বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

আমরা উন্নত হলেও সভ্য হচ্ছি কি, প্রশ্ন সুলতানা কামালের

যাযাদি রিপোর্ট
  ১৩ জুন ২০১৯, ০০:০০
আপডেট  : ১৩ জুন ২০১৯, ০০:০৯
বুধবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে ডবিস্নউভিএ মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল -যাযাদি

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা সুলতানা কামাল বলেছেন, 'আমরা অনুন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশ হয়েছি। এখন উন্নত দেশের পথে আছি।' কিন্তু এই মানবাধিকারকর্মী মনে করেন, 'মানুষের ন্যায়বিচার প্রাপ্তি ও সমান অধিকারের ক্ষেত্রে এখনো অনেক দূরে আছি।' তাই সুলতানা কামালের প্রশ্ন, 'আমরা উন্নত হচ্ছি বটে, কিন্তু সভ্য হচ্ছি কি?' 'কল্পনা চাকমা অপহরণের ২৩ বছর: ন্যায়বিচারের দাবি' শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন সুলতানা কামাল। রাজধানীর ডবিস্নউভিএ মিলনায়তনে বুধবার এর আয়োজন করে হিল উইমেন্স ফেডারেশন (এইচডবিস্নউএফ) ও বাংলাদেশ আদিবাসী নারী নেটওয়ার্ক। ১৯৯৬ সালের ১২ জুন রাতে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার নিউল্যালাঘোনা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে অপহৃত হন এইচডবিস্নউএফের তখনকার সাংগঠনিক সম্পাদক কল্পনা চাকমা। এ ঘটনা সেই সময় ব্যাপক আলোড়ন তোলে। ঘটনার পর একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি হয়। ওই কমিটির প্রতিবেদন আজও প্রকাশ করা হয়নি। গত ২৩ বছরে ৩৯ জন তদন্ত কর্মকর্তা এ ঘটনার প্রতিবেদন দিয়েছেন। কল্পনার পরিবারের পক্ষ থেকে সেসব প্রতিবেদনে নারাজি দেয়া হয়েছে। তারা যথাযথ বিচারের দাবি আজও করছেন। সর্বশেষ ২০১৭ সালের ৮ জুন আদালত শুনানির আয়োজন করেন এবং নারাজির ওপর পুলিশকে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেন। পুলিশ বারবার সময় চেয়েছে। এ বিষয়ে আগামী ৩ জুলাই পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য রয়েছে। কল্পনা চাকমা অপহরণের মামলায় এই দীর্ঘসূত্রতার কঠোর সমালোচনা করেন সুলতানা কামাল। তিনি বলেন, কল্পনা চাকমাকে উধাও করে দেয়া হয়েছে। এটা করার মাধ্যমে ওই শিক্ষাই দেয়ার চেষ্টা হয়েছিল যে, কেউ প্রতিবাদী হবে না। কল্পনার মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রতিবাদী সত্তাকেও তারা উধাও করে দিতে চেয়েছে। নির্বিচারে এ সত্তাকে শেষ করে দিতে চেয়েছে। সভায় আরও বক্তব্য দেন নারীনেত্রী রাখী দাশ পুরকায়স্থ, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সদস্য দীপায়ন খীসা, সাংবাদিক বিপস্নব রহমান, আদিবাসী নারী নেটওয়ার্কের সদস্যসচিব চঞ্চনা চাকমা। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ ও সঞ্চালনা করেন ফাল্‌গুনী ত্রিপুরা। সভাপতিত্ব করে মনিরা ত্রিপুরা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে