেন, ঢাকা শহরে কোনো ছিনতাইকারী নেই। তাদের আমরা নিশ্চিহ্ন করেছি। নতুন পোশাক বিতরণ অনুষ্ঠানে কমিশনার বলেন, 'একজনের প্রতি আরেকজনের দায়িত্ববোধ থেকেই এগিয়ে আসা। মারামারি হানাহানি কাটাকাটি অসহিঞ্চুতা সরিয়ে এনে থেকে সরিয়ে এনে মানবিক দায়িত্ববোধ ডেকে এনে মনে হয় আমাদের মানবিক গুণাবলি ধীরে ধীরে ক্ষয়িঞ্চু হয়ে যাচ্ছে। এর কারণ একের প্রতি অন্যের সহিঞ্চুতা নেই। আমাদের ধর্মীয় অনুশাসনগুলো ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে।' কমিশনার বলেন, 'আমরা পুলিশের লোক সারাদিন ডিউটি করি। ঢাকা শহরে দুই হাজার পুলিশ সদস্য রাস্তায় দাঁড়িয়ে সারাদিন ডিউটি করেন। এমনকি প্রিয়জনদের সঙ্গে ইফতারও করতে পারেন না। রাস্তায় দাঁড়িয়ে একটা খেজুর ও এক গস্নাস পানি দিয়ে ইফতার করেন তারা। তবু তাদের মুখে হাসি। নাগরিকদের সুবিধার স্বার্থে তারা দায়িত্ব পালন করছেন। সারাদিন, সারারাত আমরা দায়িত্ব পালন করি। চেকপোস্ট-তলস্নাশি করি, বস্নক রেড দেই, যেন সন্ত্রাসী বা দুর্বৃত্তরা শান্তিকামী মানুষকে কষ্ট দিতে না পারে।' এ সময় ঈদকে শান্তিপূর্ণ ও আনন্দঘন পরিবেশে উদযাপন করার জন্য ডিএমপির পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলে নগরবাসীকে আশ্বস্ত করেন ডিএমপি কমিশনার। ঈদযাত্রা নিয়ে কমিশনার বলেন, ঘরমুখী মানুষ যেন নির্বিঘ্নে বাড়ি যেতে পারে, আবার ঈদ উদযাপন শেষে নিরাপদে ঢাকায় ফিরতে পারে, সেজন্য নানামুখী কাজ করা হচ্ছে। বাস টার্মিনাল ও রেলওয়ে স্টেশনে যেন কোনো ঝামেলা না হয়, সেজন্য পুলিশসহ গোয়েন্দারা কাজ করছে। নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, পুলিশ একা অপরাধীদের দমন করতে পারবে না, সুশাসন আনতে পারবে না, জনগণের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষা করতে পারবে না। যখন সাংবাদিক, পেশাজীবী, জনপ্রতিনিধি সবাই একসঙ্গে কাজ করতে পারব, তখনই সবকিছু করা সম্ভব। অপরাধের বিরুদ্ধে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সবাই যখন একযোগে লড়তে পারব, ঠিক তখনই আমরা সফল হতে পারব। নতুন পোশাক বিতরণের পর শিশুদের উদ্দেশে কমিশনার বলেন, তোমাদের প্রতি একটাই অনুরোধ, তোমরা মাদকে জড়িয়ে যাবে না। এটি ভয়াবহ ক্যানসার। কারণ রোগ হলে একজন মানুষ মারা যায়, দুর্ঘটনা ঘটলে কয়েকজন মারা যায়। কিন্তু মাদক নিলে পুরো পরিবার ধ্বংস হয়ে যায়, সমাজ ও জাতি শেষ হয়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি হয়। মাদক কেউ দিতে চাইলে সঙ্গে সঙ্গে তা পুলিশকে জানাবে। আমরা ব্যবস্থা নেবো।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে