চট্টগ্রামের আদালতে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. সাইদুর রহমান পায়েল হত্যা মামলার কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে দিয়েছে হাইকোর্ট।
দুই আসামির করা এক আবেদনে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ সম্প্রতি এ আদেশ দেয়। চট্টগ্রামের বিভাগীয় দ্রম্নত বিচার ট্রাইবু্যনালে সোমবার মামলাটির শুনানির ধার্য দিনে বাদীপক্ষ বিষয়টি জানতে পারে।
এই স্থগিতাদেশের ফলে চট্টগ্রামের এ আদালতে মামলাটির বিচার কাজ আর চলবে না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
চট্টগ্রামের বিভাগীয় দ্রম্নত বিচার ট্রাইবু্যনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক আবদুল হালিমের আদালতে এখন পর্যন্ত এ মামলায় নয়জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আইয়ুব খান বলেন, 'আসামিদের আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ছয় মাসের জন্য চট্টগ্রামের আদালতে এ মামলার কার্যক্রম পরিচালনায় স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি ঢাকা বিভাগের যে কোনো দ্রম্নত বিচার ট্রাইবু্যনালে মামলাটি স্থানান্তর করতে বলা হয়েছে।'
চট্টগ্রামের আদালতে মামলার বিচার চলা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে হাইকোর্টে ওই আবেদন করেছিলেন এ মামলার আসামি জামাল হোসেন ও ফয়সাল হোসেন।
তাদের যুক্তি ছিল, মামলাটি যেহেতু মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া থানায় করা হয়েছে, সেহেতু চট্টগ্রামের দ্রম্নত বিচার ট্রাইবু্যনালে এ মামলার বিচার চলতে পারে না।
বাদীপক্ষের আইনজীবী মনজুর আহমেদ আনছারী বলেন, 'হাইকোর্টে বলেছে- যে স্মারকের মাধ্যমে মামলাটি চট্টগ্রামের আদালতে পাঠানো হয়েছে তা বৈধ হয়নি। স্থগিতাদেশের কারণে আপাতত মামলার কার্যক্রম এ আদালতে হবে না। বাদীপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।'
পায়েলের মামা ফাহাদ চৌধুরী দিপু বলেন, 'মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ এখন শেষ পর্যায়ে। এই অবস্থায় হাইকোর্ট একটি আদেশ দিয়েছে। আমরা আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা করে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হব।'
গত বছরের ২১ জুলাই রাতে দুই বন্ধু আকিবুর রহমান আদর ও মহিউদ্দিন শান্তর সঙ্গে হানিফ পরিবহনের একটি বাসে করে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার পথে রওনা হওয়ার পর নিখোঁজ হন সাইদুর রহমান পায়েল। ২৩ জুলাই মুন্সীগঞ্জ উপজেলার ভাটেরচর সেতুর নিচের খাল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে গজারিয়া থানা পুলিশ।